এবারের ঈদে প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছে আজমেরি হক বাঁধন অভিনীত থ্রিলারধর্মী সিনেমা ‘এশা মার্ডার: কর্মফল’। নারীকেন্দ্রিক এই গল্পে এক পুলিশ অফিসারের চরিত্রে অভিনয় করেছেন তিনি। ছবির মুক্তির দিন স্টার সিনেপ্লেক্স বসুন্ধরা শাখায় গিয়ে নিজের অভিনীত সিনেমা দেখেছেন বাঁধন, কথা বলেছেন সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে-শোনান অভিনয়ের অভিজ্ঞতার কথা।
বাঁধনের প্রথম ঈদ রিলিজ হওয়ায় উত্তেজনা ও নার্ভাসনেস একসঙ্গে কাজ করেছে। তিনি বলেন,“এটা আমার প্রথম ঈদে মুক্তিপ্রাপ্ত সিনেমা। একটু নার্ভাস লাগছে ঠিকই, তবে আশাবাদীও বটে। সিনেমাটি মুক্তির আগের রাতে ঘুমুতে পারিনি। মনে হয়েছে আজ আমার পরীক্ষার রেজাল্ট দেব।”
তিনি আরো বলেন, “এটা আমার কাছে ভিন্ন চরিত্র ও ভিন্ন গল্পের ছবি। ‘এশা মার্ডার’ নিয়ে যতটা পারি, দর্শকের কাছে পৌঁছাতে চাই।”
আরো পড়ুন:
নাঈমের বাড়িতে শাবনাজের প্রথম ঈদের স্মৃতি
লজ্জার অভিজ্ঞতা জানালেন জেমি লিভার
চলচ্চিত্রটিকে বাঁধন বর্ণনা করেছেন ‘আইনি থ্রিলার-সাসপেন্সে ভরপুর একটি রোলারকোস্টার রাইড’ হিসেবে। এক পুলিশ অফিসারের চরিত্রে অভিনয়ের জন্য নিতে হয়েছে অস্ত্র চালনা, সংলাপ ও বডি ল্যাঙ্গুয়েজের বিশেষ প্রশিক্ষণ। তার ভাষ্য,“আমার জন্য একেবারে নতুন অভিজ্ঞতা ছিল এই চরিত্রটি। সংলাপ থেকে হাঁটাচলা—সবকিছুতেই পুলিশি ভাব আনার চেষ্টা করেছি। আগামীতে আর এই চরিত্র করব না। ভিন্ন কোনো চরিত্র করব।”
নারীকেন্দ্রিক গল্পে অভিনয়ের বিষয়ে বাঁধনের ভাষ্য,“এ ধরনের চরিত্র খুব একটা দেখা যায় না আমাদের দেশে। তাই স্ক্রিপ্টটা যখন পড়ি, তখনই সিদ্ধান্ত নেই-এটা আমাকে করতেই হবে।”
দর্শকদের প্রতিক্রিয়া জানতে হলে আসার অভিজ্ঞতা জানিয়ে বাঁধন বলেন,“যারা যারা এ ছবিটি দেখেছেন, তারা বলছেন-গল্পটা আলাদা, আর্ট ডিরেকশন ও ক্যামেরা বেশ ভালো লেগেছে। তবে দর্শকদের আরো ভালোভাবে বোঝার জন্য আমি নিজেই হলে এসেছি, সাড়া দেখছি কাছ থেকে।”
প্রেক্ষাগৃহে সিনেমা দেখার গুরুত্ব নিয়ে বাঁধন বলেন, “আমাদের দেশের সিনেমা, আমাদের গল্প-এসব বড় পর্দায় দেখাতে হবে, দেখতে হবে। দর্শক যত বেশি হলে আসবেন, তত বেশি নির্মাতারা সাহস পাবেন নতুন কিছু করার।”
সানী সানোয়ার পরিচালিত ‘এশা মার্ডার: কর্মফল’-এ নাম ভূমিকায় অভিনয় করেছেন পূজা এগনেস ক্রুজ। ছবিতে আরো অভিনয় করেছেন ফারুক আহমেদ, শরীফ সিরাজ, শতাব্দী ওয়াদুদ, সুষমা সরকার, নিবির আদনান, হাসনাত রিপন, শিল্পী সরকার অপু, এ কে আজাদ সেতু, ইশিকা সাকিন, সৈয়দ এজাজ আহমেদ প্রমুখ।
বিশেষ একটি চরিত্রে দেখা যাবে মিশা সওদাগর ও সুমিত সেনগুপ্তকে।
ছবিটি প্রযোজনা করেছে কপ ক্রিয়েশন। সহযোগী প্রযোজক হিসেবে রয়েছে বিন্জ ও লিডস এন্টারটেইনমেন্ট।
ঢাকা/রাহাত
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর র প রথম চর ত র কর ছ ন
এছাড়াও পড়ুন:
দরজার ক্যামেরায় ‘এলিয়েন’
যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার এক নারীর বাড়ির দরজায় লাগানো ক্যামেরায় (ডোরবেল ক্যামেরা) ধরা পড়েছে এক ‘রহস্যময়’ অবয়ব, যা ঘিরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শুরু হয়েছে এলিয়েন বা ভিনগ্রহের প্রাণী নিয়ে নানা জল্পনা।
ঘটনাটি ঘটেছে ক্যালিফোর্নিয়ার কম্পটন এলাকায়। স্থানীয় বাসিন্দা জেসিকা ওর্তিজ তাঁর বাড়ির বাইরের দিকের দরজায় লাগানো ক্যামেরায় ধারণ করা ভিডিওর একটি ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করেছেন। এতে দেখা যায়, রাতে বাড়ির পাশ দিয়ে হেঁটে যাচ্ছে অস্বাভাবিক আকৃতির একটি ছায়ামূর্তি।
ভিডিও দেখে তাঁর ছেলে তাঁরই মতো হতভম্ব হয়ে গেছে বলে উল্লেখ করেন এই নারী। সংবাদমাধ্যম এনবিসি লস অ্যাঞ্জেলেসকে ওর্তিজ বলেন, ‘আমার ছেলে বিছানা থেকে উঠে পরপর তিনবার ভিডিওটা চালায়। শেষবার দেখে বলে ওঠে, “মা, এটা একটা এলিয়েন। পুলিশে ফোন করো।”’ জবাবে তিনি বলেন, ‘এলিয়েনের জন্য পুলিশ ডাকব? লোকে তো আমাকে পাগল ভাববে!’
ইনস্টাগ্রামে ভিডিওটি ১০ লাখের বেশিবার দেখা হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগের অন্যান্য মাধ্যমেও ভিডিওটি ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে।
ভিডিওর নিচে মন্তব্যের ঘরে কেউ কেউ বলেছেন, এটি এলিয়েন বা অন্য কোনো রহস্যময় প্রাণী হতে পারে। কেউ আবার এমন ধারণাও প্রকাশ করেছেন, এটি হয়তো কোনো মানুষ, যাঁর মাথায় টুপি ছিল বা তিনি হালকা রঙের ব্যাগ কাঁধে নিয়ে চলে যাচ্ছিলেন। দূর থেকে ক্যামেরায় তা এলিয়েনসদৃশ ছায়া তৈরি করেছে।
তবে এ পর্যন্ত কেউই নিশ্চিতভাবে বলতে পারেননি যে এই ছায়ামূর্তির প্রকৃত উৎস কী। এখনো ভিডিওর রহস্যময় অবয়বের বিষয়টি অমীমাংসিতই রয়ে গেছে। ওর্তিজ বলেন, ‘আমার ধারণা, এটা এলিয়েনই। আমি বিশ্বাস করি, সৃষ্টিকর্তা এতটাই সৃজনশীল যে শুধু আমাদের দিয়েই জীবন সৃষ্টি থেমে যেতে পারে না।’
পৃথিবীর বাইরেও প্রাণের অস্তিত্ব থাকা নিয়ে মানুষের মধ্যে নানা ধরনের বিশ্বাস আছে। কেউ কেউ বিশ্বাস করেন যে পৃথিবীর বাইরেও প্রাণের অস্তিত্ব আছে। তারা মাঝেমধ্যে পৃথিবীতে আসে। তাদের এলিয়েন বা ভিনগ্রহের প্রাণী বলা হয়। বিভিন্ন সময় বিভিন্ন স্থানে এই এলিয়েন দেখতে পাওয়ার দাবি করা হয়েছে। তবে বৈজ্ঞানিকভাবে এখন পর্যন্ত এ বিষয়ে নিশ্চিত কিছু বলা হয়নি।