বাংলাদেশের সঙ্গে ব্যবসা ও বিনিয়োগের নতুন সুযোগ খুঁজে বের করা দরকার বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকায় নিযুক্ত আর্জেন্টিনার রাষ্ট্রদূত মার্সেলো কার্লোস চেসা। বুধবার রাজধানীর গুলশানে ইন্টারন্যাশনাল চেম্বার অব কমার্স, বাংলাদেশের (আইসিসিবি) কার্যালয়ে এক সভায় রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘২০২৩ সালে ঢাকায় আর্জেন্টিনার দূতাবাস পুনরায় চালু করার পর থেকেই আমরা বাংলাদেশে বাণিজ্য ও বিনিয়োগের অনেক সম্ভাবনা দেখেছি। এখন যৌথ প্রতিনিধি দল বিনিময়ের মাধ্যমে রপ্তানি-আমদানি ও বিনিয়োগ খাতে আরও নতুন সুযোগ খুঁজে বের করা দরকার।’ বুধবার আইসিসিবির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

সভায় সভাপতিত্ব করেন আইসিসিবি সভাপতি মাহবুবুর রহমান। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ তার বাণিজ্য বৈচিত্র্য কৌশলে আর্জেন্টিনাকে গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার হিসেবে বিবেচনা করছে।’ সভায় আরও বক্তব্য রাখেন আইসিসিবির সহ-সভাপতি এ.

কে. আজাদ, নির্বাহী বোর্ড সদস্য আবদুল হাই সরকার, কুতুব উদ্দিন আহমেদ, এম. এ. জব্বার ও আইসিসিবির মহাসচিব আতাউর রহমান।

সভায় জানানো হয়, ২০২২ সালে বাংলাদেশ-আর্জেন্টিনার মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যের পরিমাণ ছিল প্রায় ৭৭ কোটি ডলার। বাংলাদেশ আর্জেন্টিনা থেকে সয়াবিন, ভুট্টা, গম ও তুলা আমদানি করে। আর বাংলাদেশ থেকে আর্জেন্টিনায় প্রধানত তৈরি পোশাক ও ওষুধ রপ্তানি হয়। দুই দেশই যৌথ বিনিয়োগের নতুন ক্ষেত্র বিশেষ করে জ্বালানি, কৃষি, চিকিৎসা প্রযুক্তি ও তুলা খাতের সহযোগিতার পথ খুঁজছে। একই সঙ্গে বাংলাদেশে আর্জেন্টিনার ফুটবল দলের জনপ্রিয়তাকে সাংস্কৃতিক সেতুবন্ধন হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। আলোচনায় দুই দেশের পক্ষ থেকেই অংশীদারিত্ব জোরদারের প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করা হয় এবং একটি শক্তিশালী ও বহুমুখী সম্পর্ক গঠনের অভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে সভা শেষ হয়।

সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন আর্জেন্টিনা দূতাবাসের মিনিস্টার কাউন্সেলর ম্যাক্সিমিলিয়ানো রোমানেলো, আইসিসিবির জেনারেল ম্যানেজার অজয় বিহারী সাহা এবং ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার সৈয়দা শাহনেওয়াজ লতিকা।

 

 

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ব যবস আর জ ন ট ন আইস স ব আর জ ন ট ন র আইস স ব র

এছাড়াও পড়ুন:

আরো ৩ ইসরায়েলি জিম্মির মরদেহ ফেরত দিল হামাস

ইসরায়েলের কাছে আরো তিন জিম্মির মরদেহ হস্তান্তর করেছে ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস। গতকাল রবিবার রাতে মরদেহগুলো রেডক্রসের হাতে তুলে দেয় তারা।

আজ সোমবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে বিবিসি। 

আরো পড়ুন:

যুদ্ধবিরতির মধ্যেও গাজায় হামলা, ৭৫ শতাংশ ত্রাণ প্রবেশে বাধা

পশ্চিম তীরে ‘ইসরায়েলি সার্বভৌমত্ব’ চাপিয়ে দেওয়ার নিন্দা বাংলাদেশের

ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর এক বিবৃতিতে বলেছে, “রেডক্রসের মাধ্যমে ইসরায়েল তিন মৃত জিম্মির কফিন গ্রহণ করেছে। যেগুলো গাজায় থাকা প্রতিরক্ষা বাহিনী এবং গোয়েন্দা সংস্থা শিনবেতের সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। পরিচয় শনাক্তে মরদেহগুলো শনাক্ত কেন্দ্রে পাঠানো হবে।”

যদি এই জিম্মির পরিচয় শনাক্ত হয় তাহলে যুদ্ধবিরতির পর হামাসের হস্তান্তর করা মরদেহের সংখ্যা ২০ জনে পৌঁছাবে। গত মাসে যখন যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয় তখন তাদের কাছে ২৮ জিম্মির মরদেহ ছিল।

ইসরায়েলের অভিযোগ, হামাস ইচ্ছাকৃতভাবে মরদেহগুলো ফেরত দিতে দেরি করছে। কিন্তু সশস্ত্র গোষ্ঠীটি বলেছে, মরদেহগুলো ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ায় এগুলো উদ্ধার করতে তাদের সময় লাগছে।

হামাসের সশস্ত্র শাখা আল-কাসসাম ব্রিগেড জানায়, রবিবার সকালে দক্ষিণ গাজার একটি সুড়ঙ্গ থেকে তারা মরদেহগুলো উদ্ধার করেছে।

পরে, ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর অফিসিয়াল এক্স অ্যাকাউন্টে বলা হয়,  “সব জিম্মিদের পরিবারকে সেই অনুযায়ী আপডেট করা হয়েছে এবং এই কঠিন সময়ে আমাদের হৃদয় তাদের সাথে রয়েছে। আমাদের জিম্মিদের ফিরিয়ে দেওয়ার প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে এবং শেষ জিম্মিটি ফিরে না আসা পর্যন্ত থামবে না।”

হোস্টেজ এবং মিসিং ফ্যামিলিজ ফোরাম গাজা থেকে বাকি সব মৃত জিম্মিকে উদ্ধারের জন্য নেতানিয়াহুকে জরুরিভাবে পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য চাপ দিচ্ছে।

হামাস ও ইসরায়েল একে অপরকে যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের অভিযোগ করেছে।

হামাস-পরিচালিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মতে, রবিবার উত্তর গাজায় ইসরায়েলি বিমান হামলায় এক ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।

ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর দাবি, তারা তাদের সৈন্যদের জন্য হুমকিস্বরূপ এক সন্ত্রাসীকে হত্যা করেছে।

গত ১৩ অক্টোবর যুদ্ধবিরতির প্রথম পর্যায়ে গাজা থেকে জীবিত সব ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্তি দিয়েছিল হামাস।

ঢাকা/ফিরোজ

সম্পর্কিত নিবন্ধ