যবিপ্রবিতে এয়ারটেলের কনসার্টে অবাধে মাদক সেবনের অভিযোগ
Published: 28th, May 2025 GMT
যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (যবিপ্রবি) ‘এয়ারটেল আড্ডা’র কনসার্ট ঘিরে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন স্থানে প্রকাশ্যে মাদকদ্রব্য সেবনের অভিযোগ উঠেছে।
এছাড়া বহিরাগতরা বিশ্ববিদ্যালয়ের হলে প্রবেশ করে মোটরসাইকেল ও বিভিন্ন যানবাহন পার্কিং করে খোলামেলা আড্ডা দিতে থাকেন। এতে শিক্ষার্থীরা নিরাপত্তা ঝুঁকিতে পড়েন ও হলের পরিবেশ বিঘ্নিত হয়।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, মঙ্গলবার (২৭ মে) এয়ারটেল আয়োজিত কনসার্টে সন্ধ্যার পর থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠ, জিমনেশিয়ামের পেছনের সড়ক, কবি নজরুল একাডেমিক ভবন ও জিমনেসিয়ামের মাঝামাঝি সড়ক, বিশ্ববিদ্যালয়ের বাস্কেটবল প্রাঙ্গণ, উপাচার্যের বাসভবন সংলগ্ন এলাকাসহ বিভিন্ন স্থানে প্রকাশ্যে মাদক সেবন করেন অনুষ্ঠানে আগত দর্শকরা।
আরো পড়ুন:
শিবির ছাত্র রাজনীতির পরিবেশকে টক্সিক করে তুলেছে: উমামা ফাতেমা
অভ্যুত্থানবিরোধীদের বিরূদ্ধে ব্যবস্থা নিতে ইবি উপাচার্য বরাবর স্মারকলিপি
সাধারণ শিক্ষার্থীরা মাদকদ্রব্য গ্রহণকারীদের হাতেনাতে ধরলেও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডি কিংবা আয়োজক কমিটির কোনো সদস্যের তেমন কোনো তৎপরতা দেখা যায়নি। বিশ্ববিদ্যালয়ে এভাবে প্রকাশ্যে মাদক গ্রহণের ঘটনায় প্রশাসনের নিষ্ক্রিয়তা ও নিরাপত্তা ব্যবস্থার দুর্বলতাকে দায়ী করেছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সিয়াম নামে এক শিক্ষার্থী বলেন, “বহিরাগতদের অনায়াসে প্রবেশ এবং প্রশাসনের তেমন কোনো তদারকি না থাকায় আজ (মঙ্গলবার) ক্যাম্পাসের পরিবেশ ভয়াবহ আকার ধারণা করেছে। গানের অনুষ্ঠান হতে পারে, কিন্তু তার আড়ালে মাদক সেবনের সুযোগ দেওয়াটা খুবই নিন্দনীয়।”
আরেক শিক্ষার্থী বলেন, “এ ধরনের আয়োজনে প্রশাসনের কঠোর নজরদারি থাকা উচিত ছিল। তা না হলে আমাদের সংস্কৃতি ও নিরাপত্তা দুটিই প্রশ্নের মুখে পড়ে।”
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডির কোনো সদস্যকে ঘটনাস্থলে দেখা যায়নি। তবে মাদক সেবনের বিভিন্ন ছবি ও ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে সমালোচনার মুখে পড়েন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডি।
এ বিষয়ে যবিপ্রবি প্রক্টর ড.
তিনি বলেন, “কয়েকজন বহিরাগত স্কুল শিক্ষার্থীকে গাঁজাসহ আটক করেছে শিক্ষার্থীরা। তবে মানবিক দিক বিবেচনা করে তাদের ভয়ভীতি দেখিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।”
এদিকে মাদক ও বহিরাগতদের অবাধে আবাসিক হলে প্রবেশ নিয়ন্ত্রণ করতে তাৎক্ষনিকভাবে মুন্সী মেহেরুল্লাহ হলের প্রবেশপথ বন্ধ করে দেওয়া হয়। তবে শহীদ মসিয়ূর রহমান হলে বহিরাগতদের আনাগোনা নিয়ন্ত্রণ করতে কর্তৃপক্ষের কোন পদক্ষেপ চোখে পড়েনি।
আবাসিক হলে বহিরাগতদের প্রবেশের বিষয়ে মুন্সী মেহেরুল্লাহ হলের প্রাধ্যক্ষ বলেন, “বহিরাগত প্রবেশে সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছিল। তবে কিভাবে তারা প্রবেশ করল, সেটা আমরা খতিয়ে দেখছি।”
এরপরই প্রাধ্যক্ষ বডি হলের প্রবেশপথে অভিযান পরিচালনা করে এবং বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের রেফারেন্স ও ড্রাইভিং লাইসেন্স দেখে বহিরাগতদের ছেড়ে দেয়।
ঢাকা/ইমদাদুল/মেহেদী
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর কনস র ট র পর ব স বন র প রব শ হল র প
এছাড়াও পড়ুন:
অবসরে যাচ্ছেন অতিরিক্ত আইজিপি মতিউর রহমান শেখ
পুলিশের অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক (অতিরিক্ত আইজিপি-প্রশাসন, গ্রেড-১) মো. মতিউর রহমান শেখ প্রায় ৩৪ বছরের বর্ণিল কর্মজীবন শেষে অবসরে যাচ্ছেন। বৃহস্পতিবার তাঁর শেষ কর্মদিবসে পুলিশ সদর দপ্তরের হল অব প্রাইডে তাঁকে বিদায় সংবর্ধনা দেওয়া হয়।
বৃহস্পতিবার পুলিশ সদর দপ্তরের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মতিউর রহমান শেখের বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম। সভায় অতিরিক্ত আইজিপি, ঢাকায় পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটের প্রধান ও পুলিশ সদর দপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সভাপতির বক্তব্যে পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম বলেন, বাংলাদেশ পুলিশে বিভিন্ন পদে দায়িত্ব পালনকালে মতিউর রহমান শেখ অত্যন্ত সুনামের সঙ্গে সফলভাবে দায়িত্ব পালন করেছেন। পুলিশের উন্নয়নে তিনি প্রশংসনীয় ভূমিকা রেখেছেন। আইজিপি বিদায়ী কর্মকর্তার সুস্থ ও সুন্দর জীবন কামনা করেন।
বিদায়ী অতিরিক্ত আইজিপি মতিউর রহমান শেখ তাঁর বক্তব্যে পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে সব সহকর্মীর সহযোগিতার জন্য কৃতজ্ঞতা জানান। সভায় উপস্থিত পুলিশ কর্মকর্তারা অনুষ্ঠানে বিদায়ী কর্মকর্তার পেশাগত ও ব্যক্তিজীবনের বিভিন্ন দিক তুলে ধরে তাঁর স্মৃতিচারণা করেন।
মো. মতিউর রহমান শেখ ১৯৯১ সালের ২০ জানুয়ারি সহকারী পুলিশ সুপার হিসেবে বাংলাদেশ পুলিশে যোগ দেন। তিনি খাগড়াছড়ি, রাজবাড়ী, বগুড়া ও কক্সবাজার জেলায় পুলিশ সুপার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি অতিরিক্ত আইজিপি হিসেবে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) প্রধান ছিলেন। সর্বশেষ পুলিশ সদর দপ্তরে অতিরিক্ত আইজিপি পদে দায়িত্ব পালন করেন তিনি।
সন্ধ্যায় যোগাযোগ করা হলে পুলিশ সদর দপ্তরের গণমাধ্যম ও জনসংযোগ বিভাগের সহকারী মহাপরিদর্শক (এআইজি) ইনামুল হক সাগর প্রথম আলোকে বলেন, আগামী শনিবার অতিরিক্ত আইজিপির (মতিউর রহমান শেখের) চাকরির মেয়াদ ৫৯ বছর পূর্ণ হচ্ছে। ওই দিন সাপ্তাহিক ছুটি থাকায় বৃহস্পতিবার তাঁর শেষ কর্মদিবস হিসেবে তাঁকে বিদায় সংবর্ধনা দেওয়া হয়।