সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে বালিজুড়ী ইউনিয়নের নোয়াহাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যাতায়াতে রাস্তা না থাকায় শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। বর্ষা মৌসুমে সামান্য বৃষ্টি হলে স্কুলের সামনে জলাবদ্ধতা তৈরি হয়। এতে কাদাপানি মাড়িয়ে বিদ্যালয়ে যাতায়াত করতে হয় কোমলমতি শিক্ষার্থীদের।
স্কুল কর্তৃপক্ষ বারবার স্থানীয় উপজেলা পরিষদ ও ইউনিয়ন পরিষদে আবেদন করলেও রাস্তা নির্মাণ হয়নি। সংশ্লিষ্টদের সাড়া না মেলায় এ বছর অভিভাবকদের সহায়তা ও স্কুল ফান্ড থেকে বাঁশের সাঁকো তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার থেকে পুরোদমে শুরু হয়েছে সাঁকো তৈরির কাজ।
১৯৯০ সালে উপজেলার রক্তি নদীর তীরে নোয়াহাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হয়। ২০০৩ সালে বিদ্যালয়টি নদী ভাঙনের শিকার হলেও বিদ্যালয়ের স্থান পরিবর্তন হয়। ২০০৭-২০০৮ অর্থবছরে এলজিইডির অর্থায়নে নোয়াহাট গ্রামের মধ্যে বিদ্যালয় ও বন্যা আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে নোয়াহাট সরকারি বিদ্যালয়ের ভবন নির্মাণ করা হয়।
বিদ্যালয়ের ছাত্র অভিভাবক খগেন্দ্র চন্দ বলেন, বিদ্যালয়ে যাতায়াতে রাস্তা না থাকায় প্রতিবছর বর্ষাকাল এলেই কাদা পানি দিয়ে তাদের শিশুদের স্কুলে পাঠাতে হয়। এ বছর বর্ষা মৌসুমের শুরুতেই বিদ্যালয়ের তহবিল ও অভিভাবকদের কাছ থেকে চাঁদা তুলে বাঁশের সাঁকো তৈরি করছেন।
অপর ছাত্র অভিভাবক ছবির হোসেন বলেন, উপজেলার মধ্যে সবচেয়ে বেশি রাজস্ব আদায় হয় বালিজুড়ী ইউনিয়নে। এ ইউনিয়নের একটি নৌ ঘাট থেকেই প্রতিবছর চার কোটি টাকা রাজস্ব পায় সরকার। অথচ এ ইউনিয়নের সরকারি স্কুলের সামনে রাস্তা নেই। বাঁশের সাঁকো শিক্ষার্থীদের স্কুলে যাতায়াত করতে হয়। এ যুগে এটা কী ভাবা যায়।
নোয়াহাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক আজিজুল ইসলাম বলেন, প্রতিদিন তাঁকে দক্ষিণকুল প্রধান সড়ক থেকে জুতা খুলে হাতে নিয়ে বিদ্যালয়ে গিয়ে পড়তে হয়। আর শিক্ষার্থীদের দুরবস্থার কথা তো বলার অপেক্ষাই রাখে না। বিদ্যালয়ের এই রাস্তাটি নির্মাণের জন্য তারা অনেকবার উপজেলা পরিষদ ও স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদে আবেদন করেছেন। কিন্তু রাস্তা হচ্ছে না।
বালিজুড়ী ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান বাবুল মিয়া বলেন, বিদ্যালয়ে যাতায়াতে রাস্তাটি নির্মাণের জন্য ইউনিয়নের পক্ষ থেকে ৪০ দিনের কর্মসূচি প্রকল্পের তালিকাতে নাম দেওয়া হয়েছিল। এ বছর সরকার ৪০ দিনের প্রকল্প অনুমোদন না দেওয়ায় রাস্তার কাজটি করা সম্ভব হয়নি। পরবর্তী সময়ে অনুমোদন পেলেই কাজটি করে দেওয়া হবে বলে আশ্বাস দেন তিনি।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: নদ ন য় হ ট সরক র উপজ ল

এছাড়াও পড়ুন:

শেফালি আর দীপ্তিতে নতুন মুম্বাইয়ে নতুন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ভারত

নাবি মুম্বাই। নয়া মুম্বাই। নতুন সেই মুম্বাইয়ে কাল নতুন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন পেল মেয়েদের ওয়ানডে বিশ্বকাপ। ফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ভারত।

দীপ্তি শর্মার করা ৪৬তম ওভারের তৃতীয় বলে নাদিন ডি ক্লার্কের তোলা ক্যাচটি এক্সট্রা কাভারে ভারত অধিনায়ক হারমানপ্রীত কৌরের হাতে জমা হতেই বিশ্ব চ্যাম্পিয়নের আনন্দে মাতল পুরো ভারত। দক্ষিণ আফ্রিকা ২৪৬ রানে অলআউট, ভারত ৫২ রানে জয়ী।

ভারতের জয়ের উৎসব অবশ্য শুরু হয়ে গিয়েছিল পাঁচ ওভার আগেই। লরা ভলভার্টকে ফিরিয়ে পথের কাঁটা উপড়ে ফেলেই উদ্‌যাপন শুরু করেছিল ভারতীয়রা। অসাধারণ এক সেঞ্চুরি করে দক্ষিণ আফ্রিকান অধিনায়ক চোখ রাঙাছিলেন ভারতের উৎসব ভন্ডুল করার। কিন্তু সেঞ্চুরি করার পরপরই ক্যাচ তুললেন ভলভার্ট। আর সেই ক্যাচ নিতে গিয়ে আমানজোত কৌর ভারতের প্রায় শত কোটি মানুষের হৃৎস্পন্দন প্রায় থামিয়ে দিয়েছিলেন। একবার নয়, দুবার নয়, তৃতীয়বারের চেষ্টাতেই ক্যাচ নিতে পারেন আমানজোত। এবারও বোলার সেই অফ স্পিনার দীপ্তি শর্মা।

৯৮ বলে ১০১ রান করে ভলভার্ট যখন ফিরলেন দক্ষিণ আফ্রিকার স্কোর ৪১.১ ওভারে ২২০/৭। এরপর শুধু আনুষ্ঠানিকতাই ছেড়েছে ভারত। দীপ্তি আরও ২টি উইকেট নিয়ে পেয়ে গেছেন ৫ উইকেট। আর ভারত হয়ে গেছে চ্যাম্পিয়ন। এর আগে ব্যাট হাতেও ৫৮ বলে ৫৮ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলেছেন দীপ্তি।

ব্যাট হাতে ৮৭ রান করা শেফালি বর্মা বল হাতে নিয়েছেন ২ উইকেট

সম্পর্কিত নিবন্ধ