উত্তরপশ্চিম বঙ্গোপসাগর এবং তৎসংলগ্ন এলাকায় একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হয়েছে। এর প্রভাবে পটুয়াখালীতে গত দুই দিন ধরে থেমে থেমে মাঝারি বৃষ্টি হয়েছে। তবে বুধবার (২৮ মে) ভোররাত থেকে শুরু হয়েছে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টিপাত। 

এর আগে গতকাল মঙ্গলবার সকাল নয়টা থেকে বুধবার সকাল নয়টা পর্যন্ত জেলায় ২৯.৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে জেলা আবহাওয়া অফিস। 

এদিকে উপকূলীয় এলাকার আকাশ ঘন মেঘাচ্ছন্ন রয়েছে। তবে বাতাসের চাপ না বাড়লেও অমাবশ্যার জোয়ের প্রভাবে নদ-নদীর পানির উচ্চতা বৃদ্ধি পেয়েছে। গত দুইদিন ধরে জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হচ্ছে বেড়িবাঁধের বাইরের নিম্নাঞ্চল। উত্তাল রয়েছে কুয়াকাটা সংলগ্ন বঙ্গোপসাগর। সমুদ্রের তীড়ে আছড়ে পড়ছে ছোট বড় ঢেউ। 

আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা যায়, লঘুচাপটি আরো ঘনীভূত হতে পারে এবং উপকূলীয় এলাকা দিয়ে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। তাই পটুয়াখালীর পায়রাসহ দেশের চার সমুদ্র বন্দরকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। সকল মাছধরা ট্রলার সমূহকে উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।

পটুয়াখালী জেলা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাহবুবা সুখী বলেন, “লঘুচাপটি নিম্নচাপে রূপ নিতে পারে। এছাড়া উপকূলীয় এলাকায় ভারী বৃষ্টিপাত এবং ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। তবে এটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নেবে কিনা সেটি নিশ্চিত বলা যাচ্ছে না।”

ঢাকা/ইমরান/এস

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর উপক ল

এছাড়াও পড়ুন:

বামপন্থীদের উস্কানিমূলক স্লোগানের প্রতিবাদ ঢাবি ছাত্রশিবিরের

ছাত্রশিবিরের উদ্দেশ্যে বামপন্থিদের উস্কানিমূলক স্লোগানের প্রতিবাদ ও ক্যাম্পাসে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির অপতৎপরতা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে সংগঠনটির ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) শাখা।

বুধবার (২৯ মে) এক বিবৃতিতে এ উদ্বেগ প্রকাশ করেছে তারা।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, জুলাই ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে সুষ্ঠু, গণতান্ত্রিক ও সহাবস্থানের রাজনৈতিক পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। এতে ঢাবিতে সব ছাত্র সংগঠন তাদের রাজনৈতিক কার্যক্রম বাধাহীনভাবে পরিচালনা করতে পারছে। এর মধ্যে ছাত্র সংগঠনগুলোর নেতাকর্মী ও শিক্ষার্থীসহ সবার দীর্ঘদিনের দাবি—ডাকসু নির্বাচনের প্রক্রিয়াও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে।

আরো পড়ুন:

ঢাবিতে শিক্ষার্থীদের দুয়োধ্বনির শিকার বামপন্থীরা 

ঢাবিতে প্রকাশ্যে এল ইসলামী ছাত্রীসংস্থা

বিবৃতিতে আরো বলা হয়েছে, গত দুইদিন ধরে আমরা দেখতে পাচ্ছি, তথাকথিত মানবতাবিরোধী অপরাধের রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রমূলক মামলা থেকে ঢাবি শাখা ছাত্রশিবিরের প্রথম সভাপতি এটিএম আজহারের বেকসুর খালাস পাওয়াকে কেন্দ্র করে বিশ্ববিদ্যালয়ের বামপন্থী সংগঠনগুলো বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করছে। একটি গণতান্ত্রিক দেশে সবার যেকোনো বিষয়ে বিক্ষোভ করার কিংবা সংশ্লিষ্ট বিষয়ে বক্তব্য প্রদানের অধিকার রয়েছে। ছাত্রশিবিরের ঢাবি শাখা এই গণতান্ত্রিক নীতির প্রতি সবসময় শ্রদ্ধাশীল।

যৌথ বিবৃতিতে ঢাবি শাখার সভাপতি এসএম ফরহাদ ও সাধারণ সম্পাদক মহিউদ্দীন খান বলেন, বামপন্থিদের এই বিক্ষোভ থেকে ছাত্রশিবিরের বিরুদ্ধে পুরোনো, পতিত ফ্যাসিবাদের স্লোগান প্রতিধ্বনিত হচ্ছে। অতীতে স্বৈরাচারী হাসিনার আমলে যেসব স্লোগান ও রেটরিক ব্যবহার করে ছাত্রশিবিরকে অমানবিকীকরণ করে হত্যার বৈধতা উৎপাদন করা হয়েছিল, তারই পুনরাবৃত্তি করা হচ্ছে।

বুধবার রাতে অনুষ্ঠিত বামপন্থীদের বিক্ষোভ মিছিলে ‘বাঁশের লাঠি মিছিল হবে, শিবির তোমার মৃত্যু হবে’—এমন সন্ত্রাসী স্লোগানও দিতে দেখা গিয়েছে। এই স্লোগানের মধ্য দিয়ে বামপন্থিদের মধ্যে থাকা ছাত্রশিবিরকে হত্যার সুপ্ত হীন জিঘাংসা প্রতিফলিত হয়েছে।

নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, নতুন বাংলাদেশে ক্যাম্পাসে এ হত্যা ও সন্ত্রাসের রাজনীতির পুনরাবৃত্তির অপচেষ্টাকে শিক্ষার্থীরা ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করছে। গত মঙ্গলবার ও বুধবার রাতে বামপন্থিদের মশাল মিছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের হলপাড়া এলাকায় গেলে সাধারণ শিক্ষার্থীরা ‘ভুয়া ভুয়া’ বলে দুয়োধ্বনি দিয়ে তাদের প্রত্যাখ্যান করেছে। সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে সাধারণ শিক্ষার্থীদের এই প্রতিবাদ এবং যেকোনো যৌক্তিক প্রতিরোধকে ‘শিবির’ ট্যাগ দিয়ে শিক্ষার্থীদের হত্যাযোগ্য করার এই ফ্যাসিবাদী ধারা সম্পর্কে শিক্ষার্থীরা গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।

শিবির নেতারা বলেন, আমরা উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ্য করছি, ক্যাম্পাসের সুষ্ঠু ও গণতান্ত্রিক পরিবেশকে অস্থিতিশীল করার জন্য বামপন্থীদের এই বিক্ষোভ মিছিল থেকে বিভিন্ন ধরনের উসকানি দেওয়া হচ্ছে। দুঃখজনক বিষয় হলো, বামপন্থিদের এই মিছিলে দীর্ঘদিন ফ্যাসিবাদবিরোধী সংগ্রামের অন্যতম সহযোগী সংগঠন ছাত্রদলের ঢাবি শাখার কয়েকজন নেতাকর্মীকে অংশ নিতে দেখা গেছে, যারা উসকানিমূলক বক্তব্য দিয়েছেন। আমরা বলতে চাই, বামপন্থীদের চলমান বিক্ষোভ থেকে ক্যাম্পাসের সুষ্ঠু, গণতান্ত্রিক ও সহাবস্থানের পরিবেশ নষ্ট করার অপচেষ্টা চালানো হচ্ছে।

শিক্ষার্থীদের মধ্যে এই সংগঠনগুলোর গ্রহণযোগ্যতা ও সমর্থন না থাকায় তারা সবসময় ডাকসু নির্বাচন নিয়ে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে অনীহা প্রকাশ করে এসেছে। আমরা চলমান উত্তপ্ত পরিস্থিতিকে শিক্ষার্থীদের প্রাণের দাবি—আসন্ন ডাকসু নির্বাচন বানচাল করার ষড়যন্ত্র হিসেবে চিহ্নিত করছি। ক্যাম্পাসে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি করে ডাকসু নির্বাচন নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের চলমান অগ্রগতি থামিয়ে দিতে এই ধরনের অপচেষ্টাকে শিক্ষার্থীরা ঘৃণার সঙ্গে প্রত্যাখ্যান করছে।

ঢাকা/সৌরভ/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ