৭ দিন পর সেন্টমার্টিন-টেকনাফ নৌরুটে ট্রলার চলাচল শুরু
Published: 1st, June 2025 GMT
বৈরী আবহাওয়ার কারণে সাতদিন বন্ধ থাকার পর কক্সবাজারের সেন্টমার্টিন-টেকনাফ নৌ রুটে ট্রলার চলাচল শুরু হয়েছে।
রবিবার (১ জুন) সকাল থেকে এ রুটে যাত্রী ও পণ্যবাহী ট্রলার চলাচলের অনুমতি দিয়েছে উপজেলা প্রশাসন।
গত ২৫ মে বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট গভীর নিম্নচাপের ফলে সাগর উত্তাল হয়ে ওঠায় দুর্ঘটনা এড়াতে এ রুটে সব ধরনের নৌযান চলাচল বন্ধ ঘোষণা করে প্রশাসন। আবহাওয়া পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হওয়ায় আজ থেকে ট্রলার চলাচলের অনুমতি দেওয়া হয়েছে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।
আরো পড়ুন:
৫ দিন পর চালু চন্দ্রঘোনা-রাইখালী নৌ রুট
কক্সবাজার-মহেশখালী রুটে সি-ট্রাকের যাত্রা শুরু বৃহস্পতিবার
সেন্টমার্টিন ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ফয়েজুল ইসলাম বলেন, “দ্বীপের অধিকাংশ বাসিন্দার এখন আয়-রোজগার নেই। বৈরী আবহাওয়ায় নৌ যোগাযোগ বন্ধ থাকলে খাদ্য এবং ওষুধ সংকট দেখা দেয়। ট্রলার চলাচল শুরুর মাধ্যমে কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে।”
সেন্টমার্টিনের বাসিন্দা আলমগীর হোসেন আকাশ জানান, “গভীর নিম্নচাপের সময় সাগরের পানি গ্রামে ঢুকেছিল। তখন সঠিকভাবে চিকিৎসাসেবা পাওয়া যায়নি। কোস্টগার্ড ও নৌবাহিনী প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে সহায়তা করেছে।”
টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌ রুটের সার্ভিস বোট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি রশিদ আহমদ বলেন, “আজ ছয়টি সার্ভিস ট্রলার টেকনাফ থেকে সেন্টমার্টিনের উদ্দেশে ছেড়ে গেছে। এর মধ্যে দুটি ট্রলার নিত্যপণ্য বহন করছে।”
টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শেখ এহসান উদ্দিন বলেন, “দ্বীপে খাদ্য সংকট মোকাবিলায় চালসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য পাঠানো হয়েছে। পরিস্থিতি অনুযায়ী আরো সহায়তা পাঠানো হবে।”
ঢাকা/তারেকুর/মাসুদ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ন পথ স ন টম র ট ন
এছাড়াও পড়ুন:
বিয়ে বাড়িতে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে বরের বাবার মৃত্যু
হবিগঞ্জের বানিয়াচং উপজেলায় বিয়ে বাড়ির আলোকসজ্জায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে প্রাণ হারালেন বরের বাবা বিষু পাল (৬৫)। বুধবার (৩০ জুলাই) উপজেলার গুনই মদনমুরত গ্রামে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
বানিয়াচং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কবির হোসেন জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। আইনানুগ প্রক্রিয়া শেষে লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
স্থানীয়রা জানান, বিষু পালের বড় ছেলে বিজয় পালের বিয়ে ঠিক হয় ৩১ জুলাই (বৃহস্পতিবার)। সেই উপলক্ষে বাড়িতে আলোকসজ্জার আয়োজন করা হয়। বাড়ির একটি গ্রিলে অস্থায়ী বিদ্যুৎ লাইনের তার ঝুলছিল। যেখানে লিকেজ ছিল। সকালে অসাবধানতাবশত সেই গ্রিলে হাত দিলে বিষু পাল বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন। পরিবারের লোকজন তাকে উদ্দার করে হবিগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
আরো পড়ুন:
কুড়িগ্রামে সাপের কামড়ে সাপুড়ের মৃত্যু
কিশোরগঞ্জে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে ২ কৃষকের মৃত্যু
বানিয়াচং থানার এসআই সজিব ঘোষ জানান, ঘটনাটি মর্মান্তিক। বিয়ের আনন্দময় পরিবেশ হঠাৎ করে বিষাদে পরিণত হয়েছে। বিকেলে বিষু পালের পরিবারের সদস্যরা বিনা ময়নাতদন্তে লাশ নিয়ে যাওয়ার জন্য হবিগঞ্জ জেলা সদরে গিয়ে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট বরাবর আবেদন করেছেন। এ ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
ঢাকা/মামুন/বকুল