মা হতে যাচ্ছেন ‘কাভি খুশি কাভি গাম’ সিনেমার সেই ছোট্ট পু
Published: 26th, May 2025 GMT
করন জোহর পরিচালিত বহুল আলোচিত চলচ্চিত্র ‘কাভি খুশি কাভি গাম’। অমিতাভ বচ্চন, জয়া বচ্চন, শাহরুখ খান, কাজল, হৃতিক রোশান, কারিনা কাপুর খানের মতো শিল্পীরা অভিনয় করেন চলচ্চিত্রটিতে। যশরাজ ফিল্মস প্রযোজিত এ চলচ্চিত্র ২০০১ সালে মুক্তির পর দারুণ সাড়া ফেলেছিল। দুই দশক পরও এখনো দর্শক মনে রেখেছেন এই চলচ্চিত্রের কথা।
‘কাভি খুশি কাভি গাম’ সিনেমায় পূজা বা ‘পু’ চরিত্রে অভিনয় করেন কারিনা কাপুর খান। এ অভিনেত্রীর ছোটবেলার চরিত্র রূপায়ন করেন মালবিকা রাজ। ছোট্ট সেই ‘পু’ অর্থাৎ মালবিকা এখন আর ছোট নেই; তার বয়স এখন ৩১ বছর। এবার মা হতে যাচ্ছেন মালবিকা।
এ ছবি পোস্ট করে মা হতে যাওয়ার ঘোষণা দেন মালবিকা
আরো পড়ুন:
৩২ বছর পর নির্মিত হচ্ছে ‘খলনায়ক’ সিনেমার সিক্যুয়েল
মুকুল দেবের সংসার কেন ভেঙেছিল?
বর প্রণব বাগার সঙ্গে তোলা একটি ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করেছেন মালবিকা। তাতে দেখা যায়, উচ্ছ্বসিত মালবিকা প্রেগন্যান্সি টেস্টের কিট প্রদর্শন করেছেন। দুজনের মাথায়ই ক্যাপ। মালবিকার ক্যাপের সামনে লেখা, “মম।” আর প্রণবের ক্যাপের সামনে লেখা, ‘ড্যাড।”
এ ছবির ক্যাপশনে মালবিকা লেখেন, “তুমি + আমি= ৩।” হ্যাশট্যাগে লেখা, “আমাদের লিটল সিক্রেট। বেবি আসছে।” তারপর থেকে ভক্ত-অনুরাগী ও সহকর্মীদের শুভেচ্ছা বার্তায় ভাসছেন এই দম্পতি।
মালবিকার বর প্রণব পেশায় একজন ব্যবসায়ী। দীর্ঘ দিন ধরে তার সঙ্গে সম্পর্কে ছিলেন মালবিকা। ২০২২ সালের আগস্টে তুরস্কে বাগদান সারেন তারা। ২০২৩ সালের ২৯ নভেম্বর প্রণবের সঙ্গে সাতপাকে বাঁধা পড়েন মালবিকা রাজ। ইন্ডিয়া টুডে জানায়, গোয়ার ওয়েস্টিনে বসেছিল মালবিকা-প্রণবের বিয়ের আসর। সেখানে পারিবারিক আয়োজনে সাতপাকে বাঁধা পড়েন এই দম্পতি।
১৯৯৩ সালে ১৮ সেপ্টেম্বর মুম্বাইতে জন্মগ্রহণ করেন মালবিকা। তার বাবা ববি রাজ একজন বলিউড প্রযোজক-পরিচালক। মালবিকা কিংবদন্তী অভিনেত্রী অনিতা রাজের ভাইঝি। তারকা পরিবারেরই সন্তান মালবিকা রাজ।
‘কাভি খুশি কাভি গাম’ সিনেমার মাধ্যমে মালবিকার চলচ্চিত্রে অভিষেক ঘটে। তার অসাধারণ স্টাইলে ছোট্ট ‘পু’ তখন অনেকেরই নজরে এসেছিল। ‘স্কোয়াড’ সিনেমায়ও অভিনয় করেছেন মালবিকা। এটি ওটিটি প্ল্যাটফর্মে মুক্তি পায়।
২০১০ সালে মিস ইন্ডিয়া প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেছিলেন মালবিকা। যদিও তিনি জয়ী হতে পারেননি। কিন্তু ২০১৫ সালে সিওলে ‘মিস এশিয়া’ খেতাব অর্জন করেন। এখন মডেলিং নিয়েই বেশি সময় পার করেন তিনি।
ঢাকা/শান্ত
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চলচ চ ত র চলচ চ ত র প রণব
এছাড়াও পড়ুন:
পুলিশ কমিশন অধ্যাদেশের খসড়া প্রস্তুত, সচিব কমিটি উপদেষ্টা পরিষদে পাঠাবে
পুলিশ কমিশন অধ্যাদেশ, ২০২৫-এর খসড়া প্রস্তুত করা হয়েছে। দু-এক দিনের মধ্যে অধ্যাদেশের খসড়াটি সচিব কমিটির মাধ্যমে উপদেষ্টা পরিষদে অনুমোদনের জন্য যাবে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানিয়েছে।
আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুলের নেতৃত্বে উপদেষ্টাদের সমন্বয়ে একটি কমিটি প্রস্তাবিত পুলিশ কমিশনের কাঠামো ও কার্যক্রমের খসড়া তৈরি করেছে।
খসড়ায় প্রস্তাব করা হয়েছে, সুপ্রিম কোর্টের একজন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এই কমিশনের চেয়ারপারসন হবেন। সদস্য থাকবেন একজন অবসরপ্রাপ্ত জেলা জজ; গ্রেড-২ পদমর্যাদার নিচে নন এমন একজন অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা; অতিরিক্ত মহাপুলিশ পরিদর্শক পদমর্যাদার নিচে নন এমন একজন অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তা; পুলিশ একাডেমির একজন অবসরপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ; আইন, অপরাধবিজ্ঞান বিষয়ের একজন কর্মরত বা অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক; ১৫ বছর অভিজ্ঞতা রয়েছে এমন একজন মানবাধিকারকর্মী।
আরও পড়ুনপুলিশকে রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত রাখতে স্বাধীন কমিশন অপরিহার্য৮ ঘণ্টা আগেকমিশনের চেয়ারপারসন আপিল বিভাগের বিচারপতি এবং সদস্যরা হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতির সমপদমর্যাদার হবেন।কমিশনের চেয়ারপারসন আপিল বিভাগের বিচারপতি এবং সদস্যরা হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতির সমপদমর্যাদার হবেন। সদস্যরা যোগদানের দিন থেকে চার বছর নিজ নিজ পদে থাকবেন। মেয়াদ শেষে কোনো সদস্য আবার নিয়োগের যোগ্য হবেন না।
অধ্যাদেশের খসড়ায় বলা হয়েছে, পুলিশ কমিশনের নির্দেশ বা সুপারিশ প্রতিপালনে বাধ্যবাধকতার বিষয়ে বলা হয়েছে—এই কমিশন যেকোনো কর্তৃপক্ষ বা সত্তাকে কোনো নির্দেশ দিলে উক্ত কর্তৃপক্ষ বা সত্তা অনধিক তিন মাসের মধ্যে তা বাস্তবায়ন করে কমিশনকে অবহিত করতে হবে। তবে কমিশনের নির্দেশ বা সুপারিশ বাস্তবায়নে কোনো অসুবিধা হলে সে ক্ষেত্রে নির্দেশ বা সুপারিশ পাওয়ার অনধিক তিন মাসের মধ্যে কমিশনকে অবহিত করতে হবে। কমিশন বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করে যে নির্দেশ বা সুপারিশ পাঠাবে, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ সেই নির্দেশ বা সুপারিশ কমিশন নির্ধারিত সময়ের মধ্যে বাস্তবায়ন করে কমিশনকে জানাতে হবে।
আরও পড়ুনকোনো দল নয়, পুলিশের আনুগত্য থাকবে আইন ও দেশের প্রতি৯ ঘণ্টা আগেপুলিশ কমিশন গঠনের বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ঐকমত্যের পর জুলাই জাতীয় সনদেও এটি অন্তর্ভুক্ত হয়েছে।এই কমিশনের সদস্য পদে নিয়োগের সুপারিশ প্রদানের জন্য সাত সদস্যের সমন্বয়ে একটি বাছাই কমিটি গঠন করা হবে। খসড়া অধ্যাদেশে প্রধান বিচারপতির মনোনীত সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের একজন বিচারপতি, জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারপারসন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির মনোনীত একজন সরকারদলীয় এবং একজন বিরোধীদলীয় সংসদ সদস্যকে বাছাই কমিটিতে রাখার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। ন্যূনতম পাঁচ সদস্যের উপস্থিতিতে বাছাই কমিটির কোরাম হওয়া ও বাছাই কমিটির বাছাই প্রক্রিয়া শুরুর ৩০ দিনের মধ্যে প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার কথা বলা হয়েছে খসড়া প্রস্তাবে।
আরও পড়ুন‘আওয়ামী পুলিশ, বিএনপি পুলিশ’ তকমা নিয়ে আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ কঠিন: সাবেক আইজিপি নুরুল হুদা১৭ ঘণ্টা আগেপুলিশ কমিশন অধ্যাদেশ খসড়ায় কমিশন প্রতিষ্ঠা, কার্যালয়, সদস্যদের নিয়োগ, মেয়াদ, কমিশনের সদস্য হওয়ার জন্য কারা অযোগ্য, সদস্যদের পদত্যাগ, অপসারণ, পুলিশি কার্যক্রমে দক্ষতা বৃদ্ধি, শৃঙ্খলা, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি, নাগরিকের অভিযোগ অনুসন্ধান-নিষ্পত্তি, পুলিশ সদস্যদের সংক্ষোভ নিরসন, পুলিশপ্রধান নিয়োগ, আইন-বিধি, নীতিমালা প্রণয়ন ও গবেষণা বিষয়েও প্রস্তাব রাখা হয়েছে।
পুলিশ কমিশন গঠনের বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ঐকমত্যের পর জুলাই জাতীয় সনদেও এটি অন্তর্ভুক্ত হয়েছে।
আরও পড়ুনমাঝেমধ্যে শুনতে হয়, ‘উনি কি আমাদের লোক’: আইজিপি১৭ ঘণ্টা আগে