রাশিয়ায় ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূত ফয়সালকে ‘স্ট্যান্ড রিলিজ’
Published: 28th, May 2025 GMT
রাশিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূত (চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স-সিডিএ) মো. ফয়সাল আহমেদকে ‘স্ট্যান্ড রিলিজ’ করা হয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে তাকে ঢাকায় ফিরতে বলা হয়েছে। সেখানে ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূতের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে দূতাবাসের কাউন্সেলর (রাজনৈতিক) মো. নিয়াজ মোর্শেদকে।
জানা গেছে, সম্প্রতি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক অফিস আদেশে মস্কোর বাংলাদেশের ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূত ফয়সাল আহমেদকে ‘স্ট্যান্ড রিলিজ’ করা হয়। অপর অফিস আদেশে মঙ্গলবার (২৭ মে) মস্কো মিশনের কাউন্সেলর (রাজনৈতিক) মো.
এর আগে যুক্তরাষ্ট্রে কর্মরত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত আসাদ আলম সিয়ামকে পররাষ্ট্র সচিব হিসেবে দায়িত্ব দেওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে অন্তর্বর্তী সরকার। সরকারের এ সিদ্ধান্তের সমালোচনা করে ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূত ফয়সাল আহমেদ সরকারের রীতি-নীতি ভঙ্গ করে ফেসবুক একটি পোস্ট করেন।
গত ২২ মে ফয়সাল আহমেদ ফেসবুকে লেখেন, 'হ য ব র ল সেগুনবাগিচায় কে পররাষ্ট্র সচিব হবেন, নিশ্চিত নয়। একজন অতিরিক্ত সচিব আসাদ আলম সিয়ামকে ১০ জন সচিবকে ডিঙিয়ে কেন তড়িঘড়ি করে পররাষ্ট্র সচিব করা হচ্ছে বোধগম্য নয়। আসাদ আলম সিয়াম শেখ হাসিনার লয়ালিস্ট হিসেবে তিন বছর চিফ অব প্রটোকল ছিলেন। আওয়ামী লীগের ইন্টারেস্ট সার্ভ করার জন্যই পররাষ্ট্র উপদেষ্টা আসাদ আলম সিয়ামকে নির্বাচনকালীন সময়ে পররাষ্ট্র সচিব করতে চান।”
এছাড়া, ফয়সাল আহমেদের বিরুদ্ধে একজন নারী সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যৌন হয়রানিরও অভিযোগ করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
ঢাকা/হাসান/ইভা
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ফয়স ল আহম দ
এছাড়াও পড়ুন:
আমি কখনোই এনসিপিকে সমর্থন করব না: সায়ান
জামায়াতের সঙ্গে হাত মিলিয়ে কোলাকুলি করে ভোটের রাজনীতি করতে গিয়ে এই দেশে কিছুদিন আগেই একটা বড় দলের ত্রাহি মধুসূদন দশা হয়েছিল। আওয়ামী এমন নতুন ধারাবাহিক-গুরুতর পাপকর্ম করেছে দেশের মানুষের বিপক্ষে যে সেই দলের গুরু পাপকে ভুলিয়ে দিয়েছে প্রায়। নতুন দল এনসিপির সারজিস, হাসনাতরা প্রথম থেকেই তাদের রাজনীতি পরিষ্কার করে দিয়েছে। ধন্যবাদ। সেই হিসেবে দেশের মানুষের, আমাদের মতো সাধারণ মানুষের অনেক সুবিধা হলো। দিনের শেষে ভোটেই তো দাঁড়াতে হবে আপনাদের।
জামায়াতকে বুকের সঙ্গে আগলে রেখে, রাজাকারের ‘বেকসুর খালাসকে’ সেলিব্রেট করে আপনারা আমাদের ভোট চান? বিবেকবান স্বাভাবিক সাধারণ মানুষের? একাত্তরের পরে জন্মেছি বলে কি জামায়াত চিনি না? আলবদর চিনি না? বীরাঙ্গনার ব্যথা বুঝি না? এই দেশের ছোট ছোট বাচ্চারাও ইতিহাসবিদদের মতো দিন–তারিখের রেফারেন্স দিয়ে জামায়াতের জন্ম–ইতিহাস বলতে পারবে না হয়তো। কিন্তু জামায়াত কী, তাদের আদর্শ কী, তারা এই দেশের মানুষকে নিয়ে কী করতে চায়, তা আজকে সকালে জন্ম নেওয়া বাচ্চটাও কালকে বিকেলের মধ্যে শিখে যায়।
এনসিপি যে এই জায়গাটা ধরতে পারে নাই, তা তাদের বুদ্ধিমত্তার নির্দেশক। তারা নতুন দেশ গড়ার কথা বলে নিজেদের ভোটের জন্য জামায়াতকে বুকে টেনেছে বলে মনে হয়। আবার তাদের আরেকটি সঞ্চয় হলো ‘আওয়ামী-ঘৃণা’। আজকে দেশে অনেক অন্যায় ঘটছে। তাদের সেসবে হেলদোল নেই। কিন্তু জামায়াত আর আলবদরকে ভালোবাসায় তারা আগুয়ান। ধন্যবাদ এই স্বচ্ছতার জন্য।
আমি প্রতিমুহূর্তে নিজের রাজনীতিকে পরিবর্তন করার পক্ষে। আজকে যাকে ভালো লাগছে, কালকে তাকে ছুড়ে ফেলে দিতে দ্বিধা করি না, মাটির প্রশ্নে। সেই হিসাবে আমার রাজনৈতিক ইমান খুব তরল এবং সেটাই আমি চাই। নাহিদরা যখন বুক পেতে দিয়ে এগিয়ে গিয়েছিল গত জুলাইতে, ওদের জন্য ভালোবাসা ছিল, সমর্থন ছিল। সেদিন সেটাই ছিল আমার রাজনীতি। ওদের সেই মৃত্যুর মুখে দাঁড়ানো, সেটাকে সেই সময়ের সত্যিকারের দেশপ্রেম, আর মানুষপ্রেম, মাটিপ্রেম মনে হয়েছিল। তার জন্য আমি একটুও দুঃখিত হব না কোনো দিন। আমার সেই দিনের সমর্থনের জন্য আমি কোনো দিন অনুতপ্ত হব না। নেভার! কিন্তু গত কয়েক মাসের তাদের অনেক আচরণ, অনেক কিছু দেখতে দেখতে দেখছি, আজকে সেই একই দলের ছেলেমেয়েরা যে আজহারের বেকসুর খালাসকে উদ্যাপন করল, আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের সমর্থন করল, (এমনকি লজ্জায় বা কৌশলে চুপ করে থাকল না, প্রকাশ্যে সমর্থন করল), আর নাদিরা ইয়াসমিনের অন্যায়ভাবে বদলির বিরুদ্ধে একটা কথাও বলল না, এই দেশের একজন মানুষ হিসেবে এটাই আমার আপাতত রাজনীতি যে এরপর এই নতুন দলটিকে আনুষ্ঠানিকভাবে আজকে থেকে বর্জন করলাম। এইটুকু করার কথা ভেবেই নিজের অশান্ত মনকে আমি খানিকটা শান্তি দিতে পারছি। আগামী নির্বাচনে আমি এনসিপি, জামায়াত, এই সমমনা দলগুলোকে ভোট নিজে তো দেবই না; বরং মানুষকে অনুরোধ করব যেন তারা এই দলগুলো থেকে দূরে থাকে। একজন একক ব্যক্তি হিসেবে এটাই আমার সাধ্য। আমি এনসিপিকে সমর্থন করব না।
আরও পড়ুনআমি ভোট দেব, তবে আজীবনের আনুগত্য দেব না২২ নভেম্বর ২০২৪