কিয়েভে রাশিয়ার ‘অন্যতম বড়’ বিমান হামলা, নিহত ৩
Published: 10th, June 2025 GMT
ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে চলমান যুদ্ধের ইতিহাসে অন্যতম বড় বিমান হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। এই হামলায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ওডেসা শহরে। এতে অন্তত তিনজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও অনেকে। খবর আল-জাজিরার
এদিকে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেন, রাশিয়া একরাতে ৩১৫টি ড্রোন ও সাতটি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে। তিনি রাশিয়াকে শান্তিচুক্তিতে বাধ্য করার জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে ক্ষমতা প্রয়োগ করার আহ্বান জানিয়েছেন।
সাম্প্রতিক হামলাগুলোকে তারা রুশ বিমানঘাঁটি এবং সেতুতে চালানো হামলার ‘প্রতিশোধ’ হিসেবে দাবি করছে রাশিয়া। গত এক সপ্তাহে রাশিয়া ইউক্রেনের বিভিন্ন স্থানে ১ হাজার ৪৫১টি ড্রোন এবং ৭৮টি ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে বলে দাবি করেছে ইউক্রেনীয় বিমান বাহিনীর।
এদিকে রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইউক্রেন থেকে ড্রোন আক্রমণের আশঙ্কায় মস্কো, সেন্ট পিটার্সবার্গসহ ১৩টি শহরের বিমানবন্দর থেকে রাতভর সব ফ্লাইট সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
সুনামগঞ্জ সীমান্ত দিয়ে ১৭ জনকে ঠেলে দিল বিএসএফ
সুনামগঞ্জের ছাতক সীমান্ত দিয়ে নারী ও শিশুসহ ১৭ জনকে ঠেলে দিয়েছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)।
বৃহস্পবিতার (১২ জুন) সকালে উপজেলার ইসলামপুর ইউনিয়নের ছনবাড়ী-নোয়াকোট সীমান্ত দিয়ে তাদের বাংলাদেশে পাঠানো হয়। পরে প্রবেশকারীদের আটক করে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
বিজিবি জানায়, আটক ১৭ জনকে ছাতকের নোয়াকোট বিওপি ক্যাম্পের হাবিলদার মো. শফিকুল ইসলামের নেতৃত্বে বিজিবির একটি টহল টিম আটক করে। যাদের বিএসএফ ঠেলে পাঠিয়েছে, তাদের মধ্যে চারটি পরিবারের পুরুষ পাঁচজন, নারী চারজন ও শিশু আটজন। জানা গেছে, তারা লালমনিরহাট ও কুড়িগ্রাম জেলার বাসিন্দা। দীর্ঘদিন ধরে তারা ভারতে বসবাস করছিলেন।
আরো পড়ুন:
ভারতে পাচারের ২৫ বছর পর দেশে ফিরলেন নারী
চামড়া পাচাররোধে হিলি সীমান্তে নিরাপত্তা জোরদার
বিজিবির সিলেট ব্যাটালিয়নের (৪৮ বিজিবি) অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ নাজমুল হক বলেন, “প্রাথমিক তথ্যে জানা গেছে আটককৃতরা অতীতে অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ করেছিলেন। বিএসএফ রাতের আঁধারে তাদের বাংলাদেশে ঠেলে দেয়। আটককৃতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
একই সীমান্ত দিয়ে বিএসএফ গত ২৮ মে আরো ১৬ জনকে বাংলাদেশে ঠেলে দেয়। তারা সবাই বাংলাদেশি নাগরিক ছিলেন। তাদের মধ্যে পাঁচজন নারী, পাঁচজন পুরুষ ও ছয় শিশু ছিল। তাদের বাড়ি কুড়িগ্রাম জেলায়।
ঢাকা/মনোয়ার/মাসুদ