‘গাজায় আজ এত জন নিহত হয়েছে, এর মধ্যে এত জন শিশু’—প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে টেলিভিশন বা মুঠোফোনে খবরের চ্যানেল বা ওয়েবসাইটে চোখ বোলালেই আঁতকে উঠতে হয়।

প্রায় ২১ মাস হয়ে গেছে ফিলিস্তিনের গাজায় নৃশংস হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। যে হামলায় এখন পর্যন্ত প্রায় ৫৫ হাজার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। ফিলিস্তিনিদের জন্য কাঁদছে প্রায় পুরো বিশ্ব। পেপ গার্দিওলা তাঁদের একজন। ম্যানচেস্টার সিটির স্প্যানিশ কোচ বলেছেন, গাজার নিদারুণ পরিস্থিতি দেখে দেখে তিনি যন্ত্রণায় কুঁকড়ে গেছেন, ভয়ও পাচ্ছেন।

আরও পড়ুনফিলিস্তিনিদের জন্য খাজার লড়াই ক্রিকেটে আরও যেসব ঘটনা মনে করাচ্ছে ১৪ ডিসেম্বর ২০২৩

৫৪ বছর বয়সী গার্দিওলাকে সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রি দিয়েছে ম্যানচেস্টার বিশ্ববিদ্যালয়। সেই ডিগ্রি নিতে গিয়েই গাজা পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলেছেন সিটি কোচ।

পেপ গার্দিওলাকে সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রি দিয়েছে ম্যানচেস্টার বিশ্ববিদ্যালয়.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

ককটেল বিস্ফোরণে জড়িতদের গ্রেপ্তারের দাবিতে ছাত্রদলের বিক্ষোভ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের পকেট গেট–সংলগ্ন স্থানে ককটেল বিস্ফোরণে জড়িত ব্যক্তিদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা।

মঙ্গলবার দুপুরের দিকে বৃষ্টি উপেক্ষা করে এ বিক্ষোভ মিছিল করে ছাত্রদল। মিছিলটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র (টিএসসি) থেকে শুরু হয়ে অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।

এ সময় ছাত্রদলের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি গণেশ চন্দ্র রায় সাহস বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় গতকাল সোমবার ককটেল বিস্ফোরণের মতো জঘন্য ঘটনা ঘটেছে।

গণেশ চন্দ্র বলেন, ‘আমরা এর আগেও দেখেছি, বিভিন্ন সময় মব (উচ্ছৃঙ্খল জনতার সংঘবদ্ধ আক্রমণ) সৃষ্টি করে নির্দোষ ব্যক্তিদের হত্যা করা হয়েছে। সম্প্রতি সাম্য (শাহরিয়ার আলম) হত্যাকাণ্ডের পরেও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। এ কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ে এখনো ফ্যাসিবাদের সময়কার সন্ত্রাসীরা হামলা করার সাহস পায়।’ অতিদ্রুত হামলায় জড়িত ‘আওয়ামী সন্ত্রাসীদের’ গ্রেপ্তারের দাবি জানান তিনি।

ছাত্রদলের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি আরও বলেন, প্রশাসন জুলাই অভ্যুত্থানে ছাত্রদের ওপর হামলায় জড়িত ব্যক্তিদের এখনো অপসারণ করেনি। যে কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ে সন্ত্রাসীরা এখনো হামলা করার সাহস পায়। এতে সাধারণ শিক্ষার্থীদের জন্য ক্যাম্পাসে অনিরাপদ পরিবেশ তৈরি হচ্ছে।

এর আগে সোমবার ভোরে নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগ ও কার্যক্রম নিষিদ্ধ হওয়া আওয়ামী লীগের কয়েকজন নেতা-কর্মী শাহবাগ ও কাঁটাবন মোড়ের মাঝের সড়কে ঝটিকা মিছিল বের করেন। এ সময় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের পকেট গেটে দুটি ককটেল বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ