শিবচরে র্যাব পরিচয়ে প্রতারণা: বরখাস্ত হওয়া সেনা সদস্য আটক
Published: 21st, May 2025 GMT
পদ্মা সেতুর দক্ষিণ প্রান্তে শিবচরের মোল্লার বাজার এলাকায় র্যাব পরিচয়ে প্রতারণার অভিযোগে বরখাস্তকৃত এক সেনা সদস্যকে আটক করেছে পুলিশ।
আটক মো. আশিকুর রহমান (৩২) রাজশাহী জেলার তানোর উপজেলার মালশিরা গ্রামের মো. মকবুল হোসেনের ছেলে।
বুধবার (২১ মে) সকালে ঢাকা-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়ের পাচ্চর মোল্লার বাজার এলাকায় চেকপোস্ট চলাকালীন সন্দেহজনক আচরণ করায় তাকে আটক করে শিবচর হাইওয়ে পুলিশ। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পদ্মা সেতু দক্ষিণ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নকিব আকরাম।
আরো পড়ুন:
খুলনায় ১৯ মামলার আসামি সাগর গ্রেপ্তার
র্যাব পুনর্গঠন হচ্ছে, উপদেষ্টার নেতৃত্বে কমিটি
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, একটি মাইক্রোবাস থামানোর পর আশিকুর রহমান কোমরে পিস্তল ও হাতে ওয়াকি-টকি নিয়ে নেমে নিজেকে র্যাব সদস্য হিসেবে পরিচয় দেন এবং বলেন, “আমাদের গাড়িতে একজন আসামি রয়েছে।” তিনি পুলিশ সদস্যদের কাছে একটি আইডি কার্ডও প্রদর্শন করেন। তবে কথাবার্তা ও পরিচয়পত্র যাচাই করার পর ভূয়া বলে নিশ্চিত হলে তাকে তাৎক্ষণিক আটক করে পুলিশ।
এ সময় তার কাছ থেকে একটি ধাতব খেলনা পিস্তল, একটি ওয়াকি-টকি, দুটি ভুয়া আইডি কার্ড, একটি ঘড়ি, একটি মোবাইল ফোন ও নগদ ৫ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়। পরে শিবচর হাইওয়ে পুলিশ তদন্তের জন্য পদ্মা দক্ষিণ থানায় নিয়ে আসে। তবে মাইক্রোবাসে থাকা বাকি পাঁচজন ব্যক্তি পালিয়ে যায়।
এ বিষয়ে পদ্মা সেতু দক্ষিণ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নকিব আকরাম হোসেন জানান, আটক ব্যক্তি সেনাবাহিনী থেকে বরখাস্ত হয়েছিলেন এবং তিনি ভুয়া র্যাব পরিচয়ে প্রতারণার চেষ্টা করছিলেন। তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলছে এবং পলাতকদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
ঢাকা/আকাশ/মেহেদী
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর পদ ম স ত আটক শ বচর সদস য
এছাড়াও পড়ুন:
রড দিয়ে পেটানো ও ছুরিকাঘাতের ছয়দিন পর কলেজছাত্রের মৃত্যু
চট্টগ্রামে রড দিয়ে পেটানো ও ছুরিকাঘাতে আহত হওয়ার ছয়দিন পর এক কলেজছাত্রের মৃত্যু হয়েছে। বুধবার সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
নিহত ওই ছাত্রের নাম ওয়াহিদুল আলম সাব্বির। তিনি নগরের হালিশর থানার নতুনবাজার এলাকার মোহাম্মদ এছহাকের ছেলে এবং চট্টগ্রাম আইডিয়াল টেকনিক্যাল স্কুলের এইচএসসি প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন।
পুলিশ জানিয়েছে, এলাকাভিত্তিক কিশোর ও তরুণদের দু’পক্ষের বিরোধের জেরে এ মারামারির ঘটনা ঘটেছিল।
সাব্বিরের মামা শফিকুল ইসলাম জনি জানান, গত ১৬ মে দুপুরে নতুনবাজার এলাকায় মসজিদ থেকে জুমার নামাজ শেষে বের হওয়ার পর এলাকার সমবয়সী কিছু ছেলে সাব্বিরকে ডেকে নিয়ে যায়। এরপর তাকে রড দিয়ে বেধড়ক পেটায়। একপর্যায়ে ছুরিকাঘাত করে সেখানে ফেলে রেখে যায়। পরিবারের লোকজন খবর পেয়ে স্থানীয়দের সহযোগিতায় তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার সন্ধ্যায় চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তবে কী কারণে মারধরের শিকার হয়েছিল সাব্বির তা তিনি জানাতে পারেননি।
হালিশহর থানার ওসি মো. মনিরুজ্জামান বলেন, ‘ওই এলাকার কিশোর-তরুণদের দুই গ্রুপের মধ্যে বিরোধের জেরে মারামারি হয়েছিল। সেখানে সাব্বিরকে ছুরিকাঘাত করা হয়। এ ঘটনায় একজনকে গ্রেপ্তার হয়েছে। বাকিদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনা হবে। আসামিদের গ্রেপ্তার করতে পারলে কি নিয়ে বিরোধ তা জানা যাবে।’