পদ্মা সেতুর দক্ষিণ প্রান্তে শিবচরের মোল্লার বাজার এলাকায় র‌্যাব পরিচয়ে প্রতারণার অভিযোগে বরখাস্তকৃত এক সেনা সদস্যকে আটক করেছে পুলিশ।

আটক মো. আশিকুর রহমান (৩২) রাজশাহী জেলার তানোর উপজেলার মালশিরা গ্রামের মো. মকবুল হোসেনের ছেলে।

বুধবার (২১ মে) সকালে ঢাকা-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়ের পাচ্চর মোল্লার বাজার এলাকায় চেকপোস্ট চলাকালীন সন্দেহজনক আচরণ করায় তাকে আটক করে শিবচর হাইওয়ে পুলিশ। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পদ্মা সেতু দক্ষিণ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নকিব আকরাম।

আরো পড়ুন:

খুলনায় ১৯ মামলার আসামি সাগর গ্রেপ্তার

র‌্যাব পুনর্গঠন হচ্ছে, উপদেষ্টার নেতৃত্বে কমিটি

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, একটি মাইক্রোবাস থামানোর পর আশিকুর রহমান কোমরে পিস্তল ও হাতে ওয়াকি-টকি নিয়ে নেমে নিজেকে র‌্যাব সদস্য হিসেবে পরিচয় দেন এবং বলেন, “আমাদের গাড়িতে একজন আসামি রয়েছে।” তিনি পুলিশ সদস্যদের কাছে একটি আইডি কার্ডও প্রদর্শন করেন। তবে কথাবার্তা ও পরিচয়পত্র যাচাই করার পর ভূয়া বলে নিশ্চিত হলে তাকে তাৎক্ষণিক আটক করে পুলিশ। 

এ সময় তার কাছ থেকে একটি ধাতব খেলনা পিস্তল, একটি ওয়াকি-টকি, দুটি ভুয়া আইডি কার্ড, একটি ঘড়ি, একটি মোবাইল ফোন ও নগদ ৫ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়। পরে শিবচর হাইওয়ে পুলিশ তদন্তের জন্য পদ্মা দক্ষিণ থানায় নিয়ে আসে। তবে মাইক্রোবাসে থাকা বাকি পাঁচজন ব্যক্তি পালিয়ে যায়। 

এ বিষয়ে পদ্মা সেতু দক্ষিণ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নকিব আকরাম হোসেন জানান, আটক ব্যক্তি সেনাবাহিনী থেকে বরখাস্ত হয়েছিলেন এবং তিনি ভুয়া র‌্যাব পরিচয়ে প্রতারণার চেষ্টা করছিলেন। তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলছে এবং পলাতকদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

ঢাকা/আকাশ/মেহেদী

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর পদ ম স ত আটক শ বচর সদস য

এছাড়াও পড়ুন:

কড়াইল বস্তিতে আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মধ্যে খাবার বিতরণ

রাজধানীর কড়াইল বস্তিতে ভয়াবহ আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর মধ্যে খাবার বিতরণ করেছে ডা. মোস্তফা হাজেরা ফাউন্ডেশন। সোমবার দুপুরে কড়াইল বস্তির ঈদগাহ মাঠে অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত চার হাজার মানুষের মধ্যে এ খাবার বিতরণ করা হয়।

ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা ও উপদেষ্টা এ কে এম গোলাম কিবরিয়া অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে পুনর্বাসনে সরকারের সঙ্গে একসঙ্গে কাজ করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন। তিনি সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগের কাছে জরুরি ভিত্তিতে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানান, যাতে ফাউন্ডেশন ও সরকার সমন্বিতভাবে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের সাহায্য ও পুনর্বাসনে কাজ করতে পারে।

কড়াইল বস্তিতে গত ২৫ নভেম্বর বিকেল ৫টা ২২ মিনিটে আগুন লাগার পর ১৬ ঘণ্টার চেষ্টায় পরের দিন সকাল ৯টা ৩০ মিনিটের দিকে আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসে।

ডা. মোস্তফা হাজেরা ফাউন্ডেশন বিশ্বব্যাপী ‘ফাইভ জিরো ক্যাম্পেইন’-এর মাধ্যমে মানুষের জীবন পরিবর্তনে কাজ করছে বলে জানান ফাউন্ডেশনের সদস্য আমেনা বেগম। বর্তমানে ফাউন্ডেশনটি ১৫টি দেশে কার্যক্রম পরিচালনা করছে বলেও জানান তিনি।

আমেনা বেগম বলেন, ‘আমাদের ফাউন্ডেশনটি সম্পূর্ণ নিজস্ব অর্থায়নে চলে। এটির প্রতিষ্ঠাতা এ কে এম গোলাম কিবরিয়া সবকিছুর খরচ বহন করেন। অতীতেও এ ফাউন্ডেশন দেশের বিভিন্ন দুর্যোগ মুহূর্তে মানুষের জন্য কাজ করেছে। এটি এখন কেবল বাংলাদেশে সীমাবদ্ধ নয়, বরং পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে মানবিক কাজ করছে।’
খাবার বিতরণের সময় ফাউন্ডেশনের সদস্য আয়েশা ফেরদৌস, কর্মকর্তা শাহাদাত হোসেন রাসেল, ফাউন্ডেশনের ম্যানেজার বিল্লাহ হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ