হাতিয়া উপকূলে মেঘনায় ৩৯ যাত্রীসহ ট্রলারডুবি, একজনের মৃত্যু, আটজন নিখোঁজ
Published: 31st, May 2025 GMT
নোয়াখালীর হাতিয়া উপকূলে মেঘনা নদীতে ৩৯ জন যাত্রী নিয়ে একটি পণ্যবাহী ট্রলারডুবির ঘটনা ঘটেছে। ডুবো চরের সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে তলা ফেটে যাওয়ায় ট্রলারটি ডুবে যায় বলে উদ্ধারকারীরা জানিয়েছেন। ট্রলারে থাকা ৩১ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়। তবে উদ্ধার হওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে একজন মারা গেছেন। আর আটজন এখনো নিখোঁজ রয়েছেন। নিখোঁজ ব্যক্তিদের মধ্যে সাইফুল ইসলাম নামের একজন পুলিশ সদস্যও রয়েছেন। আজ শনিবার বেলা আনুমানিক সোয়া দুইটার দিকে হাতিয়ার চানন্দি ইউনিয়নের করিমবাজার ঘাটের কাছে ওই ট্রলারডুবির ঘটনা ঘটে।
পুলিশ, ট্রলারের মালিক ও স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আজ দুপুর আনুমানিক ১২টার দিকে হাতিয়ার ভাসানচর থেকে ৩ জন পুলিশ সদস্য, ৪ জন আনসার সদস্য, ৬ জন রোহিঙ্গা রোগী এবং বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থার চারজন কর্মীসহ সর্বমোট ৩৯ জন যাত্রী নিয়ে জাহাঙ্গীর মাঝি হাতিয়ার চানন্দী ইউনিয়নের করিমবাজার ঘাটের উদ্দেশে রওনা দেন।
হাতিয়ার মোরশেদ বাজার পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক মো.
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: সদস য
এছাড়াও পড়ুন:
নিউ ইয়র্কে নিহত বাংলাদেশি পুলিশ কর্মকর্তা সম্পর্কে যা জানা গেলো
যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কের সেন্ট্রাল ম্যানহাটনে একটি বহুতল অফিসে বন্দুক হামলায় নিহত হয়েছেন নিউ ইয়র্ক পুলিশের কর্মকর্তা দিদারুল ইসলাম (৩৬)। জানা গেছে, তিনি বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত অভিবাসী ছিলেন। খবর রয়টার্সের।
নিহত কর্মকর্তা দিদরুল ইসলামকে একজন ‘বীর বাংলাদেশি অভিবাসী’ হিসেবে উল্লেখ বর্ণনা করেছেন নিউ ইয়র্কের মেয়র এবং নিউ ইয়র্কের পুলিশ কমিশনার। তারা বলেছেন, ওই কর্মকর্তা নিজের জীবন ঝুঁকিতে ফেলে অন্যদের জীবন রক্ষা করেছিলেন।
সোমবার ম্যানহাটনের মিডটাউন অফিস টাওয়ারের ভেতরে এক বন্দুকধারী হামলা চালিয়ে পুলিশ কর্মকর্তা দিদারুল ইসলাম (৩৬) সহ চারজনকে হত্যা করে। হামলাকারী পরবর্তীতে আত্মহত্যা করেছে বলে পুলিশ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
আরো পড়ুন:
পুতিনকে এবার ১২ দিনের আল্টিমেটাম দিলেন ট্রাম্প
নিউ ইয়র্কে বন্দুকধারীর গুলিতে নিহত ৪
নিউ ইয়র্কের মেয়র এরিক অ্যাডামস এক প্রেস ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের বলেন, “ভয়াবহ একটি বন্দুক সহিংসতার ঘটনায় আমরা চারটি প্রাণ হারিয়েছি, যার মধ্যে নিউ ইয়র্ক সিটি পুলিশ বিভাগের একজন সদস্য ‘অফিসার ইসলাম’ রয়েছেন।
অ্যাডামস জানান, নিহত অফিসার তিন বছরেরও বেশি সময় ধরে নিউ ইয়র্ক পুলিশে কর্মরত ছিলেন এবং তিনি বাংলাদেশ থেকে আসা একজন অভিবাসী।
মেয়র বলেন, “হামলার সময় অফিসার ইসলাম অন্যদের জীবন রক্ষা করছিলেন, তিনি নিউ ইয়র্কবাসীদের রক্ষা করছিলেন। তিনি এই শহরকে ভালোবাসতেন এবং আমরা যাদের সাথে কথা বলেছি তারা সবাই বলেছেন যে, তিনি একজন সৎ মানুষ ও ঈশ্বরে বিশ্বাসী ব্যক্তি ছিলেন।”
মেয়র আরো জানিয়েছেন, সোমবার রাতে তিনি অফিসর ইসলামের পরিবারের সঙ্গে দেখা করেছেন।
মেয়র আরো বলেন, “আমি তাদেরকে বলেছি, অফিসার ইসলাম একজন একজন বীর এবং আমরা তার ত্যাগের প্রশংসা করি।”
নিউ ইয়র্কের পুলিশ কমিশনার জেসিকা টিশ সংবাদ সম্মেলনে জানান, অফিসার ইসলাম বিবাহিত ছিলেন এবং তার দুটি সন্তান ছিল। তার স্ত্রী তৃতীয় সন্তানের মা হতে চলেছেন।
পুলিশ কমিশনার বলেন, “অফিসার ইসলাম নিজেকে ঝুঁকির মুখে ফেলেছিলেন। তিনি চূড়ান্ত ত্যাগ স্বীকার করেছিলেন, তাকে ঠান্ডা মাথায় গুলি করে হত্যা করা হয়েছিল।”
ঢাকা/ফিরোজ