চট্টগ্রামের আনোয়ারায় সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও মাইক্রোবাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে দুজন নিহত হয়েছেন। নিহত দুজনই অটোরিকশার যাত্রী ছিলেন। একই দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও দুজন। আজ শনিবার সকাল পৌনে নয়টার দিকে উপজেলার লাবিবা কমিউনিটি সেন্টারসংলগ্ন এলাকায় পটিয়া-আনোয়ারা-বাঁশখালী (পিএবি) সড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত ব্যক্তিরা হলেন চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার সরল ইউনিয়নের ৮ নম্বর পাইরাং ওয়ার্ডের শামসুল ইসলামের ছেলে জিল্লুর রহমান (৪০) ও একই উপজেলার সাধনপুর ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের অলি আহমেদের ছেলে মোহাম্মদ রাসেল (৩২)। আহত দুজন হলেন মো.

আলমগীর (২৮) ও বিষ্ণু দাশ (২৯)। তাঁরা দুজনও বাঁশখালী উপজেলার বাসিন্দা। তাঁদের চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বাঁশখালী থেকে চট্টগ্রামমুখী অটোরিকশাটির সঙ্গে বিপরীত দিক থেকে আসা মাইক্রোবাসটির সংঘর্ষ হয়। এ সময় অটোরিকশাটি দুমড়েমুচড়ে যায়। ঘটনাস্থলেই অটোরিকশার দুজন যাত্রী প্রাণ হারান। আহত অবস্থায় দুজনকে উদ্ধার করেন স্থানীয় বাসিন্দারা।

আনোয়ারা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মাহাতাব উদ্দিন চৌধুরী প্রথম আলোকে, গুরুতর আহত অবস্থায় দুজনকে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আনা হয়েছিল। তাঁদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

আনোয়ারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মনির হোসেন সকাল সাড়ে ১০টার দিকে প্রথম আলোকে বলেন, সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি শেষে নিহত ব্যক্তিদের লাশ হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে। দুর্ঘটনার পর মাইক্রোবাসটির চালক গাড়ি নিয়ে পালিয়ে গেছেন।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: উপজ ল র

এছাড়াও পড়ুন:

শেফালি আর দীপ্তিতে নতুন মুম্বাইয়ে নতুন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ভারত

নাবি মুম্বাই। নয়া মুম্বাই। নতুন সেই মুম্বাইয়ে কাল নতুন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন পেল মেয়েদের ওয়ানডে বিশ্বকাপ। ফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ভারত।

দীপ্তি শর্মার করা ৪৬তম ওভারের তৃতীয় বলে নাদিন ডি ক্লার্কের তোলা ক্যাচটি এক্সট্রা কাভারে ভারত অধিনায়ক হারমানপ্রীত কৌরের হাতে জমা হতেই বিশ্ব চ্যাম্পিয়নের আনন্দে মাতল পুরো ভারত। দক্ষিণ আফ্রিকা ২৪৬ রানে অলআউট, ভারত ৫২ রানে জয়ী।

ভারতের জয়ের উৎসব অবশ্য শুরু হয়ে গিয়েছিল পাঁচ ওভার আগেই। লরা ভলভার্টকে ফিরিয়ে পথের কাঁটা উপড়ে ফেলেই উদ্‌যাপন শুরু করেছিল ভারতীয়রা। অসাধারণ এক সেঞ্চুরি করে দক্ষিণ আফ্রিকান অধিনায়ক চোখ রাঙাছিলেন ভারতের উৎসব ভন্ডুল করার। কিন্তু সেঞ্চুরি করার পরপরই ক্যাচ তুললেন ভলভার্ট। আর সেই ক্যাচ নিতে গিয়ে আমানজোত কৌর ভারতের প্রায় শত কোটি মানুষের হৃৎস্পন্দন প্রায় থামিয়ে দিয়েছিলেন। একবার নয়, দুবার নয়, তৃতীয়বারের চেষ্টাতেই ক্যাচ নিতে পারেন আমানজোত। এবারও বোলার সেই অফ স্পিনার দীপ্তি শর্মা।

৯৮ বলে ১০১ রান করে ভলভার্ট যখন ফিরলেন দক্ষিণ আফ্রিকার স্কোর ৪১.১ ওভারে ২২০/৭। এরপর শুধু আনুষ্ঠানিকতাই ছেড়েছে ভারত। দীপ্তি আরও ২টি উইকেট নিয়ে পেয়ে গেছেন ৫ উইকেট। আর ভারত হয়ে গেছে চ্যাম্পিয়ন। এর আগে ব্যাট হাতেও ৫৮ বলে ৫৮ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলেছেন দীপ্তি।

ব্যাট হাতে ৮৭ রান করা শেফালি বর্মা বল হাতে নিয়েছেন ২ উইকেট

সম্পর্কিত নিবন্ধ