আগামী কয়েক বছরের মধ্যে মঙ্গল গ্রহে মানুষের বসতি গড়তে চান স্পেসএক্স, টেসলাসহ খুদে ব্লগ লেখার সাইট এক্সের (সাবেক টুইটার) মালিক ইলন মাস্ক। মঙ্গল গ্রহে মানুষের বসতি গড়ার জন্য নিজের মালিকানাধীন মহাকাশযান নির্মাতা প্রতিষ্ঠান স্পেসএক্সের রকেটে করে ১০ লাখ মানুষকে মঙ্গল গ্রহে নিয়ে যেতে চান তিনি। এরই মধ্যে নিজের পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য এ বছরের মধ্যেই গ্রহটিতে স্পেসএক্সের মানববিহীন স্টারশিপ মহাকাশযান পাঠানোর জন্য কাজও শুরু করেছেন ইলন মাস্ক। এবার মঙ্গল গ্রহে মানুষের জন্য তৈরি হতে যাওয়া শহরের নাম ‘টার্মিনাস’ রাখার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।

২০২৯ সালের প্রথম দিকে মঙ্গল গ্রহে মানুষ পাঠানোর লক্ষ্যে কাজ করছেন ইলন মাস্ক। এ বিষয়ে সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘মানবজাতিকে দীর্ঘ মেয়াদে বাঁচিয়ে রাখার জন্য জীবনকে বিভিন্ন গ্রহে নিয়ে যেতে হবে। আমরা মহাবিশ্বের প্রকৃতি আরও ভালোভাবে বুঝতে চাই। সভ্যতায় দীর্ঘ মেয়াদে বেঁচে থাকা নিশ্চিত করতে হবে। পৃথিবীতে ভয়াবহ কিছু ঘটার আশঙ্কা কম থাকলেও মঙ্গলে যাওয়ার আগ্রহে ধারাবাহিকতা থাকতে হবে।’

এক এক্স বার্তায় ইলন মাস্ক জানিয়েছেন, বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনির লেখক আইজ্যাক আসিমভের ‘ফাউন্ডেশন’ সিরিজের বিভিন্ন গল্প থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে মঙ্গল গ্রহের শহরের নাম ‘টার্মিনাস’ রাখার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। তবে শহরের নামকরণের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত ভবিষ্যতের মঙ্গল গ্রহে বসতি স্থাপনকারীদের ওপর নির্ভর করবে বলে জানান তিনি।

স্পেসএক্স ২০২৫ সালের শেষের দিকে মঙ্গলে যে মানববিহীন স্টারশিপ মিশন চালুর জন্য কাজ করছে, সেটিতে করে টেসলার মানবাকৃতির রোবট অপটিমাস পাঠানো হবে। ভবিষ্যতে মানুষের অভিযান পরিচালনার সম্ভাব্যতা যাচাই করবে রোবটগুলো। এ বিষয়ে মাস্ক বলেন, যদি এই অবতরণ ভালোভাবে সম্পন্ন হয়, তাহলে ২০২৯ সালের মধ্যেই মঙ্গল গ্রহে মানুষ অবতরণ করতে পারে।

সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: শহর র ন ম ইলন ম স ক স প সএক স র জন য

এছাড়াও পড়ুন:

আগামী ৪ বছরে দেড় ডিগ্রি পর্যন্ত তাপমাত্রা বাড়তে পারে: জাতিসংঘ

বৈশ্বিক তাপমাত্রা ২০২৯ সাল পর্যন্ত দেড় ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত বাড়তে পারে। জাতিসংঘের আবহাওয়া ও জলবায়ুবিষয়ক সংস্থা ওয়ার্ল্ড মেটিওরোলজিক্যাল অর্গানাইজেশন (ডব্লিউএমও) বার্ষিক জলবায়ু প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।

জাতিসংঘ গতকাল বুধবার সতর্ক করে বলেছে, গড় উষ্ণতা ১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস আন্তর্জাতিক বেঞ্চমার্ক অতিক্রম করার ৭০ শতাংশ সম্ভাবনা রয়েছে। খবর এএফপির।

ডব্লিউএমওর প্রতিবেদন অনুসারে, ২০২৩ এবং ২০২৪ সালে রেকর্ড উষ্ণতম বছর পার করার পর পৃথিবী উষ্ণতার ঐতিহাসিক স্তরে থাকবে। ডব্লিউএমওর উপমহাসচিব কো ব্যারেট বলেন, ‘আমরা রেকর্ডে থাকা ১০টি উষ্ণতম বছর পার করেছি। দুর্ভাগ্যবশত ডব্লিউএমওর এই প্রতিবেদন আগামী বছরগুলোতে উষ্ণতা বাড়ার ক্ষেত্রে কোনো বিরতির সংকেত দিচ্ছে না। ফলে আমাদের অর্থনীতি, দৈনন্দিন জীবন, বাস্তুতন্ত্র এবং গ্রহের ওপর এর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে।’ ডব্লিউএমওর সর্বশেষ এই প্রক্ষেপণ যুক্তরাজ্যের আবহাওয়া অফিসের (বিএমও) জাতীয় আবহাওয়া দপ্তরের সংকলিত তথ্য। সংস্থাটি একাধিক বৈশ্বিক পূর্বাভাস কেন্দ্রের ওপর ভিত্তি করে প্রতিবেদন তৈরি।

এদিকে, সংস্থাটি পূর্বাভাস দিয়েছে, ২০২৫ থেকে ২০২৯ সালের মধ্যে প্রতি বছর ভূপৃষ্ঠের কাছাকাছি বৈশ্বিক গড় তাপমাত্রা প্রাক-শিল্প যুগের চেয়ে ১ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে ১ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি থাকবে।

মেনুথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইরিশ জলবায়ু বিশ্লেষণ ও গবেষণা কেন্দ্রের পরিচালক পিটার থর্ন বলেন, ‘২০২৭ থেকে ২০৩০ সালের মধ্যে দীর্ঘমেয়াদি ভিত্তিতে দেড় ডিগ্রি সেলসিয়াস বৃদ্ধি আমাদের ধারণার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ।’ ডব্লিউএমও বলছে, ২০২৯ সালের মধ্যে অন্তত একটি বছর উষ্ণতার আগের রেকর্ড (২০২৪) ভাঙার ৮০ শতাংশ সম্ভাবনা রয়েছে।

বৈশ্বিক তাপমাত্রা বাড়ার এই প্রবণতাকে বিপজ্জনক বলে মনে করছেন জলবায়ু বিশেষজ্ঞরা। গত সপ্তাহে চীনের কিছু এলাকায় তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস অতিক্রম করেছে। সংযুক্ত আরব আমিরাতের কিছু এলাকায় ছিল প্রায় ৫২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। পাকিস্তানেও ছিল তীব্র তাপপ্রবাহ।

ইম্পেরিয়াল কলেজ লন্ডনের জলবায়ুবিদ ফ্রিডেরিখ অটো বলেছেন, ‘আমরা এরই মধ্যে উষ্ণায়নের একটি বিপজ্জনক স্তরে পৌঁছেছি। সম্প্রতি অস্ট্রেলিয়া, ফ্রান্স, আলজেরিয়া, ভারত, চীন এবং ঘানায় ভয়াবহ বন্যা, কানাডায় দাবানল দেখা দিয়েছে। এ সময়ে তেল, গ্যাস এবং কয়লার মতো জীবাশ্ম জ্বালানির ওপর নির্ভর করা সম্পূর্ণ পাগলামি।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • আগামী ৪ বছরে দেড় ডিগ্রি পর্যন্ত তাপমাত্রা বাড়তে পারে: জাতিসংঘ