সপ্তাহখানেক ধরে নতুন সিনেমার শুটিংয়ে ব্যস্ত চিত্রনায়িকা শবনম বুবলী। শুটিংয়ে ব্যস্ত থাকলেও তাঁর একাধিক ফেসবুক পোস্ট নিয়ে চলচ্চিত্র অঙ্গনের মানুষের মধ্যে চলছে আলোচনা-সমালোচনা। আজ শুক্রবার বিকেলে নিজের ফেসবুকে একটি ইঙ্গিতপূর্ণ পোস্ট দেন। নিজের একটি নতুন স্থিরচিত্র পোস্ট করে ক্যাপশনে বুবলী লিখেছেন, ‘যখন মানুষ তোমার কাজ নকল করতে শুরু করে, তখনই বুঝে নিও—তারা তোমার সাফল্যে ঈর্ষান্বিত।’
চিত্রনায়িকা শবনম বুবলীর হঠাৎ এমন পোস্ট দেওয়ার বিষয়কে অনেকেই বলছেন, অপু বিশ্বাসকে রাগাতেই এমন কৌশলী পোস্ট দেওয়া হয়েছে। অনেক সময় আবার অপু বিশ্বাসও এমনটা করে থাকেন বলে কেউ কেউ মত দিয়েছেন। শাকিব খানের সাবেক দুই স্ত্রী বিভিন্ন সময় ফেসবুকে ইঙ্গিতপূর্ণ পোস্ট দিয়ে থাকেন। এতে করে দুই তারকার ভক্তরা বিবাদে জড়ান। দুজনের বেশির ভাগ ফেসবুক পোস্টের মন্তব্যের ঘরে চোখ রাখলেই তা দেখা যায়।

আরও পড়ুনঅপু-বুবলী দুজনেই এখন আমার কাছে অতীত: শাকিব খান২৪ নভেম্বর ২০২২

অপু বিশ্বাস ও শবনম বুবলীর ভার্চ্যুয়াল ঝগড়া নতুন কিছু নয়। হুটহাট ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে তাঁরা দুজনে আলোচনা-সমালোচনার জন্ম দিয়ে থাকেন। নানা কৌশল তাঁরা একে অপরকে বুঝিয়ে দিতে চান, একজন আরেকজনের চেয়ে এগিয়ে, একজন আরেকজনের চেয়ে কাজ নিয়ে বেশি ব্যস্ত। আজ শুক্রবার দুপুরে নিজের ফেসবুকে একটি ছবি পোস্ট করে শবনম বুবলী ক্যাপশনে লিখেছেন, ‘যখন মানুষ তোমার কাজ নকল করতে শুরু করে, তখনই বুঝে নিও—তারা তোমার সাফল্যে ঈর্ষান্বিত। তাই উপেক্ষা করো, নিজের মতো সময়টা উপভোগ করো।’ বুবলীর এমন ক্যাপশনে কাকে খোঁচা দেওয়া হয়েছে, তা যেন বুঝতে বাকি নেই নেটিজেনদের। স্থিরচিত্রের জন্য প্রশংসা কুড়ালেও ক্যাপশন দেখে কেউ কেউ বলছেন, এটি নিশ্চয় অপু বিশ্বাসকে উদ্দেশ করে লেখা! কারণ, ঢালিউডের এই দুই তারকার ভার্চ্যুয়াল ঝগড়ার ব্যাপারে কমবেশি সবাই অবগত।

মার্চ মাসের শেষ সপ্তাহে শাকিব খানের জন্মদিনে দুই সন্তান আব্রাহাম ও শেহজাদের সঙ্গে তাদের চিত্রনায়ক বাবার একান্ত মুহূর্তের একাধিক স্থিরচিত্র ফেসবুকে পোস্ট করেন অপু বিশ্বাস ও শবনম বুবলী। দুজনে সেই পোস্টে সন্তানের জন্য বাবার ভালোবাসার গভীরতা বোঝানোর চেষ্টা করেন। তাতেই যেন বিপত্তি বাধে। বুবলী পোস্ট দেওয়ার কিছুক্ষণ পর একই রকম পোস্ট দেন অপু বিশ্বাসও। সেই পোস্টে বুবলীকে খোঁচা দিয়ে ক্যাপশনও দেন অপু। এরপর তাঁদের ভক্ত এবং চলচ্চিত্র অঙ্গনের মানুষেরা দুইয়ে দুইয়ে চার মেলাতে থাকেন।

শবনম বুবলী.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ক য পশন ফ সব ক

এছাড়াও পড়ুন:

জাদেজা-সুন্দরের অবিচল লড়াইয়ে ভারতের স্বস্তির ড্র

হার প্রায় চোখের সামনে! কিন্তু রবীন্দ্র জাদেজা ও ওয়াশিংটন সুন্দরের ব্যাট যেন হয়ে উঠল এক দুর্ভেদ্য ঢাল। ইংল্যান্ডের মাটিতে চতুর্থ টেস্টের শেষ দিনে ভারত যখন ধীরে ধীরে ব্যাকফুটে যাচ্ছিল, তখন এই দুই বাঁহাতির ২০৩ রানের অবিচ্ছেদ্য জুটি ফিরিয়ে আনল আশার আলো। টেস্ট ম্যাচ শেষ হলো এক মর্যাদাপূর্ণ ড্রয়ে।

চতুর্থ ইনিংসে শুরুটা ছিল ধাক্কাময়। শূন্যরানেই নেই ২ উইকেট। এরপর কেএল রাহুল ৯০ রানে ফিরে গেলেও অধিনায়ক শুভমন গিল পূর্ণ করেন এই সিরিজে তার চতুর্থ শতক। এই সেঞ্চুরির মাধ্যমে গিল ১৯৯০ সালে শচীন টেন্ডুলকারের পর প্রথম ভারতীয় হিসেবে ম্যানচেস্টারে সেঞ্চুরি করার কৃতিত্ব অর্জন করেন। তবে গিলের ইনিংস থেমে যায় ১০৩ রানে, দল তখনও পিছিয়ে।

এরপর মাঠে নামে জাদেজা-সুন্দর জুটি। যাদের ব্যাটে ধীরে ধীরে ভরসা ফিরে পায় ‘মেন ইন ব্লু’। দ্বিতীয় সেশনে কোনও উইকেট না হারিয়ে ভারত নেয় ম্যাচের রাশ। তখনই বোঝা যায়, পরাজয়ের পথ থেকে অনেকটাই সরে এসেছে দল। চা-বিরতির সময় ভারতের লিড ছিল ১১ রান, জাদেজা অপরাজিত ৫৩ ও সুন্দর ৫৭ রানে।

আরো পড়ুন:

রাহুল-গিলের ব্যাটিং দৃঢ়তা, শেষ দিনে হবে কি শেষ রক্ষা?

ডাকেট-ক্রাউলির তাণ্ডবে ছায়ার মতো পিছিয়ে ভারত

শেষ সেশনে বেন স্টোকস ড্র মেনে করমর্দনের প্রস্তাব দেন। কিন্তু তখনই তো সেঞ্চুরির দোরগোড়ায় দুই ব্যাটার। ভারতের পক্ষ থেকে সেই প্রস্তাবে তখনই সাড়া দেওয়া হয়নি। হ্যারি ব্রুককে বিশাল ছক্কা হাঁকিয়ে জাদেজা পূর্ণ করেন টেস্ট ক্যারিয়ারের পঞ্চম সেঞ্চুরি। এরপর দু’ওভার বাদেই ওয়াশিংটন সুন্দরও তুলে নেন তার প্রথম টেস্ট শতক।

শেষ পর্যন্ত, ১৮৫ বলে ১০৭ রানে অপরাজিত থাকেন জাদেজা। সুন্দর অপরাজিত থাকেন ২০৬ বলে ১০১ রানে। তাদের ধৈর্য ও প্রতিরোধই নিশ্চিত করে ভারতের জন্য এই ড্র, যা সিরিজ হারের হাত থেকে রক্ষা করেছে এবং শেষ টেস্টকে সুযোগ হিসেবে রেখেছে সিরিজে সমতা ফেরানোর। অবশ্য ওই টেস্টটিও যদি ড্র হয় তাহলে ইংল্যান্ড ২-১ ব্যবধানে সিরিজ জিতবে।

ব্যাট হাতে ১৪১ রান ও বল হাতে দুই ইনিংসে ৬ উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরা হন ইংল্যান্ডের অধিনায়ক।

ঢাকা/আমিনুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • জাদেজা-সুন্দরের অবিচল লড়াইয়ে ভারতের স্বস্তির ড্র