ভারতের হুমকি মোকাবিলায় যোগাযোগ বাড়াচ্ছে পাকিস্তান
Published: 4th, June 2025 GMT
জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের নির্বাচিত সদস্যদের সামনে ভারতের কর্মকাণ্ডের ফলে উদ্ভূত ‘আঞ্চলিক শান্তির জন্য হুমকি’ সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত বিবরণ দেয় পাকিস্তানের একটি শীর্ষ পর্যায়ের প্রতিনিধি দল। সাম্প্রতিক সময়ে দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনার পরিপ্রেক্ষিতে সোমবার এই ব্রিফিং হয়।
প্রতিনিধি দলটি নিরাপত্তা পরিষদের নির্বাচিত সদস্যদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছে যাতে ‘ভারতীয় অপপ্রচার উন্মোচিত’ করা যায় এবং পাকিস্তানের অবস্থান তুলে ধরা যায়। ডেনমার্ক, গ্রিস, পানামা, সোমালিয়া, আলজেরিয়া, গায়ানা, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, সিয়েরা লিওন এবং স্লোভেনিয়ার প্রতিনিধিদের সঙ্গে তারা সাক্ষাৎ করেন।
মঙ্গলবার জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের সদস্যদের পাকিস্তান পিপলস পার্টির (পিপিপি) চেয়ারম্যান বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারি বলেন, ভারতের শহরাঞ্চল লক্ষ্য করে হামলা এবং সিন্ধু পানিচুক্তি স্থগিত করা আঞ্চলিক শান্তির জন্য হুমকি। গবেষণা বা প্রমাণ ছাড়া পাকিস্তানের বিরুদ্ধে অভিযোগ গ্রহণযোগ্য নয়। সম্প্রতি ভারতের সঙ্গে সামরিক উত্তেজনায় পাকিস্তান একটি মেপে চলা, দায়িত্বশীল ও জাতিসংঘ সনদ অনুযায়ী প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে।
চীন ব্রহ্মপুত্রের পানি প্রবাহ কমিয়ে দিলে ভারতের লাভ ছাড়া ক্ষতি নেই। এমন দাবি করেছেন ভারতের আসাম রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা। এনডিটিভি জানায়, পাকিস্তানের বক্তব্যের জবাবে তিনি আরও বলেন, এতে বার্ষিক বন্যার হাত থেকে আসাম মুক্তি পাবে। জনজীবন ব্যাহত হবে না। সম্পত্তির ক্ষতি হবে না। কেন ক্ষতি হবে না, সেই ব্যাখ্যাও দিয়েছেন বিজেপিদলীয় মুখ্যমন্ত্রী।
জিও টিভি জানায়, বেলুচিস্তানের স্বাধীনতা আন্দোলন কিংবা ইসলামাবাদের ভাষায় বিচ্ছিন্নতাবাদী তৎপরতায় ভারত মদদ দিচ্ছে– এমন অভিযোগ করেছেন পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর জনসংযোগ দপ্তরের (আইএসপিআর) মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আহমেদ শরিফ চৌধুরী। বেলুচ বিচ্ছিন্নতাবাদীদের ভারতের ‘ক্রীতদাস’ বলে উল্লেখ করেছেন তিনি।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
রাত পোহালেই চাঁদপুরের অর্ধশতাধিক গ্রামে ঈদ
সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর সঙ্গে মিল রেখে চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ উপজেলার সাদ্রা দরবার শরীফসহ জেলার প্রায় অর্ধশতাধিক গ্রামে শুক্রবার উদযাপিত হবে পবিত্র ঈদুল আজহা।
বৃহস্পতিবার রাতে দরবার শরিফের পীরজাদা মাওলানা মুফতি আরিফ চৌধুরী সমকালকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, শুক্রবার সকাল ৮টয় সাজ্জাদ দরবার শরীফ ঈদগা ময়দানে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে।
আরিফ চৌধুরী বলেন, শুধুমাত্র সৌদি আরব নয়, কোরআন ও হাদিসের আলোকে চাঁদ দেখার ওপর নির্ভর করে আমরা রোজা পালন, ঈদুল ফিতর এবং ঈদুল আজহা উদযাপন করে থাকি। এ উপলক্ষে কোরবানির পশু ক্রয়সহ আনুষঙ্গিক প্রস্তুতি ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে।
ঈদের প্রথম জামায়াত দরবার শরীফ মাঠে সকাল সাড়ে ৭টায় অনুষ্ঠিত হবে। এই জামায়াতে ইমামতি করবেন পীরজাদা মাওলানা মুফতি জাকারিয়া চৌধুরী।
এরপর দ্বিতীয় জামায়াত সাদ্রা হামিদিয়া ফাজিল (ডিগ্রি) মাদরাসা মাঠে সকাল ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে। এতে ইমামতি করবেন মাওলানা মুফতি আরিফ চৌধুরী।
এছাড়া হাজীগঞ্জ, ফরিদগঞ্জ ও মতলব উত্তর উপজেলায় সকাল সাড়ে ৮ থেকে সাড়ে ৮টার মধ্যে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে।
আরিফ চৌধুরী জানান, ১৯২৮ সাল থেকে সাদ্রা দরবার শরীফের মরহুম পীর মাওলানা ইসহাক (রহ.) সৌদি আরবসহ অন্য আরব দেশগুলোর সঙ্গে মিল রেখে রোজা, ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহা উদযাপনের প্রথা চালু করেন।
এছাড়া তার অনুসারী মুসল্লিরা চাঁদপুরসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় একই সঙ্গে ঈদুল আজহা উদযাপন করেন।
যেসব গ্রামে আগাম ঈদুল আজহা উদযাপন হবে সেগুলো হচ্ছে- হাজীগঞ্জ উপজেলার সাদ্রা, সমেশপুর, অলিপুর, বলাখাল, মনিহার, প্রতাপুর, বাসারা, ফরিদগঞ্জ উপজেলার লক্ষ্মীপুর, কামতা, গল্লাক, ভুলাচোঁ, সোনাচোঁ, উভারামপুর, উটতলি, মুন্সিরহাট, কাইতাড়া, মূলপাড়া, বদরপুর, আইটপাড়া, সুরঙ্গচাইল, বালিথুবা, পাইকপাড়া, নূরপুর, সাচনমেঘ, শোল্লা, হাঁসা, গোবিন্দপুর, মতলব উপজেলার দশানী, মোহনপুর, পাঁচানী এবং কচুয়া ও শাহরাস্তি উপজেলাসহ অর্ধশত গ্রাম।