৪৬ ঘণ্টা পর দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া রুটে লঞ্চ চলাচল শুরু
Published: 31st, May 2025 GMT
৪৬ ঘণ্টা পর দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে লঞ্চ চলাচল শুরু হয়েছে। আজ শনিবার সকাল পৌনে ৭টার দিকে এ রুটে লঞ্চ চলাচল শুরু হয়।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার পদ্মা নদী উত্তাল থাকায় সকাল ৯টা থেকে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে দুর্ঘটনা এড়াতে লঞ্চসহ সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ ঘোষণা করে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)।
দৌলতদিয়া লঞ্চঘাটের ব্যবস্থাপক নুরুল আনোয়ার মিলন বলেন, বৈরী আবহাওয়া কেটে যাওয়ায় প্রায় ৪৬ ঘণ্টা পর দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে লঞ্চ চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে। এই রুটে ২০টি লঞ্চ চলাচল করছে।
বিআইডব্লিউটিএ দৌলতদিয়া ঘাটের সহকারী মহাব্যবস্থাপক মোহাম্মদ সালাউদ্দিন বলেন, দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে ফেরি চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। দৌলতদিয়া প্রান্তে যানবাহনের কোনো সিরিয়াল নেই। বর্তমানে এ রুটে ১২টি ফেরি দিয়ে যাত্রী ও যানবাহন পারাপার করা হচ্ছে। ঈদের মধ্যে ফেরি সংখ্যা বাড়িয়ে ১৭টি করা হবে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: দ লতদ য়
এছাড়াও পড়ুন:
বরিশালে বৈরী আবহাওয়ায় দ্বিতীয় দিনেও লঞ্চ চলাচল বন্ধ, ২৪ ঘণ্টায় ১২০ মিলি বৃষ্টিপাত
বৈরী আবহাওয়ায় বরিশাল থেকে অভ্যন্তরীণ সব রুটে দ্বিতীয় দিনের মতো লঞ্চ চলাচল বন্ধ আছে। একই সঙ্গে বন্ধ রাখা হয়েছে বরিশাল-ঢাকা রুটের যাত্রীবাহী লঞ্চ চলাচলও। জেলাজুড়ে আজ শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকেও থেমে থেমে বৃষ্টির খবর পাওয়া গেছে।
বিআইডব্লিউটিএ সূত্র বলছে, বৈরী আবহাওয়া ও নদীবন্দরে সতর্কতা সংকেত বহাল থাকায় পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সব ধরনের লঞ্চ চলাচল বন্ধ থাকবে। বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট গভীর নিম্নচাপের কারণে গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সব ধরনের নৌযান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা দেয় বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)। ২ নম্বর স্থানীয় সতর্কসংকেত থাকায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সকালে বরিশালের অভ্যন্তরীণ ১০টি রুটের লঞ্চ চলাচল বন্ধ রাখা হয়। এরপর বিকেলে ঢাকা-বরিশাল রুটের লঞ্চ চলাচলও বন্ধ করে দেওয়া হয়। নৌযান চলাচল বন্ধ থাকায় দুর্ভোগে পড়েছেন দ্বীপ জেলা ভোলা, মেহেন্দীগঞ্জসহ অন্য নৌপথের যাত্রীরা। ভোলার সঙ্গে সড়কপথে সরাসরি যোগযোগ না থাকায় এ রুটের যাত্রীরা সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েছেন।
আরও পড়ুননিম্নচাপের প্রভাবে বৈরী আবহাওয়ায় ঢাকা-বরিশাল নৌপথে লঞ্চ চলাচল বন্ধ১৮ ঘণ্টা আগেএ বিষয়ে বিআইডব্লিউটিএর নৌনিরাপত্তা ও ট্রাফিক বিভাগের উপপরিচালক ও বরিশাল নদীবন্দরের কর্মকর্তা মোহাম্মদ সেলিম রেজা বলেন, ‘পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত বরিশাল নদীবন্দর থেকে কোনো ধরনের নৌযান ছেড়ে যাবে না।’
এদিকে বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপটি গভীর নিম্নচাপে পরিণত হওয়ার পর থেকে দক্ষিণাঞ্চলের কীর্তনখোলা, তেঁতুলিয়া, বিষখালী, পায়রা, বলেশ্বর, মেঘনা, ডাকাতিয়া, আড়িয়ালখাঁ নদ-নদীসহ সব কটি নদীতে উঁচু জোয়ার প্রবাহিত হচ্ছে। এর মধ্যে বেশির ভাগ নদ-নদীতে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে জোয়ার প্রবাহিত হচ্ছে। এ কারণে বরিশাল নগরসহ দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন চর ও নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে দুর্ভোগে পড়েছেন বাসিন্দারা। নদীর তীরবর্তী এলাকার অনেক জায়গায় পানি ঢুকে পড়েছে। জলাবদ্ধতায় দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে বরিশাল নগরবাসীকে।
জলাবদ্ধতায় চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে বরিশাল নগরবাসীকে। আজ বেলা সোয়া ১২টার দিকে নগরের বগুড়া রোডের অক্সফোর্ড মিশন এলাকায়