ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে চলমান যুদ্ধের ইতিহাসে অন্যতম বড় বিমান হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। এই হামলায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ওডেসা শহরে। এতে অন্তত তিনজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও অনেকে। খবর আল-জাজিরার 

এদিকে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেন, রাশিয়া একরাতে ৩১৫টি ড্রোন ও সাতটি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে। তিনি রাশিয়াকে শান্তিচুক্তিতে বাধ্য করার জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে ক্ষমতা প্রয়োগ করার আহ্বান জানিয়েছেন। 

সাম্প্রতিক হামলাগুলোকে তারা রুশ বিমানঘাঁটি এবং সেতুতে চালানো হামলার ‘প্রতিশোধ’ হিসেবে দাবি করছে রাশিয়া। গত এক সপ্তাহে রাশিয়া ইউক্রেনের বিভিন্ন স্থানে ১ হাজার ৪৫১টি ড্রোন এবং ৭৮টি ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে বলে দাবি করেছে ইউক্রেনীয় বিমান বাহিনীর।

এদিকে রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইউক্রেন থেকে ড্রোন আক্রমণের আশঙ্কায় মস্কো, সেন্ট পিটার্সবার্গসহ ১৩টি শহরের বিমানবন্দর থেকে রাতভর সব ফ্লাইট সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ইউক র ন ইউক র ন

এছাড়াও পড়ুন:

ইরান যুদ্ধবিরতিতে সম্মতি দেয়নি, ট্রাম্প আবারও মিথ্যা বলছেন: তেহরান টাইমস

ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে একটি যুদ্ধবিরতি হচ্ছে বলে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যে দাবি করেছেন, তা আরেকটি রাজনৈতিক কৌশল ও মিথ্যাচার। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প মঙ্গলবার ভোরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক ঘোষণায় বলেন, উভয় পক্ষ ‘সম্পূর্ণরূপে সম্মত হয়েছে’ এবং প্রায় ১২ ঘণ্টার মধ্যে একটি যুদ্ধবিরতি কার্যকর হবে।

তেহরান টাইমসের ভাষ্য অনুযায়ী, ট্রাম্প ইচ্ছাকৃতভাবে এই মিথ্যা রটিয়ে ইরানকে চাপ প্রয়োগের চেষ্টা করছেন, যাতে তারা যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয়। তার লক্ষ্য হচ্ছে, ইরানি জনগণ ও সরকার পক্ষের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করা এবং অভ্যন্তরীণ অস্থিরতা উসকে দেওয়া।

এর আগেও ট্রাম্প দাবি করেছিলেন, তিনি ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোতে হামলা চালাবেন কি না, সে সিদ্ধান্ত নিতে ‘দুই সপ্তাহ সময় লাগবে’। অথচ সেই সময়েই তিনি গোপনে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন—ইসরায়েলকে দিয়ে ইরানের পারমাণবিক, সামরিক ও বেসামরিক অবকাঠামোতে হামলা চালানো হবে। একই সময় তিনি ইরানের সঙ্গে দুই মাস ধরে পরোক্ষ আলোচনায়ও জড়িত ছিলেন।

ইরানের পার্লামেন্ট স্পিকারের উপদেষ্টা মাহদি মোহাম্মাদি এই ভুয়া ঘোষণার বিরুদ্ধে প্রথম প্রতিক্রিয়া জানান। তিনি এক্সে (সাবেক টুইটার) লেখেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল মিথ্যা বলছে। তারা চায় ইরান সতর্কতা কমাক, যাতে তারা আরও আক্রমণ জোরদার করতে পারে।’

আরও পড়ুনএবার মার্কিন ঘাঁটিতে ইরানের হামলা ৭ ঘণ্টা আগে

ইরান-ইসরায়েল সংঘাত শুরু হয়েছে ১৩ জুন। ইসরায়েল সেদিন ইরানের আবাসিক ভবন ও পারমাণবিক স্থাপনায় নজিরবিহীন হামলা চালায়। এসব হামলা তখনই চলে যখন ইরানিরা ওয়াশিংটনের সঙ্গে ষষ্ঠ দফা আলোচনার প্রস্তুতি নিচ্ছিল।

আরও পড়ুনট্রাম্প যেভাবে যুদ্ধবাজদের জন্য পথ খুলে দিলেন১০ ঘণ্টা আগে

সম্পর্কিত নিবন্ধ