আগামী শনিবার পবিত্র ঈদুল আজহা। শেষ মুহূর্তে জমজমাট পশুর হাটগুলো। এবার ঈদ উপলক্ষে ময়মনসিংহ জেলায় ৫২টি স্থায়ী ও ১০০টি অস্থায়ী জায়গায় হাট বসেছে। হাটগুলোতে দেশীয় জাতের পশু সরবরাহ থাকলেও ক্রেতার উপস্থিতি কম। ছোট ও মাঝারি গরুর চাহিদা থাকলেও বড় গরুর বেচা–কেনা হচ্ছে খুব কম।

গত কয়েক বছরের তুলনায় অপেক্ষাকৃত কম দামে গরু কিনে ক্রেতারা বলছেন ‘জিতছি’, বাধ্য হয়ে বিক্রি করে বিক্রেতাদের মুখ অনেকটা মলিন। আজ জেলার ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার সোহাগী বাজার গরু হাটে বেলা ৩টা থেকে ৫টা পর্যন্ত অবস্থান করে দেখা গেছে এমন চিত্র।

প্রাণিসম্পদ দপ্তর থেকে জানা গেছে, ময়মনসিংহ বিভাগের ময়মনসিংহ, শেরপুর, জামালপুর ও নেত্রকোনায় এবারের কোরবানির জন্য প্রস্তুত করা হয় ৫ লাখ ৭০ হাজার পশু, স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে উদ্বৃত্ত থাকবে দেড় লাখের বেশি।

ময়মনসিংহে পশুর হাটের ক্রেতা-বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এবার গবাদিপশুর আমদানি ভালো হলেও বেচা–বিক্রি অনেক কম। সে কারণে কাঙ্ক্ষিত দাম পাচ্ছেন না কৃষক ও খামারিরা।

ময়মনসিংহ জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ওয়াহেদুল আলম বলেন, হাটগুলোতে যেন অসুস্থ প্রাণী বিক্রি না হয়, সে ব্যাপারে ৫২টি মেডিকেল টিম মনিটরিং করছে। এবার বাজারে প্রচুর পশু থাকলেও ক্রেতার সংখ্যা কম। খামারিরা লোকসানের মুখে পড়বেন কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, অনেকে হয়তো পশু বিক্রি করবেন না। গরুর চাহিদা সব সময় থাকে। পরে অনেকে কাঙ্ক্ষিত দামে বিক্রি করতে পারবেন।

সোহাগী হাট থেকে উপজেলার বড়হিত ইউনিয়নের নিজ পুবাইল গ্রামের রেজাউল করিম দেড় লাখ টাকায় একটি ষাঁড় কিনে বাড়ি ফিরছিলেন। তিনি বলেন, ‘কয়েক দিন আশপাশের অনেক বাজার ঘুরেছি, আজ কিনে ফেলেছি। দাম অনেক কম, এমন সাইজের গরু গত বছর ১ লাখ ৯০ হাজার টাকা নিয়েছি। এবার কোরবানির পশু কিনে জেতা হয়েছে।’

ময়মনসিংহ নগরের বলাশপুর এলাকার বাসিন্দা আবদুল কুদ্দুস ৬৫ হাজার টাকায় একটি গরু কেনেন। গরুটি বিক্রি করেন চর সৈয়দ ভাকুরি গ্রামের ফারুক মিয়া। তিনি বলেন, ভেবেছিলেন ৮০ হাজার টাকা দিয়ে বিক্রি করতে পারবেন। কিন্তু বাজার মন্দা। তাই কম দামে গরু বিক্রি করে দিয়েছেন।

বাজার ঘুরে দেখা গেল, এক থেকে দেড় লাখ টাকার মধ্যে থাকা গরুর চাহিদা সবচেয়ে বেশি। আজ বিক্রেতারাও দাম নিয়ে বেশি দরাদরি করছেন না। মাঝিয়কান্দি গ্রামের রুবেল মিয়া ১ লাখ ২৮ হাজার ও ৮৭ হাজার টাকায় দুটি গরু কিনেছেন। তিনি বলেন, বাজারে ক্রেতা কম, কিন্তু গরু অনেক বেশি। এবার অনেক কম দামে তিনি গরু কিনতে পেরেছেন।

বেলা একটার দিকে সোহাগীর ভালুকাপুর গ্রামের আঞ্জু মিয়া নিজের গরু নিয়ে আসেন। তিনি ভেবেছিলেন, দেড় লাখ টাকায় বিক্রি করতে পারবেন, কিন্তু এখন ১ লাখ ১০ হাজার দাম চাচ্ছেন। তাতেও ক্রেতারা রাজি হচ্ছেন না। কারণ, বাজারে এবার গরুর সংখ্যা অনেক বেশি।

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

আগামী পাঁচদিন কেমন থাকবে আবহাওয়া

ঈদের ছুটি শুরুর প্রথমদিন আজ বৃহস্পতিবার সকালেই রাজধানীতে বৃষ্টি শুরু হয়েছে। আপনজনের সঙ্গে ঈদ উদযাপনে মানুষ যখন সড়ক, নৌ ও রেলপথে গ্রামেরবাড়ি ফিরতে ব্যস্ত, তখন এই বৃষ্টি ভোগান্তি বাড়িয়েছে। অনেকককেই দেখা গেছে ভিজে বাস টার্মিনাল ও রেলস্টেশনে পৌঁছাতে। দেশের আরও বেশ কয়েকটি অঞ্চলেও বৃষ্টির খবর পাওয়া গেছে। 

এদিকে আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, মৌসুমী বায়ু বাংলাদেশের উপর সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে মাঝারী অবস্থায় রয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে আগামী পাঁচদিন দেশের ৮ বিভাগে বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। 

আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ মাঝারী ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। কোথাও কোথাও হতে পারে মাঝারী থেকে থেকে ভারী বর্ষণ। সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।

কাল শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ, বরিশাল ও খুলনা বিভাগের দু’এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারী ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • গাজীপুরের দুই মহাসড়কে যানবাহনের চাপ কমেছে, চলছে স্বাভাবিক গতিতে
  • মহাখালী টার্মিনালে বাস নেই, অনেক যাত্রীর টিকেট ফেরত
  • বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মসজিদে ধাক্কা, বাবা-ছেলের মৃত্যু
  • ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে ২০ কিলোমিটার যানবাহনে ধীরগতি
  • ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে ২০ কিলোমিটার এলাকায় যানবাহনের ধীরগতি
  • ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে দীর্ঘ যানজট, ধীর গতি ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কেও
  • গাজীপুরে দুই মহাসড়কে যানবাহনের অতিরিক্ত চাপ, ধীরগতি
  • ঈদযাত্রা: বাস টার্মিনালে ভিড়, পথে পথে ঘরমুখো মানুষ
  • আগামী পাঁচদিন কেমন থাকবে আবহাওয়া