বন্দরে মাদকদ্রব্য ও দেশীয় অস্ত্রসহ নারী মাদক ব্যবসায়ী গ্রেপ্তার
Published: 2nd, June 2025 GMT
বন্দরে মাদকদ্রব্য ও বিপুল পরিমাণ দেশীয় অস্ত্রসহ মুনা (২০) নামে এক নারী মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করেছে যৌথবাহিনীর সদস্যরা। গত রোববার (২ জুন) মধ্য রাতে বন্দর থানার সোনাকান্দাস্থ ভাড়াটিয়া বাসা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয় ।
গ্রেপ্তারকৃত মুনা বন্দরের সোনাকান্দা এলাকার রাব্বি মিয়ার স্ত্রী। অভিযানের সময় মুনার স্বামী রাব্বি ও তার চার সহযোগী কৌশলে পালিয়ে যায়। এ ব্যাপারে বন্দর থানায় মামলা হয়েছে।
বন্দর থানার এসআই আঃ মোতালেব ভুঞা জানান, মাদক বিক্রির গোপন সংবাদ পেয়ে বন্দরের সোনাকান্দা এলাকার বাবুল হোসেনের মালিকানাধিন রাব্বির ভাড়াটিয়া বাসায় অভিযান চালায় যৌথবাহিনী।
এ সময় আইনশৃংখলা বাহিনীর উপস্থিতি টের পেয়ে কৌশলে পালিয়ে যায় রাব্বিসহ ও তার ৪ সহযোগী। এরপর ওই বাসা থেকে মাদকদ্রব্যসহ রাব্বির স্ত্রী মুনাকে গ্রেপ্তার করে যৌথবাহিনীর সদস্যরা।
পরে বাসা তল্লাশী চালিয়ে পাতের তৈরি তলোয়ার, স্টিলের চাকু, দেশীয় তৈরি চাইনিজ কুড়ালসহ বেশ কিছু দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়।
.উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ
এছাড়াও পড়ুন:
এই বাজেট ব্যবসা সম্প্রসারণে আস্থা বাড়াবে না: ফরেন চেম্বার
আগামী অর্থবছরের জন্য ঘোষিত প্রস্তাবিত বাজেটে ব্যবসা সম্প্রসারণে আস্থা বৃদ্ধি করবে না বলে মন্তব্য করেছেন ফরেন ইনভেস্টরস চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফআইসিসিআই) সভাপতি জাভেদ আখতার। তিনি বলেন, বাজেটে করজাল বৃদ্ধির নির্দেশনা নেই। সরকারে পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এটা প্রবৃদ্ধির বাজেট না। এই পরিবেশে কে বিনিয়োগ করতে আসবে বলে প্রশ্ন তোলেন তিনি।
আজ বুধবার ফরেন ইনভেস্টরস চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফআইসিসিআই) গুলশানের কার্যালয়ে বাজেট পর্যালোচনায় এসব কথা বলেন জাভেদ আখতার। এ সময় সংগঠনের সাবেক সভাপতি নাসের এজাজ বিজয় ও রূপালী হক চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।
জাভেদ আখতার বলেন, ‘গত তিন বাজেটে আমাদের ওপর করের চাপ বাড়ছে। এবারও কর ব্যয় বাড়বে। বেশি কর দিতে হবে। এবার বেভারেজ, সিগারেট ও শিশুখাদ্যের দাম বাড়বে। তালিকাভুক্ত কোম্পানির সঙ্গে ব্যবধান বাড়াতে কর বাড়ানো হয়েছে আড়াই শতাংশ।
বিদেশি বিনিয়োগ নিয়ে জাভেদ আখতার বলেন, ‘দুঃখজনকভাবে আমাদের চেয়ে পাকিস্তানের বিদেশি বিনিয়োগ বেশি। দীর্ঘদিন ধরেই এখানে বিদেশি বিনিয়োগ কম। যদিও বিষয়টি বাজেটের ওপর নির্ভর করে না, নির্ভর করে বিশ্বাসযোগ্য পরিবেশ, নীতির ধারাবাহিকতা ও ব্যবসার সহজীকরণের ওপর। এ ছাড়া কাগজপত্র অনুমোদনের সহজীকরণের বিষয় আছে।
ছোট ছোট পরিবর্তনের মাধ্যমে শিল্পকে ঝাঁকুনি দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন রূপালী হক চৌধুরী। অথচ যেসব প্রতিষ্ঠান কর না দিয়ে চলছে, তাদের করজালে আনা এনবিআরের প্রধান কাজ হওয়া উচিত ছিল।
নাসের এজাজ বিজয় বলেন, রাজস্ব প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৯ শতাংশ। এটা করতে গেলে প্রায় ৩৯ শতাংশ রাজস্ব আহরণ বাড়াতে হবে। কিন্তু সেটা কীভাবে হবে, তা বলা হয়নি। করহার বাড়ালে বেশি কর আদায় হয় না, বরং করহার কমলে রাজস্ব আদায় বাড়ে বলে মন্তব্য করেন তিনি।