বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে তরুণীকে পাচার চেষ্টা, চীনের দু’জনসহ গ্রেপ্তার ৩
Published: 29th, May 2025 GMT
ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর দিয়ে এক তরুণীকে পাচারের চেষ্টাকালে চক্রের তিন সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন)। তারা হলেন– চীনের নাগরিক ঝ্যাং লেইজি (৫৪), হুন ঝুনঝুন (৩০) ও বাংলাদেশের নয়ন আলী (৩০)।
গতকাল বুধবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ দাবি করেছে বিমানবন্দর এপিবিএন। এতে বলা হয়, গাইবান্ধার ১৯ বছরের এক তরুণীকে সোমবার রাতে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর দিয়ে চীনে পাচারের চেষ্টা করছিল চক্রটি। তরুণী বিমানবন্দরের মূল প্রবেশপথ গোলচত্বর এলাকায় এপিবিএন সদস্যদের কাছে অভিযোগ করেন। পরে চীনের দুই নাগরিককে আটক করা হয়।
এপিবিএন বলেছে, জিজ্ঞাসাবাদ ও ভুক্তভোগীর কাছ থেকে তারা জানতে পারে– বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় একটি বাড়িতে আরও দেশি-বিদেশি পাচারকারী এবং নারী ভুক্তভোগী রয়েছেন। পরে ওই বাড়িতে অভিযান চালিয়ে চক্রের আরেক সদস্য নয়ন আলীকে আটক করা হয়। তবে উপস্থিতি টের পেয়ে বেশ কয়েকজন পালিয়ে গেছে।
ঝ্যাং লেইজি ও হুন ঝুনঝুন প্রায় এক বছর আগে বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় বসবাস শুরু করেন। তারা দেশীয় বিভিন্ন দালালের সঙ্গে সখ্য গড়েন। নয়ন আলীর সহযোগিতায় ওই তরুণীকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ভুয়া ঠিকানায় পাসপোর্টসহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র তৈরি করা হয়। মার্চে ১০ লাখ টাকা দেনমোহরে হুন ঝুনঝুনের সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, চীনে পাচারের জন্য সোমবার জোর করে বাসা থেকে তরুণীকে ঢাকার বিমানবন্দরে নিয়ে যান হুন ঝুনঝুন ও ঝ্যাং লেইজি। এ ঘটনায় গতকাল তরুণীর মা বাদী হয়ে বিমানবন্দর থানায় মামলা করেন। পরে তিনজনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
বিমানবন্দর এপিবিএনের পুলিশ সুপার (অপারেশন্স) মোজাম্মেল হক বলেন, এটি শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে মানব পাচারের অপরাধে চীনের নাগরিক আটকের দ্বিতীয় ঘটনা। স্থানীয় দালালের সহযোগিতায় নারী পাচারের চেষ্টা করছে একটি চক্র। তারা গ্রামের সহজসরল ও দরিদ্র পরিবারের মেয়েদের লক্ষ্যবস্তু করে চীনে পাচারের চেষ্টা করছে।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
বেতন বাড়ানোসহ তিন দফা দাবিতে পরীক্ষা বর্জনের হুমকি প্রাথমিকের সহকারী শিক্ষকদের
সহকারী শিক্ষক পদটি শুরুর পদ ধরে এই পদে বেতন ১১তম গ্রেডে, শতভাগ পদোন্নতি বিভাগীয় প্রার্থীদের মধ্যে দেওয়া ও উচ্চতর গ্রেড পাওয়ার জটিলতা নিরসনের দাবি জানিয়েছে প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক সংগঠন ঐক্য পরিষদ। এসব দাবি পূরণে সরকারকে ১৫ নভেম্বর পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়ে সংগঠনটির নেতারা বলেছেন, দাবি পূরণ না হলে বার্ষিক পরীক্ষা ও বৃত্তি পরীক্ষা বর্জনসহ লাগাতার কর্মসূচি পালন করবেন তাঁরা।
আজ শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক সংগঠন ঐক্য পরিষদের নেতারা এসব দাবি জানানোর পাশাপাশি নতুন কিছু কর্মসূচিও ঘোষণা দিয়েছেন।
কর্মর্সূচির মধ্যে রয়েছে ২৩ ও ২৪ নভেম্বর অর্ধদিবস কর্মবিরতি, ২৫ ও ২৬ নভেম্বর পূর্ণ দিবস কর্মবিরতি, ২৭ নভেম্বর প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের সামনে অবস্থান ধর্মঘট। আর নভেম্বরের মধ্যে দাবি মেনে না নেওয়া হলে বার্ষিক পরীক্ষা বর্জনসহ ১১ ডিসেম্বর থেকে লাগাতার অনশন কর্মসূচি পালন করা হবে।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন শিক্ষক নেতা শাহিনুর আল-আমীন। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন শিক্ষক নেতা আনোয়ারুল ইসলাম, নূরে আলম সিদ্দিকী রবিউল, অজিত পাল, তপন কুমার মণ্ডল, আনিসুর রহমান, শাহিনূর আক্তার, সাবেরা বেগম প্রমুখ।