দর্শকচাহিদা মাথায় রেখে কয়েক বছর ধরেই দেশের বেশ কয়েকটি টিভি চ্যানেল ভিনদেশি সিরিয়াল আমদানি করে আসছে। সেই ধারাবাহিকতায় এবার দেশের চ্যানেলে যুক্ত হতে যাচ্ছে পাকিস্তানি সিরিয়াল।

বিদেশি সিরিয়াল আমদানি নিয়ে ছোট পর্দার শিল্পীরা বিভিন্ন সময়ে প্রতিবাদ জানিয়েছেন। এবার পাকিস্তানি সিরিয়াল আমদানির খবরে রীতিমত হুমকি দিলেন ছোট পর্দার অভিনেতা যাহের আলভী। অবশ্য তার কারণও ব্যাখ্যা করেছেন এই অভিনেতা।

২১ মে নিজের ফেসবুকে একটি পোস্ট দিয়েছেন এই অভিনেতা। সেখানে তিনি লিখেছেন, ‘শুনলাম, পাকিস্তানি সিরিয়াল আমদানি হচ্ছে আমার দেশে। খুব শিগরিরই শুরু হবে সমপ্রচার। খুব চড়া ও অগ্রীম দামে কিনে নিয়ে আসা হয়েছে, অলরেডি ডাবিংও শুরু হয়ে গেছে।’

এরপর জোর প্রতিবাদ জানিয়ে আলভী লিখেছেন, “আমি ‘যাহের আলভী’ লাউড এবং ক্লিয়ারলি বলছি, যে সকল বাংলাদেশি চ‍্যানেল পাকিস্তানি নাটক আমদানি ও সমপ্রচার করবে, সে চ‍্যানেলে আমার নাটক যাবে না। আমি সেই সকল চ‍্যানেলের কোন নাটকে সজ্ঞানে অভিনয় করবো না ‘

কারণ উল্লেখ করে আলভী লিখেছেন, ‘বর্তমানে ইন্ডাস্ট্রি এক চরম অনিশ্চয়তায় আছে। সরকার পতনের পর  কোনও বড় প্রতিষ্ঠান অথবা ব‍্যক্তিই সুনির্দিষ্ট অর্থলগ্নি করছে না নাটকে। দুয়েজন ব‍্যতীত। ফলে আমার ইন্ডাস্ট্রির খেটে খাওয়া মানুষগুলো খুব দুর্বিসহ দিন পার করছে। ৯০ ভাগ ডিরেক্টর, আর্টিস্ট, ক‍্যামেরাম‍্যন, মেকাপম‍্যান ঘরে বসে দিন পার করছে আর সুদিনের আশায় আছে। যেখানে আমার দেশের, আমার ইন্ডাস্ট্রির মানুষ বসে থাকবে আর কষ্টে থাকবে, সেখানে চ‍্যানেলে পাকিস্তানি সিরিয়াল চলবে, এটা আমি বেঁচে থাকতে মেনে নেব না।’

তিনি আরও লিখেছেন, ‘অনেকেরই ধারণা নেই, আমাদের নাটক ইন্ডাস্ট্রি কোন রসাতলে যাচ্ছে! কতটা দুর্ভিক্ষের পথে হাটছি আমরা। সবাই এখন ইয়া নাফসি মনোভাব নিয়ে আছে। আগে আমার দেশ, আমার ইন্ডাস্ট্রি, আমার টেকনিশিয়ান, আমার শিল্পীরা বাঁচব। তারপর বাকী সব। কোনও বিদেশি নাটক আমদানীর পক্ষে নেই আমি।’

শেষে আলভী লিখেছেন, ‘আমার মতো মেরুদণ্ডী কোন হিরো যদি ইন্ডাস্ট্রীতে থেকে থাকে, আমার সেই ভাইদের কাছ থেকেও আমি এই উদ্যোগ আশা করবো। অথবা এটা আমার একারই যুদ্ধ। লাউড এ‍্যান্ড ক্লিয়ার।’

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: য হ র আলভ স র য় ল আমদ ন ইন ড স ট র

এছাড়াও পড়ুন:

সন্দ্বীপে অন্যায়ের প্রতিবাদ করায় স্কুলছাত্রকে হত্যা

চট্টগ্রামের সন্দ্বীপে মাদক, দখলবাজি ও জনদুর্ভোগের প্রতিবাদ করায় দশম শ্রেণির ছাত্র রিফাতকে (১৭) হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। সে উপজেলার মগধরা ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা জামসেদুর রহমানের ছেলে।  বাবা জামসেদুর সন্দ্বীপ উপজেলা শ্রমিকদলের ক্রীড়াবিষয়ক সম্পাদক ও মগধরা ইউনিয়ন বিএনপির স্থানীয় সরকারবিষয়ক সম্পাদক।

সাংবাদিকদের দেওয়া এক লিখিত বিবৃতিতে জামসেদর রহমান অভিযোগ করেন, ‘অন্যায়ের প্রতিবাদ করায় সারিকাইত ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শওকত আলী রাজুর নেতৃত্বে আমার ছেলে দশম শ্রেণির ছাত্র রিফাতের ওপর সন্ত্রাসী হামলা হয়। তারা ৪ ঘণ্টা ছেলেকে অবরুদ্ধ করে রাখে। পরে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠায়। রাজু বাহিনীর হামলায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আইসিইউতে রিফাত মৃত্যুবরণ করে।’

তিনি আরও বলেন, ‘সারিকাইত ইউনিয়ন থেকে বহিরাগতরা মগধরা ইউনিয়নে অবৈধ ব্যবসা করতো। আমার ছেলে মাদক, অবৈধ মাটি কাটা, দখলবাজি ও জনদুর্ভোগের প্রতিবাদ করতো। এসব নিয়ে বাগবিতণ্ডা হয়েছে। এ বিষয়ে আমি ১৮ মে ইউএনও’র কাছে একটি অভিযোগ দেওয়ার   পরদিন ১৯ মে রাজু বাহিনী আমার ছেলেকে হত্যা করে।,

স্থানীয়রা জানান, ১৯ মে সন্ধ্যা ৮টায় জামসেদুর রহমানের ছেলে রিফাতের সঙ্গে সন্ত্রাসীদের কথা কাটাকাটি হয়। পরে রিফাতের ওপর হামলা হয়। প্রথমে তাকে স্থানীয় হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুপুরে তার মৃত্যু হয়।

সন্দ্বীপ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ কে এম সফিকুল আলম চৌধুরী বলেন, আমরা খবর পেয়ে আহত রিফাতকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠাই। এ বিষয়ে পরিবারের পক্ষ থেকে এখনও কোনো অভিযোগ পাইনি। কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি।

সম্পর্কিত নিবন্ধ