জুলাই সনদ ঘোষণার আগে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা নয়: নাহিদ ইসলাম
Published: 2nd, June 2025 GMT
জুলাই সনদ কার্যকর হওয়ার আগে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করা ঠিক হবে না– একথা বলেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। তিনি বলেছেন, জুলাই সনদ ঘোষণার আগে যদি নির্বাচনের তারিখ ঘোষিত হয় তাহলে সংস্কার প্রক্রিয়া ব্যাহত হতে পারে।
আজ সোমবার বিকেলে রাজধানীর বাংলাদেশ ফরেন সার্ভিস একাডেমি মিলনায়তনে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে আলোচনা শেষে বেরিয়ে একথা বলেন নাহিদ ইসলাম।
জাতীয় নাগরিক পার্টির আহ্বায়ক নাহিদ বলেন, ‘আমরা আহ্বান জানিয়েছি, ১৬ বছর আমরা অপেক্ষা করেছি, এরপর দশ মাস অপেক্ষা করেছি, আরও দুমাস অপেক্ষা করতে চাই এবং সরকারকে সময় দিতে চাই সকল রাজনৈতিক দল মিলে। দুমাসের মধ্যে আমাদের জুলাই সনদ, যেখানে জনগণ ভবিষ্যৎ বাংলাদেশ শাসনের রূপরেখা, শাসন ব্যবস্থা পরিবর্তনের মৌলিক সংস্কারের রূপরেখা দেখতে পারবে। সেই জুলাই সনদ হওয়ার পরে সরকার যাতে নির্বাচনে তারিখ ঘোষণা করে, সে আহ্বান আমরা জানিয়েছি। জুলাই সনদ হওয়ার পরে আমরা আমাদের দলীয় মন্তব্য জানাব যে, আমরা কখন নির্বাচন চাচ্ছি।’
নির্বাচন কমিশন এখন যে প্রক্রিয়ায় চলছে, তার ওপর আস্থা রাখতে পারছেন না বলে উল্লেখ করেছেন নাহিদ ইসলাম। নির্বাচন কমিশনের নিরপেক্ষতা প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে দাবি করে তিনি বলেন, ‘আমাদের একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে, নির্বাচনী ব্যবস্থা সংস্কার। নির্বাচন সংক্রান্ত ও নির্বাচন কমিশন সংক্রান্ত যে আইনগুলো রয়েছে সেগুলো সংস্কার করে নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠনের দাবি জানিয়েছি।’
জাতীয় নাগরিক পার্টির পক্ষ থেকে তিনটি বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন বলে জানান নাহিদ ইসলাম। বিষয়গুলো হল, ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে সরকার যে জুলাই সনদ ঘোষণাপত্র দেওয়ার কথা বলেছিল, সেটির অগ্রগতি জানতে চেয়েছেন এবং ৩০ কার্য দিবসের মধ্যে যাতে জুলাই ঘোষণাপত্র জারি করা হয় সে আহ্বান জানিয়েছেন।
‘কারণ আমরা এর আগেও দেখেছিলাম জানুয়ারি মাসে একটা ডেট দেওয়া হয়েছিল, আন্দোলনের প্রেক্ষিতে আরেকটি প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। এবার যাতে প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ না হয়। জুলাই মাসের মধ্যে সকলের সাক্ষ্য নিয়ে জুলাই সনদ যাতে কার্যকর করা হয়, সে বিষয়ে দাবি জানিয়েছি,’ বলেন তিনি।
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে আজকের বৈঠকে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ, দলটির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ইসমাইল জবিউল্লাহ ও আইনজীবী রুহুল কুদ্দুস; জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আজাদ; গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা অংশ নেন।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ন হ দ ইসল ম জ ল ই সনদ সরক র
এছাড়াও পড়ুন:
‘ফিরিয়ে দাও’ থেকে ‘ধূসর সময়’: সিডনিতে একই মঞ্চে মাইলস ও আর্টসেল
সিডনির বসন্তের সন্ধ্যা। লিভারপুলের হুইটল্যাম লেজার সেন্টারের বাইরে তখন লম্বা লাইন—হাতে পতাকা, কাঁধে ব্যাগ, চোখে প্রত্যাশা। সাউন্ডচেকের শব্দ ভেসে আসছে বাইরে। ভেতরে যেন উন্মুখ এক ‘সাগর’, যেখানে মিশে আছে দুই প্রজন্মের মুখ, কণ্ঠ আর স্মৃতি। শনিবার রাতটি হয়ে উঠেছিল প্রবাসী বাঙালিদের জন্য এক ব্যতিক্রমী উৎসব—বাংলাদেশের ব্যান্ড সংগীতের দুই যুগের দুই প্রতীক, মাইলস ও আর্টসেল; প্রথমবারের মতো একই মঞ্চে গান করল সিডনিতে।
‘গ্রিনফিল্ড এন্টারটেইনমেন্ট’ আয়োজিত এই ‘মিউজিক ফেস্ট’ ঘিরে প্রবাসী বাংলাদেশিদের মধ্যে যে উচ্ছ্বাস তৈরি হয়েছিল, তা যেন উপচে পড়ল সেই রাতে। টিকিট বিক্রি শুরু হওয়ার পরপরই সব শেষ। অনুষ্ঠান শুরুর ঘণ্টাখানেক আগে থেকেই সিডনির দক্ষিণ-পশ্চিম উপশহর লিভারপুলের রাস্তাগুলো ভরে গেল গানের ভক্তে।
আয়োজনের আগে ভিডিও বার্তায় মাইলস জানায় তাদের উচ্ছ্বাস। ব্যান্ডের অন্যতম সদস্য হামিন আহমেদ বলেন, ‘সিডনি বরাবরই আমাদের কাছে বিশেষ কিছু। সম্ভবত ১৯৯৬ সালে আমরাই প্রথম বাংলাদেশি ব্যান্ড হিসেবে অস্ট্রেলিয়ায় পারফর্ম করি। এরপর এ নিয়ে অন্তত পঞ্চমবারের মতো সিডনিতে এলাম। এখানকার দর্শকদের ভালোবাসা সব সময়ই অবিশ্বাস্য।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা জানতাম এটি স্মরণীয় একটি আয়োজন হতে যাচ্ছে। আমরা চেয়েছি সবাই একসঙ্গে গাইবে, চিৎকার করবে—ভক্তরা সেটাই করেছেন।’ গিটারিস্ট তুজো যোগ করেন, ‘অস্ট্রেলিয়ার পাঁচটি শহরে ট্যুর করছি, কিন্তু সিডনির আবহ একেবারেই আলাদা। দর্শকেরা আমাদের রাতটিকে স্মরণীয় করে দিয়েছেন।’
মঞ্চে আর্টসেল