লর্ডসে গতকাল শুরু হয়েছে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল, খেলছে অস্ট্রেলিয়া ও দক্ষিণ আফ্রিকা। ওই ফাইনাল শেষ হওয়ার পর ১৭ জুন থেকে শুরু হচ্ছে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের নতুন চক্র। চক্র শুরু হচ্ছে বাংলাদেশের শ্রীলঙ্কা সফরের দুই টেস্ট দিয়েই।

সেই সফরে যাওয়ার আগে বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন আজ মিরপুরে কথা বললেন সংবাদ সম্মেলনে। অস্ট্রেলিয়া–দক্ষিণ আফ্রিকা ম্যাচের প্রসঙ্গ টেন ‘বাংলাদেশ কোনো একদিন টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে খেলবে, এমন স্বপ্ন কি দেখা যায়’—এমন প্রশ্ন করা হলো নাজমুলকে।  

এমন প্রশ্নের উত্তরে বাস্তবের জমিনেই রইলেন নাজমুল। জানিয়ে দিলেন এখনই এমন চিন্তা–ভাবনা শুরু করলে সেটি বোকামি ছাড়া আর কিছু হবে না, ‘এটা তো অনেক অনেক বড় স্বপ্ন। এত দূরে যদি আমি এখনই চিন্তা করি, তাহলে আমার মনে হয় বোকামি হবে। অল্প অল্প করে যদি এগোতে পারি তাহলে ভালো। কারণ, আপনি যদি দেখেন, আমরা যখন শুরু করেছিলাম, এর আগের চক্রে আমরা একটা ম্যাচ জিতেছিলাম, গত চক্রে আমরা চারটা ম্যাচ জিতেছি। আমাদের একটু উন্নতি হয়েছে। লক্ষ্য থাকবে যে এই চক্রে কীভাবে আরও একটা-দুইটা ম্যাচ বেশি জিততে পারি।’

এখনই ভাবতে না চাইলেও কোনো একদিন ফাইনাল খেলার স্বপ্ন যে দেখেন সেটি জানিয়ে দিলেন নাজমুল, ‘এভাবে অল্প অল্প করে যদি এগোতে পারি, একটা সময় হয়তো বাংলাদেশ দল ফাইনাল খেলবে। কিন্তু সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো পরের দুই বছরের মধ্যে গত চক্রের চেয়ে কীভাবে ভালো ফল করা যায়।’

সর্বশেষ চক্রে বাংলাদেশ চারটি ম্যাচ জিতে শেষ করেছিল সাতে থেকে। তাদের নিচে ছিল পাকিস্তান ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এবার জয়ের সংখ্যা আরও বাড়ানোর লক্ষ্য নাজমুলের। গতবার চার জয়ের তিনটিই বাংলাদেশ পেয়েছিল দেশের বাইরে। ঘরের মাঠে ছয় ম্যাচে মাত্র একটিই জিতেছিল বাংলাদেশ, নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে।

এই ব্যর্থতা কাটিয়ে ওঠার চ্যালেঞ্জ নিয়েছেন নাজমুলও, ‘আমার মনে হয় যে ঘরের মাঠের ম্যাচগুলো জিততে হবে আমাদের। আমরা খুবই বাজে ক্রিকেট খেলেছিলাম গতবার ঘরের মাঠে। যদি দেশের মাটিতে আরেকটি ভালো খেলতে পারতাম দেশের মাটিতে, তাহলে হয়তো জয়ের সংখ্যাট আরেকটু বাড়ত। চিন্তা তো এটাই ঘরের মাঠের টেস্টগুলো কীভাবে জিততে পারি। ঘরের মাঠে যখন টেস্ট হবে, তখন আসলে ওভাবে আরেকটু নির্দিষ্ট পরিকল্পনা করে খেলব। বাইরে ভালো হয়েছে, এই আত্মবিশ্বাসটা কাজে দেবে।’

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ঘর র ম ঠ ফ ইন ল

এছাড়াও পড়ুন:

কেইনের জোড়া গোলে চেলসিকে হারাল বায়ার্ন, চ্যাম্পিয়ন পিএসজির গোল উৎসব

বায়ার্ন মিউনিখ ৩–১ চেলসি

২০১২ সালে আলিয়াঞ্জ অ্যারেনায় ইতিহাস গড়েছিল চেলসি। ফাইনালে বায়ার্ন মিউনিখকে টাইব্রেকারে হারিয়ে প্রথমবারের মতো পরেছিল ইউরোপসেরার মুকুট।

 তবে এরপর থেকে বায়ার্নের সঙ্গে মুখোমুখি সব ম্যাচেই হেরেছে চেলসি। লন্ডনের ক্লাবটি পারল না আজও। হ্যারি কেইনের জোড়া গোলে চেলসিকে ৩–১ ব্যবধানে হারিয়েছে বায়ার্ন।

আলিয়াঞ্জ অ্যারেনায় ম্যাচের ২০ মিনিটে বায়ার্ন প্রথম গোলটা পেয়েছে উপহারসূচক। চেলসির সেন্টার–ব্যাক ট্রেভোহ চালোবাহ নিজেদের জালে বল জড়ালে এগিয়ে যায় বাভারিয়ানরা।

কিছুক্ষণ পরেই ব্যবধান দ্বিগুণ করেন কেইন। এবার ভুল করে বসেন চেলসির মইসেস কাইসেদো। নিজেদের বক্সে কেইনকে কাইসেদো অযথা ট্যাকল করলে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি।

নতুন মৌসুমে গোলের পর গোল করেই চলেছেন হ্যারি কেইন

সম্পর্কিত নিবন্ধ