ঘরে ঢুকে লুটের পর নারীকে গলা কেটে হত্যা
Published: 29th, May 2025 GMT
নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলায় ঘরে ঢুকে লুটের পর আমেনা বেগম নামের এক নারীকে গলা কেটে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। তবে তাৎক্ষণিক হত্যাকাণ্ডের কোনো কারণ জানাতে পারেনি পুলিশ ও নিহতের স্বজনেরা। গতকাল বুধবার রাতে উপজেলার নিঝুমদ্বীপ ইউনিয়নের শতফুল গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত আমেনা (৫০) বেগম গ্রামের মো. এমরান উদ্দিনের স্ত্রী।
নিঝুমদ্বীপ ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক আমিরুল মোমিন বাবলু জানান, আমেনা বেগমের স্বামী স্থানীয় নিঝুমদ্বীপ বাজারে শুঁটকির ব্যবসা করেন। ছেলেরা জেলার মাইজদীতে থেকে লেখাপড়া করছেন। বাড়িতে স্বামী-স্ত্রী বসবাস করেন। বুধবার সন্ধ্যায় এমরান বাড়িতে গিয়ে দেখেন স্ত্রী এশার নামাজ পড়ছেন। এরপর তিনি আবার বাজারে চলে যান।
তিনি আরও বলেন, ‘রাত সাড়ে ১০টার দিকে এমরান বাড়ি ফিরে দেখেন ঘরের দরজা খোলা। তার স্ত্রী ঘরে নেই। তবে ঘরে রক্ত দেখতে পান তিনি। তাৎক্ষণিক তিনি বিষয়টি আমাকে জানান। পরে আমিসহ স্থানীয় কয়েকজন তার বাড়িতে যায়। খোঁজাখুঁজির একপর্যায়ে দেখতে পাই, আমেনার রক্তাক্ত মরদেহ পুকুরে ভাসছে। গলা কেটে হত্যার পর লাশ পুকুরে ফেলে দেয়।’
নিঝুমদ্বীপ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ উপপরিদর্শক (এসআই) আব্দুল মান্নান বলেন, গলা কেটে ওই নারীকে হত্যা করা হয়েছে। হত্যার পর মরদেহ পুকুরে ফেলে দেওয়া হয়। পরে পুকুর থেকে রাত সোয়া ২টার দিকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।’
হাতিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ কে এম আজমল হুদা বলেন, খবর পেয়ে মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশ হত্যার রহস্য উদঘাটনের চেষ্টা চালাচ্ছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য জেলা সদরে পাঠানোর কার্যক্রম চলছে। লিখিত অভিযোগ পেলে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ন ঝ মদ ব প হত য র মরদ হ
এছাড়াও পড়ুন:
সিদ্ধিরগঞ্জে ৪নং ওয়ার্ডে জামায়াতের সহযোগী সদস্য সমাবেশ অনুষ্ঠিত
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী নারায়ণগঞ্জ মহানগরীর সিদ্ধিরগঞ্জ পূর্ব থানার ৪নং ওয়ার্ডের উদ্যােগে ৩০মে শুক্রবার সকালে সিদ্ধিরগঞ্জ হাজী ফজলুল হক স্কুলের অডিটরিয়ামে রফিকুল ইসলাম রানার পরিচালনায় এবং শরিফুল আলম খোকনের সভাপতিত্বে সহযোগী সদস্য সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
উক্ত সমাবেশে দারসুল কোরআন পেশ করেন মাওলানা মঞ্জুর রহমান কোরাইশী। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মাওলানা আব্দুল জব্বার, আমীর, নারায়ণগঞ্জ মহানগরী।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মাওলানা বশিরুল হক ভূঁইয়া, মহানগরীর কর্মপরিষদের সদস্য। বিশেষ অতিথি হিসেবে আরো উপস্থিত ছিলেন থানা আমীর আক্কাস রুম্মান, মাওলানা কবির হোসাইন, মাওলানা দেলোয়ার হোসেন, সাকিল আহম্মেদ, মোশাররফ হোসেন প্রমূখ।
এসময় প্রধান অতিথি বলেন স্বৈরাচারী সরকার জামায়াত নেতাদের অন্যায় ভাবে হত্যা করেছে, বর্ষিয়ান নেতা মাওলানা এ টি এম আজহারুল ইসলাম ভাইয়ের খালাশের মাধ্যমে প্রমান হলো।
জামায়াতে ইসলামী যারা করেন তারা চাঁদাবাজি করেনা, ঘুষ খায় না, দূর্নীতি করেন না। আগামীর নির্বাচনে সৎ ও আল্লাহভীরু ভালো মানুষকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করতে হবে, তাহলে জনগনের মৌলিক অধিকার প্রতিষ্ঠাতা হবে ইনশাআল্লাহ।