ছবি: সাদ্দাম হোসেন
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
অধ্যাদেশ নিয়ে কর্মচারীদের দাবির কথা প্রধান উপদেষ্টার কাছে তুলে ধরবেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব
‘সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’ বাতিল করার বিষয়ে কর্মচারীদের দাবি মন্ত্রিপরিষদ সচিব শেখ আব্দুর রশীদের কাছে তুলে ধরেছেন দায়িত্বপ্রাপ্ত সচিবেরা। এখন মন্ত্রিপরিষদ সচিব এই বিষয়টি প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে তুলে ধরবেন।
এ রকম পরিস্থিতিতে নিজেদের অবস্থান জানাতে আজ বুধবার দুপুরে সংবাদ সম্মেলন ডেকেছেন সচিবালয়ের আন্দোলনকারী কর্মচারীরা।
পূর্ব সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আজ সকালে মন্ত্রিপরিষদ সচিবের কাছে যান ভূমি মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব এ এস এম সালেহ আহমেদসহ কয়েকজন সচিব। তাঁরা মন্ত্রিপরিষদ সচিবের কাছে আগের দিন কর্মচারীদের সঙ্গে হওয়া বৈঠকের বিষয়বস্তু তুলে ধরেন।
গতকাল মঙ্গলবারের ওই বৈঠকে কর্মচারী প্রতিনিধিরা ‘সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’ সম্পূর্ণভাবে বাতিলের দাবি জানিয়েছিলেন।
মন্ত্রিপরিষদ সচিবের সঙ্গে বৈঠক করে বেরিয়ে যাওয়ার সময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব দেন ভূমি মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব এ এস এম সালেহ আহমেদ। তিনি বলেন, মন্ত্রিপরিষদ সচিবের কাছে তাঁরা কর্মচারীদের দাবিসহ গতকালের আলোচনার বিষয়টি জানিয়েছেন। এখন এ বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিবের পক্ষে সিদ্ধান্ত নেওয়া সম্ভব নয়। তাই তিনি বিষয়টি প্রধান উপদেষ্টার কাছে তুলে ধরবেন।
প্রধান উপদেষ্টা গতকাল দিবাগত রাতে জাপান সফরে গেছেন। ৩১ মে তাঁর দেশে ফেরার কথা।
এ এস এম সালেহ আহমেদ বলেন, প্রধান উপদেষ্টা দেশে ফিরলে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বিষয়টি তাঁর কাছে তুলে ধরবেন।
দাবির বিষয়টি নিয়ে গতকাল ভূমি সচিবের সঙ্গে আলোচনা পরিপ্রেক্ষিতে আজকের জন্য কর্মসূচি স্থগিত করেছিলেন কর্মচারীরা। আজকের পরিস্থিতি নিয়ে দুপুরে সংবাদ সম্মেলন ডেকেছেন কর্মচারী নেতারা।
গত বৃহস্পতিবার অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮ সংশোধন করে সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫-এর খসড়া অনুমোদন হয়। এরপর থেকে এই অধ্যাদেশের বিরোধিতা করে আন্দোলনে নামেন বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের কর্মচারীরা। আন্দোলনের মধ্যেই গত রোববার সন্ধ্যায় সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫ জারি করে সরকার।
এই অধ্যাদেশ প্রত্যাহারের দাবিতে গত শনিবার থেকে টানা চার দিন সচিবালয়ের ভেতরে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেন বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের কর্মচারীরা। নিজেদের দপ্তর ছেড়ে বিপুলসংখ্যক কর্মচারী এই কর্মসূচিতে অংশ নেন। তাঁরা এই অধ্যাদেশকে নিবর্তনমূলক ও কালো আইন উল্লেখ করে তা বাতিলের দাবি করছেন।