ভাড়া বাড়িতে চলছে ময়মনসিংহ হাইওয়ে পুলিশের কার্যক্রম। নিজস্ব কার্যালয়, পর্যাপ্ত জনবল, প্রয়োজনীয় যানবাহন ও আধুনিক যন্ত্রপাতির অভাবে সড়কপথের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হিমশিম খাচ্ছে এই রিজিওনের হাইওয়ে পুলিশ। বিশেষ করে যানজট নিয়ন্ত্রণ, দুর্ঘটনা মোকাবিলা ও ভারতীয় সীমান্ত পথে মাদক চোরাচালান রোধে যথেষ্ট বেগ পেতে হচ্ছে।
২০২৩ সালে স্বতন্ত্র রিজিওন হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে ময়মনসিংহ হাইওয়ে পুলিশ। এই রিজিওনের কর্মকর্তাদের মতে, সরকারি নিজস্ব অবকাঠামো না থাকাটা কেবল দাপ্তরিক কার্যক্রমকেই ব্যাহত করছে না, বরং এর কর্মপরিবেশ ও দক্ষতাকেও প্রশ্নবিদ্ধ করছে। ভাড়া বাড়িতে কার্যক্রম পরিচালনা করতে গিয়ে তাদের যেমন স্থানের সংকুলান হচ্ছে না, তেমনি কর্মপরিবেশও বিঘ্নিত হচ্ছে। এতে তাদের সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রেও বড় প্রভাব পড়ছে।
আধুনিক কমান্ড সেন্টার, সার্কেল অফিস, পর্যাপ্ত পার্কিং ব্যবস্থা ও জরুরি সরঞ্জাম সংরক্ষণের জন্য প্রয়োজনীয় স্থান না থাকায় তাদের কর্মদক্ষতা অনেকাংশে কমে যাচ্ছে। এই অবকাঠামোগত দুর্বলতা একটি নবগঠিত রিজিওনের সক্ষমতাকে গোড়া থেকেই সীমিত করে দিচ্ছে।
অফিস ভবনের সংকটের পাশাপাশি ময়মনসিংহ হাইওয়ে পুলিশের যানবাহনের অভাবও প্রকট। তাদের একটি কার্যকরী র্যাকার নেই। আগে একটি থাকলেও তা বর্তমানে বিকল। ফলে মহাসড়কে কোনো দুর্ঘটনা ঘটলে বা বিকল হয়ে যাওয়া গাড়ি দ্রুত সরানোর প্রয়োজন হলে তাদের অন্য জায়গা থেকে র্যাকার আনতে হয়। এতে একটি ছোট গাড়ি সরাতেও তিন-চার ঘণ্টা সময় লেগে যায়। মালবাহী গাড়ি সরাতে আরও বেশি সময় লাগে।
ময়মনসিংহ হাইওয়ে রিজিওন চারটি থানা নিয়ে গঠিত। এগুলো হলো– ভরাডোবা, শ্যামগঞ্জ, নান্দাইল ও বকশীগঞ্জ। প্রতিটি থানায় মাত্র একটি করে গাড়ি বরাদ্দ আছে, যা দেড়শ কিলোমিটার মহাসড়ক ও তিনটি গুরুত্বপূর্ণ ভারতীয় সীমান্ত এলাকার জন্য অপ্রতুল। তাছাড়া বকশীগঞ্জ হাইওয়ে থানার গাড়িটি গত বছরের ৫ আগস্টের পরে পুড়িয়ে দেয় বিক্ষুব্ধ জনতা। বর্তমানে সরকারি গাড়ি ছাড়াই চলছে এ থানার কার্যক্রম।
জানা গেছে, রিজিওন ও সার্কেল অফিস মিলিয়ে যে দুটি গাড়ি আছে– সেগুলোও বেশির ভাগ সময় নষ্ট অবস্থায় পড়ে থাকে। গাড়িগুলো অত্যন্ত ধীরগতির যা সর্বোচ্চ ৪০ থেকে ৫০ কিলোমিটার বেগে চলে। অথচ চোরাকারবারি ও দুষ্কৃতকারীরা দ্রুতগতির যানবাহন ব্যবহার করে। যার ফলে হাইওয়ে পুলিশ তথ্য পেয়েও অনেক সময় তাদের আটক করতে ব্যর্থ হয়।
হাইওয়ে পুলিশের তথ্যমতে, ভরাডোবা থানার আওতায় ৫৪ কিলোমিটার, শ্যামগঞ্জ থানার আওতায় ৩০, বকশীগঞ্জ থানার আওতায় ৪৬ ও নান্দাইল থানার আওতায় ২৩ কিলোমিটার মহাসড়ক রয়েছে। এই চারটি থানার মহাসড়ক এবং ময়মনসিংহ, নেত্রকোনা ও বকশীগঞ্জে ভারতীয় সীমান্ত এলাকার দায়িত্বে আছেন মাত্র ১০০ জন পুলিশ সদস্য। এত অল্প জনবল দিয়ে মহাসড়কের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, যানজট নিয়ন্ত্রণ, দুর্ঘটনা মোকাবিলা এবং চোরাচালান রোধ প্রায় অসম্ভব।
রিজিওনাল অফিসের তথ্যমতে, ২০২৩ সাল থেকে আজ পর্যন্ত ময়মনসিংহ হাইওয়ে পুলিশের প্রসিকিউশন অনুযায়ী চোরাচালান, দস্যুতা, মাদক ও সড়ক দুর্ঘটনা মিলে ১৯৪টি মামলা হয়েছে। তাছাড়া ময়মনসিংহ রিজিওনের আওতাধীন হাইওয়ে এলাকায় গত তিন বছরে সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে ১৮৮টি। এসব দুর্ঘটনায় ২০৯ জন নিহত, আহত হয় ৫৮ জন। দুর্ঘটনা ও মৃতের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি ভরাডোবা হাইওয়ে থানায়।
ময়মনসিংহ রিজিওনের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার রণজয় চন্দ্র মল্লিক জানান, প্রত্যাশা অনুযায়ী সরকার সুদৃষ্টি দিলে ময়মনসিংহ হাইওয়ে পুলিশ জনগণের ভোগান্তি নিরসন এবং একটি নিরাপদ সড়ক ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারবে।
হাইওয়ে পুলিশের পুলিশ সুপার কাজী মোহাম্মদ ছোয়াইব বলেন, ‘২০২৩ সালে ময়মনসিংহ রিজিওন গঠিত হলেও এখন পর্যন্ত নির্দিষ্ট একটি সরকারি অফিস পাইনি আমরা। ডিউটি করার জন্য আমাদের প্রয়োজনীয় সংখ্যক গাড়ি নেই।’ তাঁর ভাষ্য, জনবল সংকটের কারণে বিভিন্ন অভিযোগ পেয়েও সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হতে পারেন না তারা।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ময়মনস হ থ ন র আওত য দ র ঘটন হ হ ইওয সরক র
এছাড়াও পড়ুন:
নগরের হাসপাতালটিতে রোগীরা কেন থাকতে চান না
চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের শিশু বিভাগের শয্যাসংখ্যা ৫২। তবে গত সোমবার হাসপাতালের এই ওয়ার্ডে সাতটি শয্যা খালি দেখা গেছে। একই চিত্র সার্জারি ওয়ার্ডেরও। নগরের চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যেখানে রোগীর চাপ থাকে শয্যার দেড় গুণ, সেখানে জেনারেল হাসপাতালে এই সংখ্যা অর্ধেক। বছরে সাড়ে তিন লাখের মতো রোগী এখানে সেবা নিলেও তাঁদের মাত্র আড়াই শতাংশ ভর্তি হন এখানে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য বলছে, গত চার বছরের গড় হিসাব অনুযায়ী চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে প্রতিদিন ২৩ থেকে ২৫ জন নতুন রোগী ভর্তি হন। প্রতি মাসে শয্যা অনুপাতে আবাসিক রোগী ভর্তি গড়ে ৪৭ শতাংশ; অর্থাৎ মোট শয্যার অর্ধেকের বেশি ফাঁকা থাকে। চলতি বছরের প্রথম ৯ মাসে এই হার আরও কম; ৩৭ শতাংশ।
রোগীদের সঙ্গে কথা বলে এই হাসপাতালে ভর্তি না হওয়ার কারণ জানা গেছে। সেগুলো হলো হাসপাতালের অবস্থান, নিরাপত্তাঝুঁকি, রাতের বেলায় ওষুধ না পাওয়া এবং পর্যাপ্ত যাতায়াতব্যবস্থা না থাকা। হাসপাতালটিতে জনবলেরও ঘাটতিও রয়েছে। ফলে যেকোনো সময় নার্সদের পাওয়া যায় না। এ ছাড়া ভবনগুলোর বিভিন্ন অংশ জরাজীর্ণ হয়ে গেছে। ফলে রোগীরা এখানে থাকতে চান না।
ভবন সংস্কারের বিষয়টি গণপূর্ত বিভাগের আওতায়। এ বিষয়ে তাদের বলা হয়েছে। এ ছাড়া নিরাপত্তার জন্য ৩০ জন আনসারের কথা বলা হয়েছে। এটির প্রক্রিয়া প্রায় শেষ। শয্যা বাড়ানোর আগে জনবল বাড়ানো প্রয়োজন। মোহাম্মদ একরাম হোসেন, ভারপ্রাপ্ত তত্ত্বাবধায়ক, চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালচট্টগ্রাম নগরে সরকারি দুই হাসপাতালের মধ্যে একটি চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল। অন্যটি চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতাল। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শয্যাসংখ্যা ২ হাজার ২০০ হলেও প্রতিদিন প্রায় সাড়ে ৩ হাজার রোগী থাকেন। অন্যদিকে জেনারেল হাসপাতালে ২৫০ শয্যার বিপরীতে ১২০ থেকে ১৪০ জন রোগী থাকেন।
রোগী ও চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, যাঁরা চিকিৎসা নেন, তার অধিকাংশই আশপাশের এলাকার। দূরের রোগীরা এখানে আসতে চান না। কারণ, পাহাড়ের ওপর হাসপাতালটির অবস্থান। এখানে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা নেই। রাতে পাহাড়ের পথ ধরে মাদকসেবীরা হাসপাতালের মেডিসিন ওয়ার্ডের পাশে অবস্থান করে। ছিনতাই ও নিরাপত্তাঝুঁকির কারণেই রোগীরা অন্যত্র চলে যান।
চিকিৎসকেরা জানান, হাসপাতালটিতে করোনা রোগীদের জন্য ২৫টি শয্যা সংরক্ষিত আছে। এসব শয্যায় অন্য কোনো রোগী ভর্তি করা হয় না।
সরেজমিনে দেখা গেছে, হাসপাতালের মূল ভবন দুটির বিভিন্ন স্থানে পলেস্তারা খসে গেছে। ফাটল ধরেছে কিছু স্থানে। বিভিন্ন ওয়ার্ডে রোগীদের সেবা দিচ্ছেন গুটিকয় নার্স। প্রসূতি বিভাগে নার্সের উপস্থিতি বেশি। সার্জারি বিভাগের পুরুষ ব্লকের অন্তত ৫টি বেড খালি। শিশু ওয়ার্ডের অবস্থাও একই। রোগী বেশি মেডিসিন বিভাগে।
হাসপাতালের চিকিৎসা সরঞ্জামেরও সংকট রয়েছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এমআরআই মেশিন বর্তমানে নষ্ট। ইকোকার্ডিওগ্রাফি মেশিনও প্রায়ই অচল থাকে। এ ছাড়া নিয়মিত বিভিন্ন পরীক্ষার জন্যও পর্যাপ্ত যন্ত্রপাতি নেই বলে জানিয়েছেন দায়িত্বরত চিকিৎসকেরা। তবে এসবের মধ্য দিয়েই চলছে রোগীর সেবা। মূলত বাজেট বরাদ্দ না থাকায় যন্ত্রপাতি কেনায় অর্থ ব্যয় সম্ভব হচ্ছে না।চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের অবস্থান নগরের আন্দরকিল্লা এলাকার রংমহল পাহাড়ের ওপর। এর পেছনের দিকে কাটা পাহাড় লেন। আগে এ সড়ক দিয়েই হাসপাতালে ঢুকতে হতো। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায়, সন্ধ্যা হলেই বন্ধ এ পাহাড়ি পথ ধরে বহিরাগত লোকজন হাসপাতালে ঢোকে। নিরাপত্তা না থাকায় মাদকসেবীরাও পাহাড়ে ওঠে।
হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত তত্ত্বাবধায়ক মোহাম্মদ একরাম হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, ভবন সংস্কারের বিষয়টি গণপূর্ত বিভাগের আওতায়। এ বিষয়ে তাদের জানানো হয়েছে। এ ছাড়া নিরাপত্তার জন্য ৩০ জন আনসারের কথা বলা হয়েছে। এটির প্রক্রিয়া প্রায় শেষ। শয্যা বাড়ানোর আগে জনবল বাড়ানো প্রয়োজন।
শুরুতে এটি কেবল একটি ডিসপেনসারি হিসেবে যাত্রা শুরু করে। তবে ১৯০১ সালে পূর্ণাঙ্গ হাসপাতাল হিসেবে এর কার্যক্রম শুরু হয়। সে সময় জেলা সদর হাসপাতাল হিসেবে পরিচিত এই হাসপাতাল ১৯৮৬ সালে ৮০ শয্যা এবং পরে ১৫০ শয্যায় উন্নীত করা হয়। তবে জনবল থেকে যায় ১০০ শয্যার। সেই পুরোনো জনবল কাঠামোতেই সর্বশেষ ২০১২ সালে হাসপাতালটিতে ২৫০ শয্যার সেবা শুরু হয়। তবে এখনো জনবল সে–ই অর্ধেক।
হাসপাতাল–সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, শয্যা ২৫০টি হলেও এখানে চিকিৎসক ও নার্স আছেন প্রয়োজনের তুলনায় তিন ভাগের এক ভাগ। আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা ও কনসালট্যান্ট মিলিয়ে ৪০ থেকে ৪২ জন চিকিৎসক আছেন। অথচ ২৫০ শয্যার হাসপাতালের জনবলকাঠামো অনুযায়ী ৬৫ থেকে ৬৭ জন চিকিৎসক থাকার কথা। পদ সৃষ্টি না হওয়ায় নতুন করে চিকিৎসক নিয়োগ দেওয়া হয়নি। তবে চিকিৎসকদের মতে, যে সংখ্যক রোগী এখানে আসেন, এর জন্য ১০০ জনের বেশি চিকিৎসক প্রয়োজন। নেই পর্যাপ্ত নার্স ও মিডওয়াইফও।
এ ছাড়া হাসপাতালের চিকিৎসা সরঞ্জামেরও সংকট রয়েছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এমআরআই মেশিন বর্তমানে নষ্ট। ইকোকার্ডিওগ্রাফি মেশিনও প্রায় সময় অচল থাকে। এ ছাড়া নিয়মিত বিভিন্ন পরীক্ষার জন্যও পর্যাপ্ত যন্ত্রপাতি নেই বলে জানিয়েছেন দায়িত্বরত চিকিৎসকেরা। তবে এসবের মধ্য দিয়েই চলছে রোগীর সেবা। মূলত বাজেট বরাদ্দ না থাকায় যন্ত্রপাতি কেনায় অর্থ ব্যয় করা সম্ভব হচ্ছে না।
এদিকে সংকট সত্ত্বেও বহির্বিভাগের সেবার মান নিয়ে সন্তুষ্টির কথা জানিয়েছেন রোগীরা। তবে বিভিন্ন সময় এসে টিকা না পাওয়ার অভিযোগ করেছেন কয়েকজন রোগী। এ বছরের সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত হাসপাতালের বহির্বিভাগ থেকে সেবা নিয়েছেন ২ লাখ ৭০ হাজার ৮৭২ জন রোগী। জরুরি সেবা নিয়েছেন প্রায় ৩৮ হাজার রোগী।
চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) আশিক আমান প্রথম আলোকে বলেন, জনবল স্বল্পতাসহ বিভিন্ন কারণে রোগীদের পুরোপুরি সেবা দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। যে সংখ্যক চিকিৎসক থাকার কথা, তার তিন ভাগের এক ভাগ দিয়ে সেবা চলছে। চিকিৎসকের সংখ্যা বাড়ানো হলে পুরোপুরি সেবা দেওয়া সম্ভব হবে।
হাসপাতালে বিভিন্ন চাহিদা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেনারেল হাসপাতালের সাবেক তত্ত্বাবধায়ক ও বর্তমানে চট্টগ্রাম বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক সেখ ফজলে রাব্বি। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, শয্যা বাড়লেও সেখানে পদ বাড়ানো হয়নি। নিরাপত্তার জন্য তাঁদের ৩০ জন আনসার অনুমোদন করা হয়েছে। বাকি বিষয়গুলো মন্ত্রণালয়ে জানানো হয়েছে।