ইসলামী উন্নয়ন ব্যাংকের স্কলারশিপ, বাড়তি সুযোগ আরবি অথবা ফরাসির দক্ষতায়
Published: 30th, May 2025 GMT
ইসলামী উন্নয়ন ব্যাংক (আইডিবি) একটি বহুমুখী উন্নয়ন আর্থিক প্রতিষ্ঠান। সৌদি আরবের জেদ্দায় এর সদর দপ্তর। আইডিবি জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের একটি পর্যবেক্ষক সংস্থাও। ব্যাংকটির সদস্য বর্তমানে ৫৭টি দেশ। আইডিবি গ্রুপ ৫টি সংস্থার সমন্বয়ে গঠিত। সংস্থাগুলো হলো ইসলামী উন্নয়ন ব্যাংক (আইডিবি), ইসলামী গবেষণা ও প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান (আইআরটিআই), বেসরকারি ক্ষেত্রে উন্নয়নের জন্য ইসলামী সহযোগিতা (আইসিডি), বিনিয়োগ ও রপ্তানি সক্ষমতায় ইনস্যুরেন্সের জন্য ইসলামী সহযোগিতা (আইসিআইইসি) এবং আন্তর্জাতিক ইসলামী ব্যবসা ও অর্থনৈতিক করপোরেশন (আইটিএফসি)।
ইসলামী উন্নয়ন ব্যাংক একটি স্কলারশিপ দেয়। এর নাম ইয়াং প্রফেশনাল প্রোগ্রাম (ওয়াইপিপি)। বাংলাদেশসহ আইএসডিবির সদস্যভুক্ত দেশের শিক্ষার্থীরা এ স্কলারশিপের জন্য আবেদন করতে পারবেন। এ বৃত্তিতে স্নাতকোত্তর ও পিএইচডি ডিগ্রিধারী শিক্ষার্থীদের বিনা মূল্যে দুই বছর মেয়াদি প্রোগ্রামে অংশগ্রহণের সুযোগ দেয় আইএসডিবি। আরবি অথবা ফরাসি ভাষায় দক্ষতাসম্পন্ন প্রার্থীদের বিশেষভাবে বিবেচনা করা হয় ইয়াং প্রফেশনাল প্রোগ্রামে।নারী প্রার্থীদের আবেদন করতে উৎসাহিত করে ইসলামী উন্নয়ন ব্যাংক।
আরবি অথবা ফরাসি ভাষায় দক্ষতাসম্পন্ন প্রার্থীদের বিশেষভাবে বিবেচনা করা হয় ইয়াং প্রফেশনাল প্রোগ্রামে। নারী প্রার্থীদের আবেদন করতে উৎসাহিত করে ইসলামী উন্নয়ন ব্যাংক।ইসলামিক ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের ওয়াইপিপি হলো একটি প্রতিযোগিতামূলক প্রোগ্রাম। এ প্রোগ্রামের লক্ষ্য হলো তরুণ ও প্রতিভাবানদের ভবিষ্যতের নেতা (লিডার) হিসেবে যাত্রার পথ তৈরি করে দেওয়া। এটি মূলত ব্যাংকের বিভিন্ন বিভাগে আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার গঠনের একটি সুবর্ণ সুযোগও।
আরও পড়ুনতুরস্কে বিলকেন্ট ইউনিভার্সিটির বৃত্তি, আইইএলটিএসে ৬.৫ হলে আবেদন ০৮ মার্চ ২০২৫ওয়াইপিপির সুযোগ-সুবিধা—
আন্তর্জাতিক মান অনুযায়ী করমুক্ত বেতন মিলবে
স্বাস্থ্য ও জীবনবিমা সুবিধা পাবেন প্রার্থী
শিক্ষা ভাতা প্রদান করবে
থিসিস ভাতা দেবে
ফাইল ছবিউৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
বৃষ্টিস্নাত রমনায় সবুজের উল্লাস
রমনা উদ্যানের গাছগুলো বৃষ্টিতে ভিজছে, ভিজছে মাটি ও মাটির ওপরের ঘাসগুলো। বর্ষায় রমনার রূপ হয় দেখার মতো। চারদিকে কেবল সবুজ আর সবুজ। বসন্তের মতো ফুল নেই তো কী হয়েছে? আছে শ্যামল রূপ, আছে অপার স্নিগ্ধতা। বুকভরে ধুলাহীন নিশ্বাস নেওয়ার অবকাশ, প্রকৃতির উদার আমন্ত্রণ।
‘পাগলা হাওয়ার বাদল-দিনে’ ঢাকার রমনা পার্কের গাছের পাতাগুলো এখন আরও সবুজ। টলটলে জলের নয়নাভিরাম ঝিলটা টইটম্বুর। ধুলাময়লাহীন পায়ে চলার পথ। আর গাছের পাতার ফাঁকে রয়েছে অজস্র ফুল। কোনোটা লাল, কোনোটা বেগুনি আবার কোনোটা সাদা। বৃষ্টির মধুর আশকারা পেয়ে রমনা পার্কে এখন সবুজের উল্লাস।
এই পার্কটিকে ঢাকার ফুসফুস বলা হয়। এর যথেষ্ট কারণ আছে অবশ্য। এ রকম প্রগাঢ় নিরেট সবুজ এ শহরে কমই আছে। রমনা তাই ঢাকার জনজীবনের স্পন্দন। এটি কেবল একটি পার্ক নয়, বরং নাগরিক জীবনের পরম আনন্দ-আশ্রয়।
সম্প্রতি ‘বৃষ্টি নেশাভরা’ এক বিকেলে অরুণোদয় ফটক দিয়ে রমনা পার্কে প্রবেশ করলাম। অনেকে শরীরচর্চায় ব্যস্ত। কেউ দল বেঁধে করছেন, কেউ একাকী। কোনো দল ব্যায়াম করে ভোরে, কেউ আবার বিকেলে বা সন্ধ্যায়। আবার অনেকে আছেন দুই বেলাই হাঁটাহাঁটি করেন। হাঁটা সেরে কেউ কেউ লেকের পাশে এসে দুদণ্ড জিরিয়ে নেন। লেকে চলছিল বোট।
বর্ষার ফুলের উৎসব
বর্ষা এলেই রমনা পার্ক যেন রঙের নতুন ভাষা শেখে। আমাদের ঋতুচক্র অনুযায়ী, বসন্ত ও গ্রীষ্মকালেই এ দেশে ফোটে অধিকাংশ ফুল। তবে বর্ষারও নিজস্ব কিছু ফুল আছে, আর গ্রীষ্মের কিছু ফুল টিকে থাকে বর্ষা পর্যন্ত। সেদিন রমনায় গিয়ে এমনই কিছু ফুল চোখে পড়ল—বৃষ্টিভেজা পাতার ফাঁকে তাদের রং যেন আরও উজ্জ্বল হয়ে উঠেছিল। মনে হলো, প্রকৃতির এই নিঃশব্দ উৎসবেও কত কথা লুকিয়ে থাকে!
রমনার গোলাপবিথি সেদিন দর্শনার্থীদের সবচেয়ে বেশি মনোযোগ কাড়ছিল। সারি সারি ঝোপে ফুটে আছে হরেক রঙের গোলাপ—লাল, সাদা, হলুদ, কমলা, গাঢ় গোলাপি। বর্ষার ভেজায় যেন আরও সতেজ, আরও তাজা হয়ে উঠেছে প্রতিটি পাপড়ি। নরম আলো আর বৃষ্টিজলে ভেজা ফুলগুলোর সৌন্দর্য মোহিত করেছে পথচলার মানুষকে। কেউ থেমে দাঁড়িয়ে ছবি তুলছেন, কেউ ভিডিও করছেন—মুঠোফোনে বন্দী হচ্ছে বর্ষার রঙিন রমনা।
এটি কেবল একটি পার্ক নয়, বরং নাগরিক জীবনের পরম আনন্দ-আশ্রয়।