জনগণের নিরাপদ খাদ্য প্রাপ্তি নিশ্চিতে সম্ভাব্য সবকিছুই করা হবে
Published: 26th, May 2025 GMT
জনগণের জন্য নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করতে সরকার সম্ভাব্য সবকিছুই করবে বলে জানিয়েছেন খাদ্য উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার।
তিনি বলেন, “নিরাপদ খাদ্য শরীরের সুস্থতার পূর্বশর্ত। একে নিশ্চিত করতে হলে খাদ্য শৃঙ্খলের সাথে জড়িত সবার সক্রিয় অংশগ্রহণ প্রয়োজন।”
সোমবার (২৬ মে) সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত জাতীয় নিরাপদ খাদ্য ব্যবস্থাপনা উপদেষ্টা পরিষদের নবম সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
খাদ্য উপদেষ্টা বলেন,“দেশে খাদ্যের ঘাটতি না থাকলেও নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতে আমাদের সক্ষমতার ঘাটতি রয়েছে।শুধু আইন-বিধি প্রয়োগ করে সমস্যার সমাধান হবে না; ব্যক্তিগত ও প্রাতিষ্ঠানিক পর্যায়ে সবাইকে সচেতন হতে হবে। সচেতনতার শুরুটা হতে হবে নিজ ঘর থেকে।”
সভায় জানানো হয়, জাপান সরকারের অর্থায়নে দশ বছর মেয়াদি ২ হাজার ৪০৯ কোটি ৭০ লাখ টাকার ‘ফুড সেফটি টেস্টিং ক্যাপাসিটি ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট’-এর আওতায় রাজধানীতে একটি ফুড সেফটি রেফারেন্স ল্যাবরেটরি, চট্টগ্রাম ও খুলনায় দুটি খাদ্য পরীক্ষাগার এবং প্রশিক্ষণ ভবন নির্মাণসহ প্রয়োজনীয় অবকাঠামো ও সক্ষমতা উন্নয়ন কার্যক্রম চলছে।
এর ফলে ঢাকা, চট্টগ্রাম ও খুলনা বিভাগের খাদ্য পরীক্ষার সক্ষমতা উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়বে বলে সভায় আশাবাদ ব্যক্ত করা হয়। পাশাপাশি দেশের অন্যান্য বিভাগেও নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতে অবকাঠামো সম্প্রসারণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
সভায় জাতীয় নিরাপদ খাদ্য ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত বিদ্যমান বিধি-বিধান ও নির্দেশনাগুলো দ্রুত চূড়ান্ত করতে অংশীজনের মতামত সংগ্রহের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের জনবল বৃদ্ধি এবং কার্যক্রমকে দেশব্যাপী সম্প্রসারণে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের দিকেও গুরুত্বারোপ করা হয়।
সভায় উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব ড.
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, “নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করা কেবল একটি স্বাস্থ্যগত বিষয় নয়, এটি জনগণের মৌলিক অধিকার। এজন্য সংশ্লিষ্ট সব সংস্থাকে সমন্বিতভাবে কাজ করতে হবে।”
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব বলেন, “নিরাপদ খাদ্যকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে বিবেচনা করতে হবে এবং এ লক্ষ্যে নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের জনবল বৃদ্ধিতে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
ঢাকা/আসাদ/সাইফ
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ন র পদ খ দ য ন শ চ ত মন ত র
এছাড়াও পড়ুন:
জুলাই সনদ জনগণের নয়, কিছু উপদেষ্টার প্রয়োজন: হাফিজ
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বলেছেন, ‘‘জুলাই সনদ নিয়ে অনেক কথাবার্তা হচ্ছে। আমি মনে করি—জুলাই সনদ দেশের জনগণের প্রয়োজন নেই। কিছু ব্যক্তি যারা উপদেষ্টা হয়েছেন, যারা ভবিষ্যতে বাংলাদেশে বসবাস করতে গেলে বিভিন্ন প্রশ্নের মুখে পড়বেন; তাদের জন্য হয়তো প্রয়োজন আছে।’’
শনিবার (১ নভেম্বর) ঢাকায় জাতীয় প্রেস ক্লাবে জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের আয়োজনে ‘স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও গণতন্ত্র রক্ষায় আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন অপরিহার্য’ শীর্ষক মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশে তিনি এই কথা বলেন।
আরো পড়ুন:
রাজশাহী মহানগর বিএনপির সভাপতি মামুন, সম্পাদক রিটন
একাত্তরের গণহত্যার জন্য জামায়াত নিষিদ্ধ চান আলাল
হাফিজ উদ্দিন আহমদ বলেন, ‘‘এই ধরনের সনদের আমাদের প্রয়োজন নেই। আমাদের প্রয়োজন–একটা পার্লামেন্ট। যেখানে আগামী দিনের ভাগ্য নির্ধারণ করবে। যেই পার্লামেন্ট এই সনদকে বাস্তবায়িত করবে এবং আগামী গণতন্ত্রকে পরিপূর্ণভাবে বিকশিত করতে সক্ষম হবে।’’
তিনি বলেন, ‘‘বাংলাদেশে প্রয়োজন একটি নির্বাচন। যেখানে জনগণ প্রতিনিধিদের নির্বাচিত করতে পারবে। আমরা আশা করব, আগামীতে একটি জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পাদিত হবে। এই নির্বাচনে যারা বিজয়ী হবেন, জনগণের প্রতিনিধি হবেন; তারাই জুলাই সনদকে সমর্থন করবেন।’’
‘‘আমার দল বিএনপি জুলাই সনদকে সমর্থন করে, আমরাও এটি সমর্থন করতে বাধ্য। কিন্তু, এটার মধ্যে এমন জিনিস ঢোকাবেন না, যেটি নিয়ে আগে ঐকমত্য কমিশনের মিটিংয়ে আলোচনা হয়নি।’’- যোগ করেন তিনি।
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘‘পিআর নিয়ে কথা হচ্ছে। দেশের জনগণকে জিজ্ঞেস করেন, কেউ পিআর চিনেও না। পিআর কেউ চায়ও না। আমরা শত বছর ধরে একজন ব্যক্তিকে নির্বাচিত করে আসছি। তারা (পিআর দাবি করা দলগুলো) ব্যক্তির কাছ থেকে, ভোটারের কাছ থেকে ক্ষমতা তুলে নিয়ে একটা রাজনৈতিক দলের কাছে সমর্পণ করতে চায়। আমরা চাই, বর্তমান যে ব্যবস্থায় নির্বাচন হচ্ছে, সেই ব্যবস্থার মাধ্যমে যাতে নির্বাচন হয়।’’
হাফিজ উদ্দিন আরো বলেন, ‘‘আমাদের একটা প্রতিবেশী রাষ্ট্র আছে, যারা চায় না বাংলাদেশ স্বনির্ভর হোক। নিজের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব অক্ষত থাকুক, এটা তারা চায় না। তারা আশ্রয় দিয়েছে মাফিয়া শেখ হাসিনাকে। শেখ হাসিনা সেখানে বসে কীভাবে বাংলাদেশে নাশকতা করা যায়, সে বিষয়ে নানা ধরনের ষড়যন্ত্র করছেন। কলকাতায় তারা অফিস খুলেছেন। আমি তাদেরকে একটা পরামর্শ দেব। শুধু কলকাতা নয়, ভারতের প্রত্যেকটা প্রদেশে আপনারা একটা করে অফিস খুলেন। ভারতের কাছ থেকে সনদ নেন। তারপরে ভারতের রাজনীতিতে আপনারা মিশে যান। বাংলাদেশে আপনাদের কোনো প্রয়োজন নেই।’’
ঢাকা/রায়হান/রাজীব