পাচার হওয়া সম্পদ ফেরত আনতে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা চেয়েছে বাংলাদেশ
Published: 28th, May 2025 GMT
উন্নয়নশীল দেশগুলো থেকে অবৈধভাবে পাচার হওয়া সম্পদ পুনরুদ্ধারে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা আরও জোরদার করার আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ। জাতিসংঘের সাউথ-সাউথ কোঅপারেশনের উচ্চ পর্যায়ের কমিটির ২২তম অধিবেশনে এ আহ্বান জানান জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত সালাহউদ্দিন নোমান চৌধুরী।
তিনি বলেন, ‘বিশ্বব্যাপী ন্যায়বিচার ও পারস্পরিক আস্থার ভিত্তিতে পাচার হওয়া সম্পদ ফেরত আনার লক্ষ্যে সম্মিলিত রাজনৈতিক সদিচ্ছা গড়ে তোলা জরুরি।’ তিনি আরও বলেন, ‘স্বল্পোন্নত দেশ (এলডিসি) থেকে উত্তরণের প্রক্রিয়ায় থাকা দেশগুলোর জন্য বর্তমান বিশেষ সুবিধাগুলি ধাপে ধাপে তুলে নেয়া উচিত, যেন উত্তরণ প্রক্রিয়া টেকসই হয়।’
রাষ্ট্রদূত চৌধুরী সামাজিক উদ্যোগ বা ‘সোশ্যাল বিজনেস’-এর গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন, ‘স্বাস্থ্য, শিক্ষা, খাদ্য নিরাপত্তা ও নবায়নযোগ্য শক্তির মতো খাতে এই ধরনের উদ্যোগ উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য ইতিবাচক ও গুণগত পরিবর্তন আনতে পারে।’
তিনি উন্নয়নের প্রধান চালিকাশক্তি হিসেবে যুবসমাজের ভূমিকা তুলে ধরে বলেন, ‘তরুণদের উন্নয়ন প্রক্রিয়ার কেন্দ্রবিন্দুতে রাখতে হবে। তাদের সম্ভাবনা কাজে লাগাতে শিক্ষা ও উদীয়মান প্রযুক্তিখাতে, বিশেষ করে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মতো খাতে, দক্ষতা বৃদ্ধিতে বিনিয়োগ বাড়াতে হবে।’
উন্নয়নশীল দেশগুলোর মধ্যে সহযোগিতা বৃদ্ধির মাধ্যমে একটি ন্যায়সঙ্গত ও অন্তর্ভুক্তিমূলক ‘তিন শূন্যের’ (দারিদ্র্য শূন্য, কার্বন নিঃসরণ শূন্য এবং বৈষম্য শূন্য) বিশ্ব গঠনের প্রতি বাংলাদেশের অটল সমর্থনের কথাও পুনর্ব্যক্ত করেন রাষ্ট্রদূত।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
চীনা শিক্ষার্থীদের ভিসা ‘কঠোরভাবে’ বাতিলের ঘোষণা যুক্তরাষ্ট্রের
বিশ্বজুড়ে বিদেশি শিক্ষার্থীদের ভিসা আপয়েন্টমেন্ট কার্যক্রম আপাতত স্থগিতের পর চীনা শিক্ষার্থীদের ভিসা ‘কঠোরভাবে’ বাতিলের ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এছাড়া চীন ও হংকং থেকে আসা শিক্ষার্থীদের ভিসা যাচাইয়ের প্রক্রিয়া আরও কঠোর করবে দেশটি।
বৃহস্পতিবার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
সংবাদমাধ্যমটি বলছে, চীনা শিক্ষার্থীদের ভিসা কঠোরভাবে বাতিলের ঘোষণা দিয়েছে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও বুধবার এক বিবৃতিতে বলেছেন, এই পদক্ষেপে এমন শিক্ষার্থীরাও অন্তর্ভুক্ত হবেন যাদের চীনা কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিসি) সঙ্গে যোগাযোগ রয়েছে কিংবা যারা “সংবেদনশীল বা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে” পড়াশোনা করছেন।
তিনি আরও জানান, ভবিষ্যতে চীন ও হংকং থেকে আসা শিক্ষার্থীদের ভিসা যাচাইয়ের প্রক্রিয়া আরও কঠোর করা হবে।
বিবিসি বলছে, এই সিদ্ধান্তের পেছনে যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার প্রভাব রয়েছে। ট্রাম্পের নেতৃত্বে বাণিজ্যযুদ্ধ, প্রযুক্তি খাত ও ভিসা নীতিতে নানা পাল্টা ব্যবস্থা নেওয়ার ফলে দুই দেশের সম্পর্ক বিগত কয়েক মাসে তলানিতে ঠেকেছে।
এর আগে গত সোমবার এক কূটনৈতিক বার্তায় মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও বিশ্বজুড়ে মার্কিন দূতাবাসগুলোকে নতুন শিক্ষার্থী ভিসার জন্য আপয়েন্টমেন্ট কার্যক্রম বন্ধ রাখতে নির্দেশ দেন।