জাতিসংঘ সতর্ক করে বলেছে, ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে ইসরায়েলের অব্যাহত বোমাবর্ষণ ও নতুন করে এলাকা খালি করার নির্দেশ বেসামরিক ফিলিস্তিনিদের জীবন ধ্বংস করছে। 

গাজায় ইসরায়েলের নতুন বাস্তুচ্যুতির নির্দেশে ৪০ শতাংশেরও বেশি এলাকা রয়েছে বলে উল্লেখ করেছে জাতিসংঘ। খবর তুরস্কের বার্তা সংস্থা আনাদোলুর।

মঙ্গলবার (২৭ মে) মানবিক বিষয়ক সমন্বয় অফিস (ওবিএইচএ) এর উদ্ধৃতি দিয়ে জাতিসংঘের মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিক বলেন, “আমরা জোর দিয়ে বলছি যে, গাজায় দুর্ভিক্ষ রোধ করতে এবং যেখানেই থাকুক না কেন সকল বেসামরিক নাগরিকের চাহিদা মেটাতে মানবিক কার্যক্রমের একটি অর্থবহ স্কেল বৃদ্ধি অপরিহার্য।”

আরো পড়ুন:

গাজায় স্কুল ও আবাসিক ভবনে ইসরায়েলের ভয়াবহ হামলা, নিহত ৪৯

ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়ার ঘোষণা মাল্টার

ইসরায়েলের আক্রমণ হাজার হাজার মানুষকে পালিয়ে যেতে বাধ্য করছে বলে উল্লেখ করে ডুজারিক বলেন, “গতকাল, রাফা, খান ইউনিস এবং মধ্য গাজার প্রায় ১৫৫ বর্গকিলোমিটার (৬০ বর্গমাইল) এলাকা জুড়ে ইসরায়েল নতুন করে আরেকটি বাস্তুচ্যুতির আদেশ জারি করেছে। ৬০টিরও বেশি এলাকা খালি করতে বলা হয়েছে। এটি গাজা উপত্যকার ৪০ শতাংশেরও বেশি এলাকাকে প্রতিনিধিত্ব করে।"

জাতিসংঘের মুখপাত্র উল্লেখ করেন, বেইত হানুন, ইজবাত বেইত হানুন এবং বেইত লাহিয়ার বাস্তুচ্যুতি স্থানগুলো প্রায় খালি, অন্যদিকে খান ইউনিসের বাসিন্দারা এখনও প্রাকৃতিক দুর্যোগের কবলে রয়েছে এবং খাবার ছাড়াই দীর্ঘ দূরত্ব হেঁটে শারীরিকভাবে ক্লান্ত।

ডুজারিক বলেন, “মার্চ মাসে নতুন করে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে, আমাদের অংশীদারদের অনুমান, ৬ লাখ ৩২ হাজারেও বেশি মানুষ আবারো পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে।”

স্বাস্থ্যসেবার অবনতি সম্পর্কে তিনি বলেন, “গত সোমবার থেকে যুদ্ধ, আক্রমণ বা বাস্তুচ্যুতি আদেশের কারণে দুই ডজনেরও বেশি স্বাস্থ্যকেন্দ্র এবং মোবাইল ক্লিনিক এবং একটি হাসপাতাল তাদের পরিষেবা স্থগিত করেছে।”

তিনি ইসরায়েলকে গাজায় মানবিক সাহায্যে প্রবেশের জন্য সব সীমান্ত ক্রসিং খুলে দেওয়ার আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করে বলেন, “আন্তর্জাতিক আইনকে সম্মান করতে হবে এবং আর বিলম্ব না করে মানবিক কার্যক্রম সক্রিয় করতে হবে।”

ঢাকা/ফিরোজ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ইসর য় ল ইসর য় ল র

এছাড়াও পড়ুন:

১ জুন থেকে মিলবে ২০, ৫০ ও ১০০০ টাকার নতুন নোট

ঈদের আগে আগামী ১ জুন থেকে নতুন নোট বাজারে ছাড়বে বাংলাদেশ ব্যাংক। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি বাদ দিয়ে নতুন ডিজাইনের ২০, ৫০ ও ১০০০ টাকার নোট ছাড়া হবে। প্রথম দিন বাংলাদেশ ব্যাংকের মতিঝিল অফিস থেকে সীমিত পরিসরে নতুন নোট ছাড়া হবে। পরে ঢাকার কয়েকটি বাণিজ্যক ব্যাংকের শাখার মাধ্যমে নোট ছাড়ার পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানা গেছে।

প্রতিবছর ঈদের আগে নতুন নোট বাজারে ছাড়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এবারে একে তো নতুন নোট, তার ওপর নতুন ডিজাইন, ফলে এ নিয়ে ব্যাপক আগ্রহ তৈরি হয়েছে।

রমজানের ঈদকে কেন্দ্র করে প্রতিবছর নতুন নোটের চাহিদা থাকে। তবে গত রমজানের ঈদে নতুন নোট বাজারে ছাড়েনি কেন্দ্রীয় ব্যাংক। মূলত জুলাই বিপ্লবের পর টাকায় শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়। এরপর আগের ডিজাইনের টাকা বাজারে ছাড়ার কার্যক্রম স্থগিত করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। ব্যাংকগুলোর কাছে যে নতুন নোট গচ্ছিত ছিল তাও বাজারে দিতে নিষেধ করা হয়।

বাংলাদেশ ব্যাংকের একজন কর্মকর্তা সমকালকে বলেন, ঈদের আগে শুধু ২০, ৫০ ও ১০০০ টাকার নোট বাজারে আসছে। এছাড়া ৫, ১০, ১০০, ২০০ ও ৫০০ টাকার নতুন ডিজাইনের নোট ছাপা শুরু হবে ঈদের পর।

সম্পর্কিত নিবন্ধ