পবিত্র হজ উপলক্ষে এজেন্সিগুলোর জন্য চারটি নির্দেশনা দিয়েছে সৌদি আরব সরকার। শনিবার বাংলাদেশের ধর্ম মন্ত্রণালয় চিঠি দিয়ে নির্দেশনাগুলো বিভিন্ন হজ এজেন্সিকে জানিয়েছে।

চিঠিতে বলা হয়, চাঁদ দেখার ওপর নির্ভর করে ৫ জুন সৌদি আরবে পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হবে। হজ ফ্লাইট শুরু হয়েছে গত ২৯ এপ্রিল, চলবে ৩১ মে পর্যন্ত। এ সময়ে হজ এজেন্সিগুলোকে সৌদি সরকারের নির্দেশনা মেনে চলার আহ্বান জানানো হচ্ছে।

‘তথ্য সঠিকভাবে প্রদান ও প্রস্তুতি’ শীর্ষক প্রথম নির্দেশনায় বলা হয়, হজযাত্রীদের তথ্য নুসুক মাসার ও ই-হজ সিস্টেমে যথাযথভাবে আপলোড করতে হবে। একই সঙ্গে পরিষেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর বিমানবন্দর থেকে হজযাত্রীদের গ্রহণ এবং নির্ধারিত আবাসনে পৌঁছে দেওয়ার যাবতীয় প্রস্তুতি হজযাত্রার আগেই করতে হবে।

‘নুসুক আইডি ব্যবহার’ শীর্ষক দ্বিতীয় নির্দেশনা হলো সৌদি আরবে অবস্থানকালীন প্রত্যেক হজযাত্রীর জন্য নুসুক আইডি কার্ড পরা বাধ্যতামূলক। এ কার্ড ছাড়া পবিত্র মসজিদ ও অন্যান্য ধর্মীয় স্থানে প্রবেশ করা যাবে না।

‘অভিজ্ঞ গাইডের ব্যবস্থা’ নামে তৃতীয় নির্দেশনায় বলা হয়, হজযাত্রীদের সহায়তা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রতিটি দলের সঙ্গে এমন গাইড রাখতে হবে, যারা মক্কা ও মদিনার পথঘাট সম্পর্কে অভিজ্ঞ। আর ‘জরুরি যোগাযোগ’ শীর্ষক চতুর্থ নির্দেশনা হলো হজ-সংক্রান্ত যে কোনো প্রশ্ন, অভিযোগ বা সমস্যা সমাধানে ২৪ ঘণ্টা চালু হেল্পলাইন নম্বর ১৯৬৬ এ যোগাযোগ করা যাবে।

সৌদি পৌঁছেছেন ৫৮ হাজারের বেশি হজযাত্রী

ধর্ম মন্ত্রণালয়ের হজ অফিস থেকে আজ প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, শনিবার সকাল ১০টা পর্যন্ত বাংলাদেশ থেকে ১৫০টি হজ ফ্লাইটে ৫৮ হাজার ৪০ হজযাত্রী সৌদি আরব পৌঁছেছেন।

চলতি বছর বাংলাদেশ থেকে ৮৭ হাজার ১০০ জন হজ পালনের জন্য সৌদি আরব যাবেন। এর মধ্যে ৫ হাজার ২০০ জন সরকারি ব্যবস্থাপনায় এবং ৮১ হাজার ৯০০ জন যাচ্ছেন বেসরকারি ব্যবস্থাপনায়।

হজযাত্রী পরিবহন করছে তিনটি এয়ারলাইন্স। এর মধ্যে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স পরিচালনা করেছে ৭৮টি, সৌদি এয়ারলাইন্স ৫১টি এবং ফ্লাইনাস এয়ারলাইন্স ২১টি ফ্লাইট পরিচালনা করছে।

৯ হজযাত্রীর মৃত্যু

এদিকে হজব্রত পালনে গিয়ে শনিবার পর্যন্ত ৯ বাংলাদেশি হজযাত্রী সৌদি আরবে মৃত্যুবরণ করেছেন বলে প্রতিবেদনে জানিয়েছে হজ অফিস।
 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: হজ হজয ত র র জন য ল ইন স সরক র

এছাড়াও পড়ুন:

কড়াইল বস্তিতে আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মধ্যে খাবার বিতরণ

রাজধানীর কড়াইল বস্তিতে ভয়াবহ আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর মধ্যে খাবার বিতরণ করেছে ডা. মোস্তফা হাজেরা ফাউন্ডেশন। সোমবার দুপুরে কড়াইল বস্তির ঈদগাহ মাঠে অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত চার হাজার মানুষের মধ্যে এ খাবার বিতরণ করা হয়।

ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা ও উপদেষ্টা এ কে এম গোলাম কিবরিয়া অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে পুনর্বাসনে সরকারের সঙ্গে একসঙ্গে কাজ করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন। তিনি সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগের কাছে জরুরি ভিত্তিতে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানান, যাতে ফাউন্ডেশন ও সরকার সমন্বিতভাবে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের সাহায্য ও পুনর্বাসনে কাজ করতে পারে।

কড়াইল বস্তিতে গত ২৫ নভেম্বর বিকেল ৫টা ২২ মিনিটে আগুন লাগার পর ১৬ ঘণ্টার চেষ্টায় পরের দিন সকাল ৯টা ৩০ মিনিটের দিকে আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসে।

ডা. মোস্তফা হাজেরা ফাউন্ডেশন বিশ্বব্যাপী ‘ফাইভ জিরো ক্যাম্পেইন’-এর মাধ্যমে মানুষের জীবন পরিবর্তনে কাজ করছে বলে জানান ফাউন্ডেশনের সদস্য আমেনা বেগম। বর্তমানে ফাউন্ডেশনটি ১৫টি দেশে কার্যক্রম পরিচালনা করছে বলেও জানান তিনি।

আমেনা বেগম বলেন, ‘আমাদের ফাউন্ডেশনটি সম্পূর্ণ নিজস্ব অর্থায়নে চলে। এটির প্রতিষ্ঠাতা এ কে এম গোলাম কিবরিয়া সবকিছুর খরচ বহন করেন। অতীতেও এ ফাউন্ডেশন দেশের বিভিন্ন দুর্যোগ মুহূর্তে মানুষের জন্য কাজ করেছে। এটি এখন কেবল বাংলাদেশে সীমাবদ্ধ নয়, বরং পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে মানবিক কাজ করছে।’
খাবার বিতরণের সময় ফাউন্ডেশনের সদস্য আয়েশা ফেরদৌস, কর্মকর্তা শাহাদাত হোসেন রাসেল, ফাউন্ডেশনের ম্যানেজার বিল্লাহ হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ