যমুনা সেতুর পূর্বপাড়ে টাঙ্গাইল অংশে উনিশ কিলোমিটার যানজট সৃষ্টি হয়েছে। এর প্রভাব পড়েছে পশ্চিমপাড়েও। এই রুটে ঢাকা-রংপুর মহাসড়কের সিরাজগঞ্জের সয়দাবাদ গোলচত্ত্বর পর্যন্ত দেখা গেছে যানবাহনের দীর্ঘ সারি। এই প্রতিবেদন লেখার সময় দুপুর পৌনে ৩টা পর্যন্ত ছিল এমন যানজট। এতে ঢাকা-উত্তরাঞ্চলগামী ঘরমুখো মানুষের চরম ভোগান্তি শুরু হয়।

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে যমুনা সেতু রক্ষণাবেক্ষণ, পরিচালন ও টোল আদায়কারী কর্তৃপক্ষ বৃহস্পতিবার দুপুর থেকে উত্তরাঞ্চল-ঢাকাগামী যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ শুরু করেছে। সেতু কর্তৃপক্ষ সকাল থেকেই থেমে থেমে ঢাকার দিকে যেতে যানবাহনের টোল আদায় কার্যক্রম বন্ধ রাখে।

যমুনা সেতু পশ্চিম থানার ওসি মো.

আসাদুজ্জামান বলেন, সেতুর পূর্বদিকে টাঙ্গাইল অংশের তীব্র যানজট নিয়ন্ত্রণে সেতু কর্তৃপক্ষ উত্তরাঞ্চল থেকে ঢাকাগামী যানবাহনের টোল আদায় কার্যক্রম বন্ধ রাখে। এতে উত্তরাঞ্চল-ঢাকাগামী যানবাহন সকাল-দুপুর পশ্চিম গোল চক্করে আটকে থাকায় দীর্ঘ লাইনের সৃষ্টি হয়। তবে উত্তরাঞ্চল অভিমুখে ঢাকা থেকে সকল যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।

বগুড়া অঞ্চলের হাইওয়ে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ দুপুরে মুঠোফোনে বলেন, যমুনা সেতুর দুটি লেন দিয়ে সকালে ঢাকা থেকে উত্তরাঞ্চলগামী যানবাহনের চাপ বেড়েছে। এ কারণে সেতুর পূর্বদিকে তীব্র যানজট দেখা দেয়। যানজট নিরসনে সেতু কর্তৃপক্ষ সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত ঢাকাগামী যানবাহনের টোল আদায় বন্ধ রাখে। উভয়দিকেই যানবাহনের চাপ রয়েছে। হাটিকুমরুল মোড় থেকে উত্তরাঞ্চল অভিমুখে যান চলাচলের চাপ থাকলেও আপাতত সমস্যা নেই।

সিরাজগঞ্জ জেলা ট্রাফিক ইন্সপেক্টর (এডমিন) মো. মোফাখারুল ইসলাম মিঠু জানান, যমুনা সেতুর পশ্চিমপাড়ে সয়দাবাদে উত্তরাঞ্চল থেকে ঢাকাগামী যানবাহনের দীর্ঘ লাইন কিছুটা কমতে শুরু করেছে।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: স র জগঞ জ য নজট ঈদয ত র র য নজট

এছাড়াও পড়ুন:

শেফালি আর দীপ্তিতে নতুন মুম্বাইয়ে নতুন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ভারত

নাবি মুম্বাই। নয়া মুম্বাই। নতুন সেই মুম্বাইয়ে কাল নতুন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন পেল মেয়েদের ওয়ানডে বিশ্বকাপ। ফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ভারত।

দীপ্তি শর্মার করা ৪৬তম ওভারের তৃতীয় বলে নাদিন ডি ক্লার্কের তোলা ক্যাচটি এক্সট্রা কাভারে ভারত অধিনায়ক হারমানপ্রীত কৌরের হাতে জমা হতেই বিশ্ব চ্যাম্পিয়নের আনন্দে মাতল পুরো ভারত। দক্ষিণ আফ্রিকা ২৪৬ রানে অলআউট, ভারত ৫২ রানে জয়ী।

ভারতের জয়ের উৎসব অবশ্য শুরু হয়ে গিয়েছিল পাঁচ ওভার আগেই। লরা ভলভার্টকে ফিরিয়ে পথের কাঁটা উপড়ে ফেলেই উদ্‌যাপন শুরু করেছিল ভারতীয়রা। অসাধারণ এক সেঞ্চুরি করে দক্ষিণ আফ্রিকান অধিনায়ক চোখ রাঙাছিলেন ভারতের উৎসব ভন্ডুল করার। কিন্তু সেঞ্চুরি করার পরপরই ক্যাচ তুললেন ভলভার্ট। আর সেই ক্যাচ নিতে গিয়ে আমানজোত কৌর ভারতের প্রায় শত কোটি মানুষের হৃৎস্পন্দন প্রায় থামিয়ে দিয়েছিলেন। একবার নয়, দুবার নয়, তৃতীয়বারের চেষ্টাতেই ক্যাচ নিতে পারেন আমানজোত। এবারও বোলার সেই অফ স্পিনার দীপ্তি শর্মা।

৯৮ বলে ১০১ রান করে ভলভার্ট যখন ফিরলেন দক্ষিণ আফ্রিকার স্কোর ৪১.১ ওভারে ২২০/৭। এরপর শুধু আনুষ্ঠানিকতাই ছেড়েছে ভারত। দীপ্তি আরও ২টি উইকেট নিয়ে পেয়ে গেছেন ৫ উইকেট। আর ভারত হয়ে গেছে চ্যাম্পিয়ন। এর আগে ব্যাট হাতেও ৫৮ বলে ৫৮ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলেছেন দীপ্তি।

ব্যাট হাতে ৮৭ রান করা শেফালি বর্মা বল হাতে নিয়েছেন ২ উইকেট

সম্পর্কিত নিবন্ধ