ময়মনসিংহে মুক্তিযোদ্ধা ও নারীকে কুপিয়ে হত্যা, আহত ৪
Published: 27th, May 2025 GMT
ময়মনসিংহের ভালুকায় কাঁচি ও কোদাল দিয়ে কুপিয়ে এক নারী ও এক বীর মুক্তিযোদ্ধাকে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন চারজন। তাদের মধ্যে দুইজনকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৭ মে) বিকেল ৫টার দিকে উপজেলার ডাকাতিয়া ইউনিয়নের কাতলামারি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এলাকার পাঁচগাঁও গ্রামে ঘটনাটি ঘটে। পুলিশ অভিযুক্ত সাইদুলকে (৪০) আটক করেছে।
ভালুকা মডেল থানার ওসি মো.
আরো পড়ুন:
কথিত পীর আজাদের বাসা থেকে অস্ত্র উদ্ধার, ২ নারী আটক
ঢাবির ছাত্রদল নেতা হত্যা: ১ জনের দোষ স্বীকার, ২ জন রিমান্ডে
নিহতরা হলেন- পাঁচগাঁও গ্রামের শহীদ মিয়ার স্ত্রী হাফেজা আক্তার (৫২) ও মৃত সলিম উদ্দিনের ছেলে বীর মুক্তিযোদ্বা গাজী আশারাফ আলি আশু (৭০)।
আহতরা হলেন- একই গ্রামের আব্দুস সামাদ (৩০), সাকিম (৩৫), বীর মুক্তিযোদ্বা আলী শিকদার (৭৫), জেবুননাহার (৫০)।
ভালুকা মডেল থানার ওসি মো. হুমায়ুন কবির জানান, ঘাতক সাইদুল মানসিকভারসাম্যহীন। তার ভাই সাইদুলকে ঘরে আটকে রেখেছিল। জানালা ভেঙে বিকেলের দিকে সাইদুল ঘর থেকে বের হন। ঘাস কাটতে আসা হাফেজার হাত থাকা কাঁচি কেড়ে নেন তিনি। পরে তাকে কাঁচি দিয়ে গলা ও বুকে আঘাত করে হত্যা করেন সাইদুল।
তিনি আরো জানান, এর কিছুক্ষণ পর সাইদুল একই গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্বা গাজী আশারাফ আলি আশুকে কোদাল দিয়ে মাথায় আঘাত করেন। গুরুতর অবস্থায় স্থানীয় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক বীর মুক্তিযোদ্বা গাজী আশারাফ আলি আশুকে মৃত ঘোষণা করেন। এসময় সাইদুল একই এলাকার আব্দুস সামাদ, সাকিম, বীর মুক্তিযোদ্বা আলী শিকদার ও জেবুননাহারকে কুপিয়ে আহত করেন। তাদের মধ্যে দুইজনকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য সাইফুল ইসলাম বলেন, ঘাতক সাইদুল মানসিকভারসাম্যহীন রোগী। তার ভাই সাইদুলকে ঘরে আটকে রেখেছিল। তিনি জানালা ভেঙে বিকালের দিকে ঘরের বাইরে আসেন। তিনি কুপিয়ে দুইজনকে হত্যা ও চারজনকে আহত করেন।”
ওসি হুমায়ুন কবির বলেন, “স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় পুলিশ ঘাতক সাইদুলকে আটক করে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।”
ঢাকা/মিলন/মাসুদ
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর হত য আটক অভ য গ দ ইজনক
এছাড়াও পড়ুন:
নয়াপল্টনে পরশু ছাত্রদল-যুবদল-স্বেচ্ছাসেবক দলের ‘তারুণ্যের সমাবেশ’, ১৫ লাখ জমায়েতের আশা
ঢাকার নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে আগামী বুধবার (২৮ মে) ‘তারুণ্যের রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠার সমাবেশ’ করবে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল, যুবদল ও স্বেচ্ছাসেবক দল। সমাবেশে ঢাকা, সিলেট, ফরিদপুর ও ময়মনসিংহ থেকে ১৫ লাখ তরুণের জমায়েত আশা করছেন আয়োজকেরা।
আজ সোমবার ঢাকায় বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানানো হয়।
এই সমাবেশে তরুণদের কাছে টানতে মে মাসজুড়ে কর্মসূচি ঘোষণা করে বিএনপির এই তিন সংগঠন। কর্মসূচি অনুযায়ী, চারটি বড় বিভাগ ও শহরে দুই দিন করে মোট আট দিন সেমিনার ও সমাবেশ করেছেন তাঁরা। এর আগে চট্টগ্রাম, খুলনা আর বগুড়ায় সেমিনার ও সমাবেশ হয়েছে। সর্বশেষ আয়োজন বসছে রাজধানী ঢাকায়।
সংবাদ সম্মেলনে স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এস এম জিলানী বলেন, ‘আমরা চট্টগ্রামে তারুণ্যের মিলনমেলা দেখেছি। খুলনা ও বগুড়ায় আমাদের লক্ষ্য শতভাগ অর্জিত হয়েছে। ঢাকার সমাবেশে সব রেকর্ড ভেঙে ১৫ লাখ তরুণ-তরুণী যোগ দেবেন বলে আশা রাখছি।’
লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন যুবদলের সভাপতি আবদুল মোনায়েম মুন্না। লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, দুই দিনের কর্মসূচির কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে দেশের তরুণ প্রজন্ম। ঢাকা, ফরিদপুর, সিলেট ও ময়মনসিংহের প্রতিনিধিত্বকারী তরুণদের অংশগ্রহণে আগামীকাল মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত হবে ‘তারুণ্যের ভবিষ্যৎ ভাবনা, ভবিষ্যৎ বাংলাদেশ’শীর্ষক সেমিনার এবং আগামী বুধবার অনুষ্ঠিত হবে ‘তারুণ্যের রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠার সমাবেশ’।
যুবদলের সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম বলেন, ‘বিগত সরকারের সময়ে দলীয় পরিচয়ে চাকরি দেওয়া হয়েছে। তরুণদের দাবি, রাষ্ট্র যাতে তাঁদের কর্মসংস্থান নিশ্চিত করে। সে সক্ষমতা বিএনপির রয়েছে। বিএনপি ক্ষমতায় এলে প্রথম ১৮ মাসের মধ্যে এক কোটি তরুণের কর্মসংস্থান করা হবে।’
লিখিত বক্তব্যে আরও জানানো হয়, তরুণদের নিয়ে ধারাবাহিক সেমিনার ও সমাবেশ কেবল একটি রাজনৈতিক কর্মসূচি নয়, এটি একটি বৃহৎ নীতিগত প্রয়াস। এর মাধ্যমে ভবিষ্যতের রাষ্ট্রচিন্তায় তরুণদের সম্পৃক্ত করা হচ্ছে। এই সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দেশের তরুণ প্রজন্মের সামনে দলের রাষ্ট্রচিন্তা, রাজনৈতিক রূপরেখা ও ভবিষ্যৎ কৌশল তুলে ধরবেন।
সমাবেশে আরও উপস্থিত থাকবেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, আবদুল মঈন খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও সালাহউদ্দিন আহমদ।