ন্যূনতম সংস্কার করে ডিসেম্বরের মধ্যেই জাতীয় সংসদ নির্বাচন দাবি
Published: 25th, May 2025 GMT
রাজনৈতিক সংকট নিরসনে প্রয়োজনীয় ন্যূনতম সংস্কার করে চলতি ২০২৫ সালের মধ্যেই জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনের দাবি জানিয়েছে বাম গণতান্ত্রিক জোট। তাদের অভিযোগ, অন্তর্বর্তী সরকার রাজনৈতিক দলগুলোকে আস্থায় না নিয়ে শুধু একটি বিশেষ দল ও গোষ্ঠীর প্রতি সমর্থন ব্যক্ত করায় দূরত্ব ও সংকট তৈরি হয়েছে। তাই দেশের উদ্ভূত রাজনৈতিক সংকটের দায় অন্তর্বর্তী সরকারকেই নিতে হবে বলে মনে করে বাম জোট।
আজ রোববার দুপুরে ঢাকায় বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বাম গণতান্ত্রিক জোটের পরিচালনা কমিটির এক বৈঠকে এ কথাগুলো বলা হয়। পরে জোটের পক্ষ থেকে গণমাধ্যমে একটি বিবৃতি পাঠানো হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, অন্তর্বর্তী সরকার সংস্কার ও গণহত্যার বিচারপ্রক্রিয়াকে দীর্ঘসূত্রতার কৌশলে ফেলে এখতিয়ার বহির্ভূতভাবে মিয়ানমারের সঙ্গে মানবিক করিডর, চট্টগ্রাম বন্দরের নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনাল বিদেশি কোম্পানির কাছে লিজ দেওয়ার মতো কিছু সিদ্ধান্ত নিতে গিয়ে বর্তমান রাজনৈতিক সংকট তৈরি করেছে। এমন অবস্থায় সরকারের উচিত চব্বিশের গণহত্যার বিচারপ্রক্রিয়াকে জনগণের কাছে দৃশ্যমান করা এবং একটি সুষ্ঠু গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য প্রয়োজনীয় ন্যূনতম সংস্কার করে ২০২৫ সালের মধ্যে জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজন করে নির্বাচিত সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করা।
অন্তর্বর্তী সরকার রাজনৈতিক দলগুলোকে আস্থায় না নিয়ে শুধু একটি বিশেষ দল ও গোষ্ঠীর প্রতি সমর্থন ব্যক্ত করায় দূরত্ব তৈরি হয়ে সংকটের জন্ম দিয়েছে বলে বাম জোটের বিবৃতিতে অভিযোগ করা হয়। এতে বলা হয়, আজ জোটের সভার প্রস্তাবে আরও বলা হয়, সম্প্রতি প্রধান উপদেষ্টার পদত্যাগের যে সংবাদ গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে, এর প্রকৃত রহস্য কী, তা দেশবাসীর কাছে এখনো অজানা। প্রধান উপদেষ্টার বিষয় সরকারের কোনো মুখপাত্রের দিক থেকে না এসে একটি নতুন দলের আহ্বায়ক মারফত গণমাধ্যমে প্রকাশিত হওয়ায় দেশবাসীর মধ্যে সন্দেহ আরও ঘনীভূত হয়েছে যে এটা ইউনূস সরকারের ভাবমূর্তির সংকট পুনরুদ্ধারের কোনো পরিকল্পিত প্রকল্প কি না।
‘যারা সরকারের কাজের সমালোচনা করছে, তারা পতিত ফ্যাসিস্টের দোসর এবং বিদেশি শক্তির ইন্ধনে কাজ করছে’—প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব এমন কথা বলেছেন উল্লেখ করে বাম জোট বলেছে, এমন বক্তব্য বাস্তবে সরকারের ব্যর্থতার দায় অন্যদের ওপর চাপানোর চেষ্টা। এমন বক্তব্য পতিত ফ্যাসিস্ট শক্তির সুরের সঙ্গে মিলে যায়। প্রস্তাবে সব গঠনমূলক সমালোচনা বিবেচনায় নিয়ে ঐকমত্যের ভিত্তিতে দেশ পরিচালনা করার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানানো হয়।
বাম গণতান্ত্রিক জোটের সমন্বয়ক ও বাংলাদেশের বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল কবির জাহিদ বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন। সিপিবির সভাপতি মোহাম্মদ শাহ আলম ও সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন (প্রিন্স), বাসদের সাধারণ সম্পাদক বজলুর রশিদ ফিরোজ, বাসদের (মার্ক্সবাদী) কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক মাসুদ রানা, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির সাধারণ সম্পাদক মোশরেফা মিশু, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক পার্টির নির্বাহী সভাপতি আব্দুল আলী প্রমুখ জোটের বৈঠকে অংশ নেন।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: গণত ন ত র ক র জন ত ক সরক র র
এছাড়াও পড়ুন:
ভোট ম্যানুয়ালি গণনার আবেদন করলেন উমামা ফাতেমা
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনের ভোট ম্যানুয়ালি (হাতে) গণনা করার আবেদন করেছেন স্বতন্ত্র শিক্ষার্থী ঐক্য প্যানেলের সহসভাপতি (ভিপি) প্রার্থী উমামা ফাতেমা। সোমবার প্রধান রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে লিখিত আবেদন করেন তিনি।
আবেদনে উমামা ফাতেমা লিখেছেন, ‘আমরা স্বতন্ত্র শিক্ষার্থী ঐক্য প্যানেলের পক্ষ থেকে সদ্য অনুষ্ঠিত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ নির্বাচন এবং হল সংসদ নির্বাচন ২০২৫–এর নির্বাচনকেন্দ্রিক স্বচ্ছতা যাচাইকরণের উদ্দেশ্যে প্রতিটি কেন্দ্রের ভোটদাতাদের তালিকার কপি, ওএমআর মেশিনের পরিবর্তে ম্যানুয়ালি পুনরায় ভোট গণনা এবং ভোটকেন্দ্রে ভোটারদের প্রবেশের সিসিটিভি ফুটেজ শিক্ষার্থীদের জন্য উন্মুক্ত করার অনুরোধ করছি।’
৯ সেপ্টেম্বর ডাকসু নির্বাচনের ভোট গ্রহণ হয়। ওই দিন নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা চলার মধ্যে রাত সোয়া তিনটার পর ফেসবুকে এক পোস্টে ভোট বর্জনের ঘোষণা দেন উমামা ফাতেমা।
ডাকসু নির্বাচনে ভিপি পদে জয়ী হন ছাত্রশিবির–সমর্থিত প্যানেল ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোটের সাদিক কায়েম। তিনি পেয়েছিলেন ১৪ হাজার ৪২ ভোট। অন্যদিকে ৩ হাজার ৩৮৯ ভোট পেয়ে চতুর্থ হন স্বতন্ত্র শিক্ষার্থী ঐক্য প্যানেলের উমামা ফাতেমা।
আরও পড়ুনডাকসুর ২৮ পদে কার সঙ্গে কার প্রতিদ্বন্দ্বিতা হলো, জয়ের ব্যবধান কত১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫