নারী-নেতৃত্বাধীন ক্যারিয়ারে অনেকের বেতন ৬ অঙ্কের, দেখুন সেরা ১০
Published: 26th, May 2025 GMT
ঐতিহাসিকভাবে পুরুষশাসিত সমাজে ক্যারিয়ারে কাজ করার ক্ষেত্রে নারীরা লিঙ্গবৈষম্যের শিকার হন বলে অভিযোগ শোনা যায়। তবে এটিও ঠিক যে বৈষম্য কমে আসছে। আগের চেয়ে অনেক বেশিসংখ্যক নারী কাজে যুক্ত হচ্ছেন আর সর্বোচ্চ বেতনও পাচ্ছেন। অনেক নারী আছেন, যাঁরা অনেকেই ছয় অঙ্কের বেতন পান, যেটাকে আমরা সিক্স ডিজিট স্যালারি বলি। এর ফলে তাঁরা নিজেদের নানা সিদ্ধান্ত নিতে পারেন।
ক্যারিয়ার বা চাকরির ক্ষেত্রে একটি ধারণা প্রচলিত আছে, অনেক সময় জোর দিয়েও বলা হচ্ছে যে পুরুষেরা নেতৃত্বের জন্য বেশি উপযুক্ত। কর্মক্ষেত্র নিয়ে করা এক জরিপের ফলাফলে ৭৮ শতাংশ কর্মজীবী নারীকে ‘অত্যধিক আবেগপ্রবণ’ বা ‘অত্যধিক সংবেদনশীল’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। পুরুষেরা ‘অত্যধিক আবেগপ্রবণ’ বা ‘অত্যধিক সংবেদনশীল’–এর ক্ষেত্রে মাত্র ১১ শতাংশ। তবে এতে অবাক হওয়ার কিছু নেই; কারণ, মাত্র ছয় শতাংশ নারী প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) আছেন বিশ্বে।
২০২৫ সালে এসে এসব পরিসংখ্যান আবার পরিবর্তিত হতে শুরু করেছে। কারণ, সর্বাধিক বেতনের পেশাগুলোয় নারীদের আধিপত্য দিনকে দিনকে বাড়ছে, তাঁরা কর্মক্ষেত্রে বড় বড় অবদান রাখছেন এবং সমাজে বড় প্রভাবও পড়ছে। এই অগ্রগতির স্বীকৃতি মিলেছে রিজিউম জিনিয়াসের সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে।
রিজিউম জিনিয়াস মার্কিনভিত্তিক চাকরি খোঁজার ওয়েবসাইট, তারা ইউরোপের সুইজারল্যান্ডেও কাজ করে। তাইওয়ানেও আছে তাদের মার্কেটিং অফিস।
রিজিউম জিনিয়াস ২০২৫ হাইয়েস্ট–পেয়িং, ইউমেন–লিড ক্যারিয়ার্স রিপোর্টে দেখা যাচ্ছে, নারীরা পুরুষদের চেয়ে সেরা এবং সংখ্যায় বেশি। রিজিউম জিনিয়াসের গবেষকেরা ইউমেন ব্যুরো এবং ইউএস ব্যুরো অব লেবার স্ট্যাটিসটিকস থেকে তথ্য সংগ্রহ করেছেন। যেসব চাকরিতে নারীরা পুরুষদের চেয়ে বেশি (শিল্পে ৫০ শতাংশেরও বেশি) তাদের বার্ষিক গড় বেতন অনুসারে একটি তালিকা করা হয়েছে। সেই তালিকা অনুযায়ী সেরা নারীদের শীর্ষ ১০ চাকরির তালিকা প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবসা–বাণিজ্যভিত্তিক সাময়িকী ফোর্বস। দেখে নেওয়া যাক এগুলো—
১.
নার্স অবেদনবিদ: এ পদে গড় বেতন ১ লাখ ৯৭ হাজার ৫২৩ ডলার। এ পেশায় ৫৫ শতাংশ নারী এবং ৩ লাখ ৪৯ হাজার ৬০০ জন চাকরি করছেন। পেশায় একজন অবেদনবিদের কাজ পরিচালনা এবং রোগীর সেবা যত্নের কাজ করেন। এ জন্য নার্সিংয়ে স্নাতক ডিগ্রি প্রয়োজন। এর সঙ্গে এ–সংক্রান্ত নিবন্ধিত (লাইসেন্স) এবং আইসিইউতে কাজ করার কমপক্ষে এক বছরের অভিজ্ঞতা প্রয়োজন। এরপর স্নাতক-স্তরের স্বীকৃত নার্স অবেদনবিদ (নার্স অ্যানেস্থেসিয়া) প্রোগ্রাম সম্পন্ন করতে হবে এবং একটি সার্টিফিকেশন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে।
২.
ফার্মাসিস্ট: ১ লাখ ২৮ হাজার ১৩২ ডলার বেতন। এ পেশায় আছেন ৫৭ শতাংশ নারী এবং ৩ লাখ ৩৭ হাজার ৭০০ জন চাকরি করছেন। এ চাকরিতে রোগী বা রোগীর স্বজনকে ওষুধ বিতরণ এবং ওষুধের ব্যবহার এবং ডোজ সম্পর্কে নির্দেশনা প্রদান করতে হয়। এ ছাড়া স্বাস্থ্যসেবা–সংক্রান্ত দলের সদস্যদের ডোজ, ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সম্পর্কে অবহিত করতে হয়। এ চাকরির জন্য বিজ্ঞান-সম্পর্কিত বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রি এবং স্বীকৃত ফার্মেসি স্কুল থেকে ডক্টর অফ ফার্মেসি (ফার্ম. ডি.) ডিগ্রির প্রয়োজন। এরপরই দুটি গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে এবং নিবন্ধন (লাইসেন্স) পেতে হবে।
৩.
চিকিৎসক সহকারী: ১ লাখ ১৫ হাজার ৫৭৩ ডলার বেতন। এ পেশায় ৬৪ শতাংশই নারী এবং ১ লাখ ৫৩ হাজার ৪০০ জন চাকরিতে নিয়োজিত। একজন চিকিৎসক সহকারী (Physician assistan–PA) হিসেবে, একজন চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে রোগীদের পরীক্ষা এবং চিকিৎসাসেবা দিতে হয়। ওষুধ লেখা এবং রোগীর সেলাই বা ফ্র্যাকচারের মতো শারীরিক আঘাতের চিকিৎসায় সহায়তা করতে হয় এ পেশায়। এ পেশার জন্য স্বীকৃত প্রোগ্রাম থেকে ফিজিশিয়ান অ্যাসিস্ট্যান্ট স্টাডিজে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি প্রয়োজন। ফিজিশিয়ান অ্যাসিস্ট্যান্ট ন্যাশনাল সার্টিফাইং এক্সামিনেশনও (PANCE) পাস করতে হবে।
ছবি: সংগৃগীতউৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ক জ কর
এছাড়াও পড়ুন:
নির্বাচন সামনে রেখে সরকারের ৩১ বিভাগকে প্রস্তুতির নির্দেশ ইসির
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে এবার এক নতুন আলোচনায় এসেছে গণভোট আয়োজনের সম্ভাবনা। রাজনৈতিক দলগুলোর নানামুখী প্রস্তাব ও অন্তর্বর্তী সরকারের সিদ্ধান্ত বিবেচনায় নিয়ে নির্বাচন কমিশন (ইসি) বলেছে, সরকার যদি চায় তাহলে সংসদ নির্বাচনের সঙ্গে একযোগে বা আলাদা দিনেও গণভোট আয়োজন সম্ভব। এজন্যই কমিশন সরকারের ৩১টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগকে আগাম প্রস্তুত থাকতে নির্দেশ দিয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এএমএম নাসির উদ্দিনের সভাপতিত্বে এই আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এতে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, স্বরাষ্ট্র, জনপ্রশাসন, অর্থ, আইন, পররাষ্ট্র, শিক্ষা, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা, স্থানীয় সরকার, তথ্য, স্বাস্থ্য, বিদ্যুৎ, সড়ক পরিবহনসহ ৩১টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগের সচিব উপস্থিত ছিলেন।
ইসির কর্মকর্তারা জানান, বৈঠকের মূল উদ্দেশ্য ছিল- একদিকে আসন্ন সংসদ নির্বাচনের সার্বিক প্রস্তুতি পর্যালোচনা, অন্যদিকে গণভোট আয়োজনের সম্ভাব্য পরিস্থিতি বিবেচনায় আগাম পরিকল্পনা গ্রহণ।
গণভোটের প্রস্তুতি নির্দেশনা
নির্বাচন কমিশন সূত্র জানায়, বৈঠকের শুরুতেই সিইসি নাসির উদ্দিন বলেন, “গণভোট নিয়ে নানা আলোচনা চলছে। তবে এটি হবে কি না, কবে হবে তা নির্ধারণ করবে সরকার। আমাদের দায়িত্ব হচ্ছে, যদি গণভোট আয়োজনের নির্দেশ আসে, তাহলে যেন তা নির্বিঘ্নে সম্পন্ন করা যায় সে জন্য প্রস্তুতি রাখা।”
নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ সভায় বলেন, “সংসদ নির্বাচন ও গণভোট একসঙ্গে হলে ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা বাড়বে। সেক্ষেত্রে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তার সংখ্যাও বাড়াতে হবে। এজন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর ও মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যেন তারা আগে থেকেই বিদ্যালয়গুলো প্রস্তুত রাখে।”
সভায় আরো জানানো হয়, দুটি ভোট একসঙ্গে হলে ব্যয় বৃদ্ধি পাবে, এজন্য অর্থ মন্ত্রণালয়কে প্রয়োজনীয় অর্থ সংস্থানের প্রস্তুতি নিতে বলা হয়েছে। ইসি ইতোমধ্যে খসড়া ভোটকেন্দ্র তালিকা তৈরি করেছে। এই তালিকা অনুযায়ী কেন্দ্রগুলোর রাস্তা, বিদ্যুৎ সংযোগ ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা ঠিক রাখার নির্দেশও দেওয়া হয়।
ভোটকেন্দ্র, অবকাঠামো ও লজিস্টিক প্রস্তুতি
সভায় আলোচনা হয়, দেশের ৪২ হাজারের বেশি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে ভোটকেন্দ্র হিসেবে ব্যবহারের প্রস্তুতি নিতে হবে। যেসব স্থানে ভবন সংস্কারের প্রয়োজন রয়েছে, স্থানীয় সরকার ও শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরকে দ্রুত সংস্কার সম্পন্ন করতে বলা হয়েছে।
ইসির নির্দেশে জেলা প্রশাসন ও উপজেলা প্রশাসনকে বলা হয়েছে, প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে যাতায়াতের রাস্তা যেন ভোটের আগে মেরামত ও প্রবেশযোগ্য হয়। দূরবর্তী ও দুর্গম এলাকায় হেলিপ্যাড সংস্কারের নির্দেশও দেওয়া হয়েছে, যাতে প্রয়োজনে জরুরি পরিবহন বা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চলাচলে সমস্যা না হয়।
এছাড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সিসি ক্যামেরা সচল রাখা, ভোটের দিন নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করা এবং নির্বাচনি কর্মকর্তাদের লজিস্টিক সহায়তা ও যানবাহন নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
মেডিকেল টিম ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা
সভায় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের প্রতিনিধিরা জানান, নির্বাচনের দিন প্রতিটি উপজেলায় একটি মেডিকেল টিম গঠন করা হবে। প্রতিটি টিমে একজন চিকিৎসক, একজন নার্স ও প্রয়োজনীয় ওষুধ থাকবে। দুর্গম এলাকায় ইউনিয়নভিত্তিক সহায়ক টিমও থাকবে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়, আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় বিজিবি, পুলিশ, আনসার ও র্যাবকে যৌথভাবে প্রস্তুত রাখা হবে। প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে অন্তত একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট থাকবেন, যিনি আচরণবিধি প্রতিপালন তদারকি করবেন।
প্রযুক্তি ও নজরদারি ব্যবস্থা
ইসি জানিয়েছে, ভোটগ্রহণ ও ফলাফল প্রেরণে এবার সর্বাধুনিক ডিজিটাল ভোট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (ডিভিএমএস) ব্যবহার করা হবে। এতে কেন্দ্র থেকে সরাসরি ফলাফল জেলা ও জাতীয় পর্যায়ে পাঠানো সম্ভব হবে।
ইসির সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ বলেন, “আমরা চাই ফলাফল যেন দ্রুত ও নির্ভুলভাবে ঘোষণা করা যায়। সেই জন্যই প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়ানো হচ্ছে।”
তিনি আরো জানান, ভুয়া খবর ও বিভ্রান্তি রোধে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক একটি মনিটরিং সেল গঠন করা হচ্ছে, যা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভ্রান্ত তথ্য ছড়িয়ে পড়লে তাৎক্ষণিকভাবে ব্যবস্থা নেবে।
গণভোটের সাংবিধানিক ও রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট
বাংলাদেশের সংবিধানে ১৪২(১)-এর উপধারায় বলা আছে যদি সংবিধান সংশোধন বা জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে জনমত জানতে হয়, তবে গণভোট আয়োজন করা যেতে পারে।
সরকার ও রাজনৈতিক মহলে সম্প্রতি সংবিধানের কিছু অনুচ্ছেদে সংস্কার এবং ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণ নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে। সেই সূত্রেই গণভোটের বিষয়টি সামনে এসেছে।
তবে রাজনৈতিকভাবে বিষয়টি সংবেদনশীল। কিছু দল মনে করছে, একই সঙ্গে নির্বাচন ও গণভোট আয়োজন করলে প্রশাসনিক চাপ বেড়ে যাবে; আবার কেউ কেউ বলছে, এতে ব্যয় কমবে ও জনসম্পৃক্ততা বাড়বে।
একজন জ্যেষ্ঠ নির্বাচন কর্মকর্তা বলেন, “ইসি প্রস্তুতি নিচ্ছে এমনভাবে, যেন সরকার যেদিন গণভোটের সিদ্ধান্ত দেবে, সেদিনই কাজ শুরু করা যায়।”
অর্থনৈতিক প্রস্তুতি ও বাজেট বরাদ্দ
ইসি সূত্রে জানা গেছে, সংসদ নির্বাচন একা আয়োজনের জন্য যে বাজেট প্রস্তাব করা হয়েছে তা প্রায় ৮,২০০ কোটি টাকা। কিন্তু গণভোট যুক্ত হলে ব্যয় আরো ৩,০০০ থেকে ৩,৫০০ কোটি টাকা পর্যন্ত বাড়তে পারে।
অর্থ বিভাগের সচিব বৈঠকে জানান, বাজেট সংস্থান বিষয়ে প্রাথমিক কাজ শুরু হয়েছে এবং ব্যয় সাশ্রয়ী হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অপ্রয়োজনীয় খরচ না করে শুধু অপরিহার্য খাতে অর্থ ব্যয় করতে বলা হয়েছে।
ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা ও প্রশিক্ষণ পরিকল্পনা
ইসি সচিব বলেন, “আমরা প্রিজাইডিং, সহকারী প্রিজাইডিং ও পোলিং কর্মকর্তাদের একটি পূর্ণাঙ্গ প্যানেল তৈরি করছি। শিক্ষক, সরকারি ব্যাংক কর্মকর্তা ও অন্যান্য দপ্তরের কর্মচারীরা এতে থাকবেন।”
ইসি চায়, ভোটগ্রহণে যেন নিরপেক্ষ ও অভিজ্ঞ কর্মকর্তারা দায়িত্ব পালন করেন। এজন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে নিরপেক্ষ শিক্ষকদের তালিকা দিতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
তথ্য মন্ত্রণালয় ও প্রচার কৌশল
ভোটার সচেতনতা বাড়াতে ইসি সংসদ টেলিভিশন ও বাংলাদেশ টেলিভিশনের (বিটিভি) এয়ারটাইম ব্যবহার করবে। এছাড়া সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভোটাধিকার ও আচরণবিধি বিষয়ে সচেতনতামূলক ভিডিও প্রচার করা হবে। তথ্য মন্ত্রণালয় ও ইসি যৌথভাবে এই প্রচার অভিযান পরিচালনা করবে।
বিদেশি পর্যবেক্ষক ও প্রবাসী ভোটার
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনায় সিদ্ধান্ত হয়েছে, বিদেশি পর্যবেক্ষকদের ভিসা ও অনুমতি প্রক্রিয়া দ্রুত করা হবে। একই সঙ্গে ইসি প্রবাসী বাংলাদেশি ভোটারদের জন্য ডিজিটাল পোস্টাল ব্যালট সিস্টেম চালু করছে। আগামী ১৬ নভেম্বর এর ট্রায়াল অ্যাপ উদ্বোধন হবে বলে জানিয়েছেন সচিব আখতার আহমেদ।
সরকারি সফরে সচিবদের দায়িত্ব স্মরণ করিয়ে দিল ইসি
বৈঠকে সিইসি কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে বলেন, “আপনারা সরকারি সফরে দেশের যেখানেই যান না কেন, নির্বাচনী প্রস্তুতি সম্পর্কে খোঁজখবর নেবেন। এটি আমাদের জাতীয় দায়িত্ব।”
তিনি আরো বলেন, “নির্বাচন কমিশন নির্বাচনের সার্বিক প্রস্তুতিতে সরকারের পূর্ণ সহায়তা চায়। কারণ নির্বাচন কমিশন একা এই বিশাল আয়োজন করতে পারে না, সব মন্ত্রণালয়ের সমন্বয় জরুরি।”
সাবেক নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তা ও ঢাকা-১৪ আসনের ভোটার তৌহিদুর রহমান বলেন, “সব মিলিয়ে নির্বাচন কমিশনের এই বৈঠক শুধু প্রশাসনিক নয়, বরং রাজনৈতিক ও সাংবিধানিক প্রেক্ষাপটেও গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, এটি ইঙ্গিত দেয় যে সরকার গণভোটের সম্ভাবনা খতিয়ে দেখছে এবং ইসি চাইছে আগেভাগে প্রস্তুত থাকতে যাতে কোনো অঘটন বা বিলম্ব না ঘটে।”
তিনি বলেন, “এখন অপেক্ষা সরকারের সিদ্ধান্তের। সংসদ নির্বাচন ও গণভোট কি একসঙ্গে হবে, নাকি আলাদা দিনে। যেভাবেই হোক, নির্বাচন কমিশনের এই আগাম প্রস্তুতি বাংলাদেশের নির্বাচনি ব্যবস্থাকে আরো সংগঠিত ও প্রযুক্তিনির্ভর হবে।”
ঢাকা/এস