মহাখালী টার্মিনালে বাস নেই, অনেক যাত্রীর টিকেট ফেরত
Published: 6th, June 2025 GMT
কোরবানির ঈদের মাত্র একটি রাত বাকি। বুধবার (৫ জুন) থেকে লম্বা ছুটি শুরু হওয়ায় গ্রামে ঈদ-আনন্দ ভাগাভাগি করতে মানুষ ঢাকা ছাড়তে শুরু করে। ঈদের আগের দিন শুক্রবার (৬ জুন) সকাল থেকে বাড়ি যেতে মহাখালী আন্তঃজেলা বাস টার্মিনালে ভিড় করছেন। তবে সকাল থেকে উত্তরবঙ্গের রুটে বাস নেই। তাই অনেক যাত্রী টিকেট ফেরত দিচ্ছেন।
অন্যান্য রুটে বাস থাকলেও তা নির্ধারিত সময়ের চেয়ে অনেক দেরিতে ছাড়ছে। ফলে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন যাত্রীরা। এতে বেশি দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে নারী ও শিশুদের।
রাজধানীর বিভিন্ন এলাকার পথে পথে ব্যাগ হাতে যাত্রীদের অবস্থান করতে দেখা গেছে। তারা সবাই ঈদ করার উদ্দেশ্যে বাড়ি যাচ্ছেন।
আরো পড়ুন:
আজ সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন প্রধান উপদেষ্টা
ভিড় বেড়েছে রাজধানীর পশুর হাটে
ঈদযাত্রা সহজ করতে মহাখালী আন্তঃজেলা বাস টার্মিনালে ভিজিলেন্স টিমের দায়িত্বরত সদস্যরা জানান, এখন যাত্রীর চাপ বেশি, বাসের সংখ্যা কম। বিভিন্ন জেলায় যানজট থাকায় নির্ধারিত সময়ের মধ্যে বাস ঢাকায় ঢুকতে পারছে না। তাই টার্মিনাল থেকে বাস ছাড়তে সময় লাগছে। এ সব অভিযোগ নিয়ে কেউ কেউ ভিজিলেন্স টিমের সঙ্গে কথা বলছেন।
বাস কাউন্টার থেকে বলা হচ্ছে, যমুনা সেতুর পূর্বপ্রান্ত থেকে টাঙ্গাইল শহর বাইপাস পর্যন্ত ২৫ কিলোমিটারে যানজট হয়েছে। এছাড়াও গাজীপুরসহ মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে যানজটের কারণে ঢাকায় বাস আসতে দেরি হচ্ছে। বিভিন্ন বিভাগ ও জেলা থেকে বৃহস্পতিবার (৫ জুন) সকাল থেকে রাত পর্যন্ত মহাখালীর উদ্দেশে ছেড়ে আসা বাস এখনো পৌঁছায়নি। আবার মহাখালী থেকে শুক্রবার (৬ জুন) সকালে ছেড়ে গেছে বৃহস্পতিবার (৫ জুন) রাতের শিডিউলের বাস। ফলে শুক্রবার (৬ জুন) সকালের শিডিউলের বাস কখন ছাড়া হবে তার নিশ্চয়তা দেয়া যাচ্ছে না।
শুক্রবার (৬ জুন) সকালে রাজধানীর মহাখালী থেকে ময়মনসিংহগামী বাস ছেড়ে যাচ্ছে। দূরপাল্লার বাসের টিকিটের জন্যেও ছিল দীর্ঘ লাইন। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে যাত্রী সংখ্যাও বাড়ছে। তবে যানবাহনের চেয়ে মানুষ বেশি। যাত্রীদের তুলনায় বাসের কিছুটা সংকট রয়েছে। এ টার্মিনাল থেকে ছেড়ে যাওয়া বেশিরভাগ বাসের কাউন্টার থেকে অগ্রিম টিকেট বিক্রি করছে না। বাস ছাড়ার আগে টিকেট বিক্রি করছে।
শুক্রবার সকালে মহাখালী আন্তঃজেলা বাস টার্মিনালের সামনের সড়ক, টার্মিনাল ভবন ও মেঝেতে এবং ফাঁকা জায়গায় শত শত নারী, পুরুষ ও শিশুকে বাসের অপেক্ষায় থাকতে দেখা গেছে। দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করে অনেকে ব্যাগের ওপর বা নিচে কাগজ বিছিয়ে বসে পড়েন। এদিন সকাল থেকে রৌদ্রোজ্জ্বল আবহাওয়া থাকায় গরমে অস্বস্তিতে পড়তে হয়েছে যাত্রীদের। বিশেষ করে শিশু ও নারীদের বেশি কষ্ট সহ্য করতে হচ্ছে। অনেক নারীদের হাতে ছিল হাত পাখা, তবু স্বস্তি লক্ষ্য করা যায়নি।
ঢাকা থেকে ময়মনসিংহগামী বাসের কাউন্টারের সামনে যাত্রীদের দীর্ঘ অপেক্ষা করতে দেখা গেছে। ঢাকা থেকে হবিগঞ্জ ও সিলেটগামী বাসের কাউন্টারের সামনেও যাত্রীদের ভিড় দেখা গেছে।
একতা পরিবহনের বাসে চাঁপাইনবাবগঞ্জে যাওয়ার জন্য সকাল ৮টার টিকেট কেটে ছিলেন সেলিম মিয়। কিন্তু সকাল সাড়ে ১০টা পর্যন্ত বাস ঢাকায় ফেরেনি। ভারাক্রান্ত মন নিয়ে তিনি বলেন, ‘‘কখন বাস আসবে এবং কখন ছাড়বে, তা বলতে পারছেন না কাউন্টারে দায়িত্বরা। তারা শুধু বলছেন, ঢাকায় বাস আসলেই দ্রুত ছেড়ে দেয়া হবে।’’
একতা পরিবহনের টিকেট কাউন্টারে দায়িত্বরত কর্মকর্তারা জানান, শুক্রবার সকালে যে বাস ঢাকা ছেড়ে গেছে, সেটা বৃহস্পতিবার রাতে ছাড়ার কথা ছিল। বাস ঢাকায় আসলে শুক্রবারের সকালের যাত্রীদের পাঠানো হবে। মূলত যমুনা সেতুর পূর্বপ্রান্ত থেকে টাঙ্গাইলে অনেক যানজট থাকার কারণে বাস ঢাকায় ফিরে আসতে পারছে না। ফলে ঢাকা থেকে সেটা ফিরে যেতেও সময় লাগছে।
ইউনাইটেড পরিবহনে করে ময়মনসিংহ যাবেন ফাতেমা বেগম। তিনি বলেন, ‘‘প্রায় এক ঘণ্টা ধরে বাসের জন্য অপেক্ষা করছি। শুনতেছি, একটু পরে বাস চলে আসছে। একটুপর একটুপর বলতে বলতে ঘণ্টা পেরিয়ে যাচ্ছে। বাস আসার নাম নেই। বাসের অপেক্ষা করতে করতে বাচ্চারা কষ্ট পাচ্ছে।’’
রাজধানীর মহাখালী আন্তঃজেলা বাস টার্মিনালে থেকে ময়মনসিংহ, জামালপুর, নেত্রকোণা, কিশোরগঞ্জ, জামালপুর, শেরপুর, টাঙ্গাইল এবং উত্তরবঙ্গের কয়েকটি রুটের বাস চলাচল করে।
ঢাকা/এনটি/বকুল
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ক উন ট র শ ক রব র য নজট
এছাড়াও পড়ুন:
আগামী পাঁচদিন কেমন থাকবে আবহাওয়া
ঈদের ছুটি শুরুর প্রথমদিন আজ বৃহস্পতিবার সকালেই রাজধানীতে বৃষ্টি শুরু হয়েছে। আপনজনের সঙ্গে ঈদ উদযাপনে মানুষ যখন সড়ক, নৌ ও রেলপথে গ্রামেরবাড়ি ফিরতে ব্যস্ত, তখন এই বৃষ্টি ভোগান্তি বাড়িয়েছে। অনেকককেই দেখা গেছে ভিজে বাস টার্মিনাল ও রেলস্টেশনে পৌঁছাতে। দেশের আরও বেশ কয়েকটি অঞ্চলেও বৃষ্টির খবর পাওয়া গেছে।
এদিকে আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, মৌসুমী বায়ু বাংলাদেশের উপর সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে মাঝারী অবস্থায় রয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে আগামী পাঁচদিন দেশের ৮ বিভাগে বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ মাঝারী ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। কোথাও কোথাও হতে পারে মাঝারী থেকে থেকে ভারী বর্ষণ। সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
কাল শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ, বরিশাল ও খুলনা বিভাগের দু’এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারী ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।