মুজিবনগর সরকারের মুক্তিযোদ্ধা স্বীকৃতি বাতিলের খবর ‘মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর’
Published: 4th, June 2025 GMT
মুজিবনগর সরকারের রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবুর রহমান, অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম, প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদসহ শীর্ষ নেতাদের মুক্তিযোদ্ধা স্বীকৃতি বাতিলের যে খবর কয়েকটি সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে, তা ‘সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন, মিথ্যা এবং বিভ্রান্তিকর’ বলে জানিয়েছে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং।
বুধবার (৪ জুন) মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম এ বিষয়ে বলেছেন, “মুজিবনগর সরকারে যারা ছিলেন, তারাও মুক্তিযোদ্ধা। যারা সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধ করেছেন, যারা তা পরিচালনা করেছেন, সবাই মুক্তিযোদ্ধা। তবে, সরকারের অধীন কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা সহযোগী মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে চিহ্নিত হন।”
তিনি জানান, জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল (জামুকা) অধ্যাদেশ অনুযায়ী, স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের কর্মীসহ বিদেশে কর্মরত কূটনীতিকরাও ‘সহযোগী মুক্তিযোদ্ধা’ হিসেবে স্বীকৃতি পান।
আরো পড়ুন:
চাঁদপুরে মুক্তিযোদ্ধাকে মৃত দেখিয়ে ভাতা নিচ্ছেন তার স্ত্রী
কুমিল্লার সেই মুক্তিযোদ্ধা কানুর বাড়িতে গভীর রাতে হামলা
ফারুক-ই-আজম বলেছেন, “সহযোগী মুক্তিযোদ্ধা মানে তাদের সম্মান বা মর্যাদা ক্ষুণ্ন করা হয়নি। মুক্তিযোদ্ধা ও সহযোগী মুক্তিযোদ্ধা—দুয়েরই মর্যাদা, সম্মান এবং সুযোগ-সুবিধা সমান থাকবে।”
তিনি উল্লেখ করেন, ১৯৭২ সালের মুক্তিযোদ্ধার সংজ্ঞা অনুযায়ীই বর্তমানে সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করা হয়েছে। পরে ২০১৮ ও ২০২২ সালে এই সংজ্ঞায় কিছু পরিবর্তন আনা হয়, যা আইনি কাঠামোর মধ্যে থেকেই করা হয়েছে।
এ নিয়ে জনগণকে বিভ্রান্ত না হওয়ার অনুরোধ জানিয়েছে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং।
ঢাকা/হাসান/রফিক
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর সহয গ সরক র
এছাড়াও পড়ুন:
বাহরাইনের প্রতি বাংলাদেশিদের জন্যে ভিসা চালুর অনুরোধ
ব্যবসায়ী, পেশাজীবী, দক্ষ ও আধা দক্ষ শ্রমিকসহ বাংলাদেশের নাগরিকদের জন্য ভিসা সুবিধা পুনরায় চালু করতে বাহরাইনের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন।
উপদেষ্টা দু’দেশের জনগণের সম্পর্ক ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা জোরদারের লক্ষ্যে ভিসা পুনরায় চালুর এ অনুরোধ জানান।
বাহরাইনে ২১তম আইআইএসএস মানামা সংলাপের ফাঁকে শনিবার (১ নভেম্বর) দেশটির উপ-স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আদেল বিন খালিফা আল ফাদেলের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে অংশ নেন তিনি। এ সময়ে ভিসা পুনরায় চালুর অনুরোধটি জানান উপদেষ্টা।
রবিবার (২ নভেম্বর) ঢাকায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা বলা হয়েছে।
একইসঙ্গে তৌহিদ হোসেন কমিউনিটির কল্যাণ নিশ্চিত এবং সামাজিক সম্পর্ক মজবুতের লক্ষ্যে বাহরাইনে বসবাসরত বাংলাদেশি নাগরিকদের জন্য ‘ফ্যামিলি ভিসা’ প্রদানের বিষয়টি বিবেচনা করারও অনুরোধ জানান।
বাহরাইনের উপ-স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী দেশটির অর্থনীতিতে বাংলাদেশের নাগরিকদের অবদানের প্রশংসা করেন। তিনি জানান, তার দেশের সরকার ধাপে ধাপে ভিসা সুবিধা পুনরায় চালুর জন্য কাজ করছে।
বৈঠকে উভয়ে দু’দেশের দণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের হস্তান্তরে একটি চুক্তি সম্পাদনের সম্ভাবনা নিয়েও আলোচনা করেন।
তৌহিদ হোসেন ২১তম মানামা সংলাপের অধিবেশনের পাশপাশি আরো কিছু অনুষ্ঠানে অংশ নিচ্ছেন। এসব আয়োজনে বিশ্ব নেতা, বিভিন্ন দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও নীতি নির্ধারকরা আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা চ্যালেঞ্জ নিয়ে আলোচনা করবেন।
তথ্যসূত্র: বাসস
ঢাকা/ইভা