টাকলা ফরহাদ পেশায় বেকার, এলাকার কোন মেয়েই তার টাক দেখে তাকে বিয়ে করতে চায় না, তাই সে বিয়ে করার জন্য দুলাভাইয়ের এলাকায় আশ্রয় নেয় এবং মাথায় আলগা চুল ব্যবহার করে। পাশাপাশি টাক সমস্যা সমাধানের জন্য চিকিৎসা চালাতে থাকে।

এদিকে  শিলা রূপে গুণে অনন্যা, তবে একটু মাথা গরম এবং নিজেকে বিশ্বসুন্দরী ভাবা মেয়ে। তাই আশেপাশের বান্ধবীদের স্বামী কম সুন্দর হলে তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করে, একদিন একবান্ধবীর সাথে ঝগড়া বাঁধিয়ে চ্যালেঞ্জ করে বসে সে সুন্দর হেয়ার স্টাইল, হ্যান্ডসাম ছেলে বিয়ে করে দেখাবে। তাই শিলাকে কোন টাকলা, অসুন্দর ছেলে প্রেমের প্রস্তাব দিলে নিশ্চিত মার খেতে হয়। এমনই একজন টাকলা ছেলেকে প্রেমের প্রস্তাব দেয়ার অপরাধে শিলা লাঠি হাতে তাড়া করে, এমন সময় চোখ পরে ফরহাদের সুন্দর চুলের উপর। ফরহাদকে প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে বসে শিলা। এর পরিণয় হলো বিয়ে তাও আবার ১ টাকা দেনমোহরে।

শিলা বাসর ঘরে জেগে জেগে স্বপ্ন দেখে সে ফরহাদের সাথে কাপন ডান্স করছে, বাতাসে ফরহাদের কপালের চুল উড়ছে। কিন্তু বাস্তবে ফরহাদ বাসর ঘরে বৌয়ের সাথে রোমান্টিক কথা বলতে বলতে ফুলের গন্ধে হাচি দিয়ে টাক বের করে ফেলে। আলগা চুল গিয়ে পরে শিলার মুখে, ফরহাদের টাক দেখে শিলা অজ্ঞান, বোন দুলাভাই সবাই দৌড়ে ঘরে ঢুকে ফরহাদের চিৎকারে। জ্ঞান ফিরতে শিলা কান্নাকাটি শুরু করে এক টাকা দেন মোহরে বিয়ে করেছে এরকম একটা টাকলা জামাই যেটা তার একদমই পছন্দ দিল না। এমন গল্পের একটি নাটকে  ফরহান চরিত্রে অভিনয় করেছেন নিলয় আলমগীর ও শিলা চরিত্রে দেখা যাবে জান্নাতুল সুমাইয়া হিমিকে।

নাটকের নাম ‘টাক কোন সমস্যা না’। এটি রচনা ও পরিচালনা করেছেন জুলফিকার ইসলাম শিশির। আরটিভিতে আগামীকাল রাত ৮টায় প্রচার হবে নাটকটি। 
 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ফরহ দ র স ন দর

এছাড়াও পড়ুন:

বৃষ্টিস্নাত রমনায় সবুজের উল্লাস

রমনা উদ্যানের গাছগুলো বৃষ্টিতে ভিজছে, ভিজছে মাটি ও মাটির ওপরের ঘাসগুলো। বর্ষায় রমনার রূপ হয় দেখার মতো। চারদিকে কেবল সবুজ আর সবুজ। বসন্তের মতো ফুল নেই তো কী হয়েছে? আছে শ্যামল রূপ, আছে অপার স্নিগ্ধতা। বুকভরে ধুলাহীন নিশ্বাস নেওয়ার অবকাশ, প্রকৃতির উদার আমন্ত্রণ।

‘পাগলা হাওয়ার বাদল-দিনে’ ঢাকার রমনা পার্কের গাছের পাতাগুলো এখন আরও সবুজ। টলটলে জলের নয়নাভিরাম ঝিলটা টইটম্বুর। ধুলাময়লাহীন পায়ে চলার পথ। আর গাছের পাতার ফাঁকে রয়েছে অজস্র ফুল। কোনোটা লাল, কোনোটা বেগুনি আবার কোনোটা সাদা। বৃষ্টির মধুর আশকারা পেয়ে রমনা পার্কে এখন সবুজের উল্লাস।

এই পার্কটিকে ঢাকার ফুসফুস বলা হয়। এর যথেষ্ট কারণ আছে অবশ্য। এ রকম প্রগাঢ় নিরেট সবুজ এ শহরে কমই আছে। রমনা তাই ঢাকার জনজীবনের স্পন্দন। এটি কেবল একটি পার্ক নয়, বরং নাগরিক জীবনের পরম আনন্দ-আশ্রয়।

সম্প্রতি ‘বৃষ্টি নেশাভরা’ এক বিকেলে অরুণোদয় ফটক দিয়ে রমনা পার্কে প্রবেশ করলাম। অনেকে শরীরচর্চায় ব্যস্ত। কেউ দল বেঁধে করছেন, কেউ একাকী। কোনো দল ব্যায়াম করে ভোরে, কেউ আবার বিকেলে বা সন্ধ্যায়। আবার অনেকে আছেন দুই বেলাই হাঁটাহাঁটি করেন। হাঁটা সেরে কেউ কেউ লেকের পাশে এসে দুদণ্ড জিরিয়ে নেন। লেকে চলছিল বোট।

বর্ষার ফুলের উৎসব

বর্ষা এলেই রমনা পার্ক যেন রঙের নতুন ভাষা শেখে। আমাদের ঋতুচক্র অনুযায়ী, বসন্ত ও গ্রীষ্মকালেই এ দেশে ফোটে অধিকাংশ ফুল। তবে বর্ষারও নিজস্ব কিছু ফুল আছে, আর গ্রীষ্মের কিছু ফুল টিকে থাকে বর্ষা পর্যন্ত। সেদিন রমনায় গিয়ে এমনই কিছু ফুল চোখে পড়ল—বৃষ্টিভেজা পাতার ফাঁকে তাদের রং যেন আরও উজ্জ্বল হয়ে উঠেছিল। মনে হলো, প্রকৃতির এই নিঃশব্দ উৎসবেও কত কথা লুকিয়ে থাকে!

রমনার গোলাপবিথি সেদিন দর্শনার্থীদের সবচেয়ে বেশি মনোযোগ কাড়ছিল। সারি সারি ঝোপে ফুটে আছে হরেক রঙের গোলাপ—লাল, সাদা, হলুদ, কমলা, গাঢ় গোলাপি। বর্ষার ভেজায় যেন আরও সতেজ, আরও তাজা হয়ে উঠেছে প্রতিটি পাপড়ি। নরম আলো আর বৃষ্টিজলে ভেজা ফুলগুলোর সৌন্দর্য মোহিত করেছে পথচলার মানুষকে। কেউ থেমে দাঁড়িয়ে ছবি তুলছেন, কেউ ভিডিও করছেন—মুঠোফোনে বন্দী হচ্ছে বর্ষার রঙিন রমনা।

এটি কেবল একটি পার্ক নয়, বরং নাগরিক জীবনের পরম আনন্দ-আশ্রয়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ