যশোরের শার্শা উপজেলায় মো. লিটন (৩০) নামে এক বিএনপি কর্মীকে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে উপজেলার লক্ষ্মণপুর ইউনিয়নের দুর্গাপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত লিটন দুর্গাপুর গ্রামের আজগার আলীর ছেলে।

শার্শা উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নুরুজ্জামান লিটন বলেন, নিহত লিটন বিএনপির একজন সক্রিয় কর্মী। পুর্ব শত্রুতার জেরে সেলিম ও রমজানসহ ৩/৪ জন সন্ত্রাসী তাকে কুপিয়ে হত্যা করেছে। আমি এই হত্যার সুষ্ঠু বিচার চাই।

নাভারণ সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার নিশাত আল নাহিয়ান বলেন, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় লিটন বাজারে বসে চা পান করছিলেন। এসময় ওই এলাকার সেলিম ও রমজান তাকে কুপিয়ে জখম করে। তার চিৎকার শুনে স্থানীয়রা এগিয়ে এলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। পরে তাকে উদ্ধার করে শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পাঠানো হয়। হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, পূর্ব শত্রুতার জেরে লিটনকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ঘটনাটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে এবং জড়িতদের আটকের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ক প য় হত য ব এনপ উপজ ল

এছাড়াও পড়ুন:

যুক্তরাষ্ট্রের যেকোনো হস্তক্ষেপ অপূরণীয় ক্ষতির কারণ হবে: খামেনি

ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেন বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের জানা উচিত তাদের যেকোনো সামরিক হস্তক্ষেপ সন্দেহাতীতভাবে তাদের জন্য অপূরণীয় ক্ষতি বয়ে আনবে। জাতির উদ্দেশে দেওয়া বার্তায় তিনি বলেন, ইরানি জাতি চাপিয়ে দেওয়া যুদ্ধ ও চাপিয়ে দেওয়া শান্তির বিরুদ্ধে দৃঢ়ভাবে দাঁড়াবে। এই জাতি চাপের মুখে কারও কাছে আত্মসমপর্ণ করবে না। ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে তাঁর এই বক্তব্য পাঠ করা হয়। খবর-বিবিসি

খামেনি নিজে এই বক্তব্য দেননি। তাঁর পক্ষ থেকে টেলিভিশনটির উপস্থাপক নিজে এটি পড়ে শোনান। ওই বক্তব্যে তিনি বলেছেন, ‘ইরান, এর জনগণ এবং এর ইতিহাস সম্পর্কে জানা ব্যক্তিরা কখনও এই জাতির সাথে হুমকির ভাষায় কথা বলেন না। কারণ ইরানিরা আত্মসমর্পণ করে না।’

তিনি বলেন, ঘটনাগুলো এমন সময় ঘটেছে যখন ইরানের কর্মকর্তারা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সরাসরি আলোচনায় ছিল এবং ইরানের দিক থেকে কোনো সামরিক বা কঠিন পদক্ষেপ নেওয়ার ইঙ্গিত ছিল না।

আয়াতুল্লাহ আলী খামেন বলেন, ‘অবশ্যই, শুরু থেকেই এটা সন্দেহ করা হতো যে জায়নবাদী (ইহুদিবাদী) সরকারের যে কোনো পদক্ষেপে যুক্তরাষ্ট্রের সংশ্লিষ্টতা ছিল এবং আমেরিকার কর্মকর্তাদের সাম্প্রতিক বক্তব্যগুলোতে এই সন্দেহই দিন দিন জোরালো হচ্ছিল। ইহুদীবাদী শত্রুকে অবশ্যই শাস্তি পেতে হবে। ইরান জাতি ও সশস্ত্র বাহিনীর কাছ থেকে তারা তা পাচ্ছে।

এর আগে ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছিলেন, আয়াতোল্লাহ আলী খামেনির অবস্থান তাদের জানা। তবে তাঁকে হত্যার কোনো পরিকল্পনা অন্তত এখন তাদের নেই। 

ট্রাম্পের এই পোস্টের পরপরই ইরানের রেভ্যলুউশনারি গার্ড টেলিগ্রামে দেওয়া পোস্টে লিখেছে, ‘আমেরিকান মিথ্যাবাদী প্রেসিডেন্টের জানা উচিত যে, ইরান সম্ভাব্য সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতির জন্য নিজেকে প্রস্তুত করেছে। সবচেয়ে খারাপ অবস্থা হবে সবচেয়ে কঠিন পরিস্থিতি। এটা শুধু আমেরিকার স্বার্থকে নয়, বরং পশ্চিমা সব স্বার্থকে পুড়িয়ে দেবে।’

আয়াতুল্লাহ আলী খামেন বলেছেন, ‘আমেরিকানরা এবং যারা এই অঞ্চলের রাজনীতির সঙ্গে পরিচিত তারা জানে এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের অংশগ্রহণ সম্পূর্ণভাবে তাদের ক্ষতির কারণ হবে। তাদের বড় ধরনের আঘাত সইতে হবে। এই আঘাত ইরানের দিকে আসতে এমন কোনো ক্ষতির চেয়ে অনেক বেশি ক্ষতিকর হবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ