রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধন ফিরে পেলো বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। তাদের দাঁড়িপাল্লা প্রতীক বিষয়ে নির্বাচন কমিশন সিদ্ধান্ত নেবে বলে আপিল বিভাগ জানিয়েছেন। 

রবিবার (১ জুন) প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ এ রায় দেন। 

এর আগে গত ১৪ মে নিবন্ধন ফিরে পেতে জামায়াতের আপিলের রায় ঘোষণার জন্য আজকের দিন ঠিক করা হয়। 

জামায়াতকে নিবন্ধন দেওয়ার সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে তরীকত ফেডারেশনের সেক্রেটারি জেনারেল সৈয়দ রেজাউল হক চাঁদপুরী, জাকের পার্টির মহাসচিব মুন্সি আবদুল লতিফ, সম্মিলিত ইসলামী জোটের প্রেসিডেন্ট মাওলানা জিয়াউল হাসানসহ ২৫ জন ২০০৯ সালের জানুয়ারিতে একটি রিট আবেদন করেন।

২০১৩ সালের ১ অগাস্ট বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি কাজী রেজা-উল হকের বেঞ্চ ওই রিটের রায়ে জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন অবৈধ ও বাতিল ঘোষণা করে। ওই রায়ের ওপর স্থগিতাদেশ চেয়ে জামায়াতের করা আবেদন ওই বছরের ৫ অগাস্ট খারিজ করে দেয় আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত।

হাইকোর্টের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হওয়ার পর ২০১৮ সালের ২৯ অক্টোবর জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন বাতিলের প্রজ্ঞাপন জারি করে নির্বাচন কমিশন। তাতে এ দলটির দলীয় প্রতীকে নির্বাচন করার সুযোগ বন্ধ হয়ে যায়।

পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হলে জামায়াতে ইসলামী আপিল করে। শুনানিতে জামায়াতের মূল আইনজীবী উপস্থিত না থাকায় ২০২৩ সালের ১৯ নভেম্বর প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে ছয় বিচারকের আপিল বেঞ্চ ওই আপিল খারিজ করে দেয়।

আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর পরিবর্তনের হাওয়ায় সেই আপিল পুনরুজ্জীবনের আবেদন করা হয় জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকে।

তাতে সম্মতি দিয়ে গতবছর ২৪ অগাস্ট আপিলটি পুনরুজ্জীবিত করার আদেশ দেয় সর্বোচ্চ আদালত। তাতে নিবন্ধন ফিরে পেতে জামায়াতে ইসলামীর আইনি লড়াইয়ের পথ খোলে। বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের শেষ সময়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সহিংসতার অভিযোগে জামায়াতে ইসলামীকে নিষিদ্ধ করা হয়েছিল।

অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর জাময়াতের আবেদনে সেই নিষেধাজ্ঞাও তুলে নেওয়া হয়। নিবন্ধন ফিরে পাওয়ার মাধ্যমে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার অধিকারও ফিরে পাচ্ছে ২০০১-০৬ সময়ে বিএনপির সঙ্গে সরকারে থাকা দলটি।

ঢাকা/মামুন/ইভা 

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ইসল ম র ব চ রপত আপ ল ব সরক র

এছাড়াও পড়ুন:

অনুগত করদাতাদের ওপর চাপ বাড়বে

ফরেন ইনভেস্টরস চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফআইসিসিআই) সভাপতি জাভেদ আখতার বলেছেন, বাজেটে বেশ কিছু ইতিবাচক বিষয় রয়েছে। তবে এই বাজেট অনুগত করদাতাদের ওপর অতিরিক্ত করের বোঝা বাড়াতে পারে। অবশ্য পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপ তহবিলে ৫ হাজার ৪০ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব বিদেশি বিনিয়োগ বাড়াতে সহায়ক হবে।
গতকাল সোমবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে তিনি বলেন, পুঁজিবাজারে যেসব কোম্পানির ১০ শতাংশের কম শেয়ার তালিকাভুক্ত তাদের ওপর অতিরিক্ত সাড়ে ৭ শতাংশ কর আরোপের প্রস্তাব উদ্বেগজনক। ব্যাংকিং মাধ্যমে লেনদেনে হ্রাসকৃত করহারের সুবিধা বাদ দেওয়ার প্রস্তাব আনুষ্ঠানিক অর্থনীতি গড়ে তোলার জাতীয় প্রচেষ্টার বিপরীত। করমুক্ত আয়সীমা বাড়ালেও সামগ্রিক পরিবর্তন বিবেচনায় মধ্য আয়ের কর দাতাদের ওপর অতিরিক্ত করের বোঝা পড়বে। অনলাইন বিক্রির ওপর ভ্যাট ৫ থেকে বাড়িয়ে ১৫ শতাংশ করা এ খাতের প্রতিষ্ঠানকে হুমকির মুখে ফেলবে। তিনি বলেন, কর রেয়াত ও ফেরতের সময়সীমা চার মাস থেকে ছয় মাসে বাড়ানোর ফলে চলতি মূলধন সংকটে থাকা ব্যবসায়ীদের জন্য উপকার হবে। 

সম্পর্কিত নিবন্ধ