১৭ দিন পর কাটলো অচলাবস্থা, চক্ষু হাসপাতালে সেবা চালু
Published: 14th, June 2025 GMT
জুলাই আন্দোলনে আহতদের সঙ্গে কর্মচারীদের সংঘর্ষের জেরে বন্ধ হওয়ার ১৭ দিন পর জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে পূর্ণাঙ্গ সেবা চালু হয়েছে। শনিবার সকাল ৮টা থেকে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জরুরি ও বহির্বিভাগের সেবা চালু করে। পরীক্ষা-নিরীক্ষার সঙ্গে প্রয়োজনে রোগী ভর্তি রেখেও চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
এর আগে ৪ জুন জরুরি বিভাগ ও ১২ জুন সীমিত পরিসরে আউটডোরের সেবা চালু করে জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল।
হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক ডা.
কর্মরত একজন চিকিৎসক বলেন, আমরা সকাল থেকে রোগীদের সেবা দেওয়া শুরু করেছি জরুরি ও বহির্বিভাগে পূর্ণাঙ্গ সেবা পাচ্ছেন রোগীরা। প্রয়োজনে ভর্তি ও অস্ত্রোপচার করা হচ্ছে।
এর আগে গত ২৮ মে আন্দোলনে আহতদের সঙ্গে হাসপাতালের কর্মী, সাধারণ রোগী এবং তাদের স্বজনদের মধ্যে সংঘর্ষের পর থেকে হাসপাতালটিতে সব ধরনের চিকিৎসা সেবা বন্ধ হয়ে যায়। হাসপাতালটিতে শুধু জুলাই আহতরা অবস্থান করেন। অন্তর্বর্তী সরকার তাদের জন্য বিশেষ উদ্যোগে খাবার সরবরাহ করেছে।
সরকার গঠিত বিশেষজ্ঞ কমিটি জুলাই অভ্যুত্থানে আহতদের ছাড়পত্র দিলেও ঈদের ছুটি শেষে তারা আবারও দুয়েকজন করে এই হাসপাতালে ফিরতে শুরু করেছেন। জুলাই আহতরা জানিয়েছেন- তারা এ হাসপাতাল থেকেই চিকিৎসা নিতে চান।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
জুলাই শহীদদের আত্মার মাগফিরাত ও আহতদের সুস্থ্যতা কামনায় দোয়া
নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে জুলাই শহীদদের আত্মার মাগফিরাত ও আহতদের সুস্থ্যতা কামনায় দোয়া ও স্মরণসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) দুপুরে সিদ্ধিরগঞ্জের মাদানীনগর চৌরাস্তায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন শহীদ আহত সেলের উদ্যোগে এ দোয়া ও স্মরণসভাটি অনুষ্ঠিত হয়। এসময় জুলাই শহীদদের পরিবারের হাতে উপহার সামগ্রী তুলে দেয়া হয়।
নারায়ণগঞ্জ জেলা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সদস্য সচিব মো: জাবেদ আলমের সভাপতিত্বে উক্ত অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের সচিব মো: নূর কুতুবুল আলম, নারায়ণগঞ্জ সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো: আব্দুর রহিম, নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসনের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক আলমগীর হোসাইন, জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) কেন্দ্রীয় যুগ্ম সদস্য সচিব এড. আব্দুল্লাহ আল আমিন, নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনের বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামীর সংসদ সদস্য প্রার্থী ড. মো: ইকবাল হোসেন ভুঁইয়া, জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) কেন্দ্রীয় সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) মো: শওকত আলী, সদস্য আহমেদুর রহমান তনুসহ প্রমূখ।
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) কেন্দ্রীয় যুগ্ম সদস্য সচিব এড. আব্দুল্লাহ আল আমিন তার বক্তব্যে বলেন, আমরা কাধে কাধ মিলিয়ে রাজপথে নেমেছি, হেলিকপ্টারের গুলিকে তোয়াক্কা করি নাই, হাসিনার বাহিনীকে তোয়াক্কা করি নাই। সেই বাংলাদেশকে আমরা যেভাবে চেয়েছিলাম সে বাংলাদেশটা হয় নাই।
এখন আমাদের রাজনৈতিক দলগুলোর দায়িত্ব সেরকম একটা বাংলাদেশ গড়ে তুলার। এই বাংলাদেশে যেই রাজনৈতিক দলের নামেই সন্ত্রাস করুক, চঁদাবাজী করুক তাকে প্রতিহত করতে হবে। রাজনৈতিক দলের নামে যেই গায়ের জোর দেখাতে চায় তাকে প্রতিহত করতে হবে।
বাংলাদেশ হবে বৈষম্য মুক্ত। সকলের মানবিক মর্যাদা থাকবে, সকলের নাগরিক অধিকার সমান থাকবে, একজন নাগরিক হিসেবে তার যতটুকু প্রাপ্য রাজনৈতিক দলগুলো, সমাজ এবং প্রশাসন তাকে সেটা দিতে বাধ্য থাকবে। এ ধরণের একটা বাংলাদেশ আমরা গড়তে চাই।