ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরে পারিবারিক বিরোধ ও কোরবানির মাংস কাটা নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে দুলাল মিয়া (৫০) নামের এক ব্যক্তিকে মারধর ও মুখে বিষ ঢেলে হত্যার অভিযোগ উঠেছে তার ছোট দুই ভাইয়ের বিরুদ্ধে।

রবিবার (৮ জুন) সকালে নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ। এর আগে, গতকাল বিকেল ৫টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

দুলাল মিয়া উপজেলার ইছাপুরা ইউনিয়নের পুইতারা উত্তরহাটি এলাকার মৃত ওমর আলীর ছেলে। অভিযুক্তরা হলেন- রুবেল ও আলমগীর।

আরো পড়ুন:

ভারতে একই পরিবারের ৭ জনের আত্মহত্যা

বরিশালে মেডিকেল ছাত্রের আত্মহত্যা, চিরকুট উদ্ধার

নিহতের পরিবারের অভিযোগ, জায়গা-জমির ভাগ-বাটোয়ারা নিয়ে ছোট ভাই রুবেল ও আলমগীরের সঙ্গে দুলালের বিরোধ ছিল। শনিবার বেলা ১১টার দিকে কোরবানির মাংস ছোট-বড় করা নিয়ে দুলালের সঙ্গে ভাইদের তর্ক-বিতর্ক হয়। একপর্যায়ে রুবেল ও আলমগীর দুলাল মিয়াকে মারধর করে তার মুখে বিষ ঢেলে দেয়। দ্রুত তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় বিকেল ৫টার দিকে তার মৃত্যু হয়।

বিজয়নগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো.

শহীদুল ইসলাম বলেন, ‘‘বেলা ১১টার দিকে মারামারি হয়েছে। বিকেল ৫টার দিকে দুলাল মিয়া মারা গেছেন। ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত রুবেল ও আলমগীর পলাতক। এ ঘটনায় অভিযোগ পেলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’

ঢাকা/পলাশ/রাজীব

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর হত য র ব ল ও আলমগ র

এছাড়াও পড়ুন:

মানুষের প্রয়োজনে না এলে সেই সংস্কার কাজে আসবে না: মির্জা ফখরুল

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, অন্তর্বর্তী সরকারের সংস্কার কার্যক্রম যদি মানুষের প্রয়োজনে না আসে, শিশুদের ভবিষ্যৎ নির্মাণ করতে না পারে, শিশুদের জন্য নিরাপদ জীবন গড়ে দিতে না পারে, তাহলে সে সংস্কার কোনো কাজে আসবে না।

আজ মঙ্গলবার রাজধানীর বনানীর কামাল আতাতুর্ক অ্যাভিনিউ মাঠে ‘গণতান্ত্রিক পদযাত্রায় শিশু’ শীর্ষক এক অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে এ কথা বলেন মির্জা ফখরুল।

আমরা বিএনপি পরিবার আর মায়ের ডাক যৌথভাবে এ অনুষ্ঠান আয়োজন করে। ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনা সরকারের সময়ে গুমের শিকার বিভিন্ন ব্যক্তি ও জুলাই গণ–অভ্যুত্থানে শহীদ হওয়া শিশুদের পরিবারের সদস্যদের নিয়ে এ অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়।

অনুষ্ঠানে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমরা আশা করেছিলাম, পরিবর্তনের পর অন্তর্বর্তী সরকার শিশুদের (গুমের শিকার ব্যক্তিদের সন্তান) পুনর্বাসনের জন্য একটি স্পেশাল সেল গঠন করবে। অত্যন্ত দুঃখের বিষয়, কাজটি হয়নি। আশা করব, দেরিতে হলেও অন্তর্বর্তী সরকার তাদের জন্য কিছু করবে।’

অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত গুম কমিশনের কার্যক্রম নিয়ে প্রশ্ন তোলেন মির্জা ফখরুল। তিনি বলেন, ‘একটি কমিশন করা হয়েছে। এই কমিশন এখন পর্যন্ত একটা রিপোর্ট নাকি করেছে। কিন্তু তাদের এই যে খোঁজ করা, এ বিষয়ে খুব বেশি কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে মনে হয় না।’

গুমের শিকার ব্যক্তিদের নিয়ে আয়োজিত কোনো অনুষ্ঠানে এলে ‘ভারাক্রান্ত হন’ উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এ পরিবারগুলো যে ত্যাগ স্বীকার করেছে, আমরা কিন্তু সেই ত্যাগ অনেকেই করতে পারিনি। যখন মঞ্চে দাঁড়িয়ে শিশুদের বলতে শুনি যে আমি আমার বাবাকে দেখতে চাই, বাবার হাত ধরে স্কুলে যেতে চাই, ঈদের মাঠে নামাজ পড়তে যেতে চাই, তখন আমি আমার আবেগকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারি না।’

গুমের শিকার বিভিন্ন ব্যক্তি ও জুলাই গণ–অভ্যুত্থানে শহীদ হওয়া শিশুদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। রাজধানীর বনানীর কামাল আতাতুর্ক অ্যাভিনিউ মাঠে, ২৯ জুলাই

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • আমাদের কাছে এসে সমস্যার কথা বলছে মানুষ: মির্জা ফখরুল
  • মানুষের প্রয়োজনে না এলে সেই সংস্কার কাজে আসবে না: মির্জা ফখরুল