ভোরে শুরু ক্লাব বিশ্বকাপ, বিশ্বের নজর এবার যুক্তরাষ্ট্রে
Published: 14th, June 2025 GMT
আন্তর্জাতিক ফুটবলে ক্লাব পর্যায়ের সবচেয়ে বড় প্রতিযোগিতা ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপ এবার যুক্তরাষ্ট্রের মায়ামিতে শুরু হতে যাচ্ছে বাংলাদেশ সময় রোববার (১৫ জুন) ভোরে। দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর মাঠে গড়াচ্ছে টুর্নামেন্টের ২১তম আসর, যেখানে অংশ নিচ্ছে ৬টি মহাদেশ থেকে বাছাই করা ৩২টি ক্লাব, খেলবে ১২টি আধুনিক ভেন্যুতে।
উদ্বোধনী দিনেই মাঠে নামবে আয়োজক দেশের ক্লাব ইন্টার মায়ামি। মেসির দলটির মুখোমুখি হবে আফ্রিকার অন্যতম সেরা ক্লাব মিশরের আল আহলি।
এই টুর্নামেন্টের সবচেয়ে আকর্ষণীয় দিক হলো— একই মঞ্চে ইউরোপ, দক্ষিণ আমেরিকা, এশিয়া, আফ্রিকা, উত্তর আমেরিকা ও ওশেনিয়ার চ্যাম্পিয়ন ক্লাবগুলোর মুখোমুখি হওয়া। যেমন- ইউরোপ থেকে রয়েছে ম্যানচেস্টার সিটি, রিয়াল মাদ্রিদ, পিএসজি, বায়ার্ন মিউনিখ, চেলসি, জুভেন্টাসসহ আরও বড় নাম। দক্ষিণ আমেরিকা থেকে রয়েছে ফ্ল্যামেঙ্গো, পালমেইরাস, রিভার প্লেট, বোকা জুনিয়র্স। সবই ঐতিহ্যবাহী ক্লাব।
আরো পড়ুন:
কোচ কাবরেরার পদত্যাগ দাবি, অনিশ্চয়তায় ভবিষ্যৎ
ঢাকায় সাফের মঞ্চে খেলবে না ভারত, আত্মবিশ্বাসী বাংলাদেশ
এশিয়ার প্রতিনিধিত্ব করছে সৌদির আল হিলাল, জাপানের উরওয়া, কাতারের আল আইন ও দক্ষিণ কোরিয়ার উলসান এইচডি। আফ্রিকা থেকেও এসেছে শক্তিশালী দল যেমন- আল আহলি ও মামেলোদি সান্ডাউনস। ওশেনিয়া থেকে একমাত্র প্রতিনিধি অকল্যান্ড সিটি।
নতুন নিয়ম, আধুনিক প্রযুক্তির ছোঁয়া:
এবারের ক্লাব বিশ্বকাপ শুধু তারকাবহুল দল নিয়েই নয়, নতুন ফুটবল প্রযুক্তি ও নিয়মের জন্যও বিশেষভাবে আলোচিত।
বডি ক্যাম রেফারিং: মাঠের রেফারির ভিউ এবার সরাসরি দেখতে পারবে দর্শক—এক অভূতপূর্ব অভিজ্ঞতা।
ভিএআর সম্প্রচার: ভিএআর সিদ্ধান্ত এবার স্টেডিয়ামের জায়ান্ট স্ক্রিনে দেখা যাবে, রেফারির ব্যাখ্যাও পাবলিক অ্যাড্রেসে শোনা যাবে।
অটোমেটিক অফসাইড প্রযুক্তি: আধুনিক এআই নির্ভর প্রযুক্তি দিয়ে দ্রুত ও নির্ভুল অফসাইড সিদ্ধান্ত আসবে।
গোলরক্ষকের জন্য নতুন নিয়ম: বল ধরে ৮ সেকেন্ডের মধ্যে না ছাড়লে প্রতিপক্ষ পাবে কর্নার।
গ্রুপ ও নকআউট স্টেজের কাঠামো:
৮টি গ্রুপে ভাগ করা হয়েছে ৩২টি দলকে। প্রতিটি গ্রুপে রয়েছে ৪টি করে দল। সিঙ্গেল রাউন্ড রবিন পদ্ধতিতে খেলবে প্রত্যেক দল। শীর্ষ দুই দল যাবে শেষ ষোলোতে। এরপর শুরু হবে নকআউট পর্ব। তবে এবারের আসরে তৃতীয় স্থান নির্ধারণী ম্যাচ রাখা হয়নি।
যারা নেই, তবু আলোচনায়:
যদিও বিশ্ব তারকা মেসি খেলছেন তবে অনুপস্থিতির তালিকাও দীর্ঘ। নেই মোহাম্মদ সালাহ। কারণ, লিভারপুল নেই প্রতিযোগিতায়। ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোও নেই। যদিও ফিফা তাকে পেতে আগ্রহী ছিল। নেইমার চোট থেকে ফিরলেও খেলছেন না। ১৭ বছর বয়সী বিস্ময় লামিন ইয়ামালও বার্সার অনুপস্থিতিতে সুযোগ পাননি।
বিশ্ব ফুটবলে ক্লাব পর্যায়ের প্রতিযোগিতা হিসেবে এত বড় মঞ্চ খুব কমই দেখা যায়। যেখানে মেসির ইন্টার মায়ামি থেকে শুরু করে রিয়াল মাদ্রিদের মতো জায়ান্টরা অংশ নিচ্ছে। সেখানে উত্তেজনা তো থাকবেই। আধুনিক প্রযুক্তি, অভাবনীয় প্রতিদ্বন্দ্বিতা ও নতুন নিয়মের সমন্বয়ে ক্লাব বিশ্বকাপ ২০২৫ নিঃসন্দেহে হতে যাচ্ছে এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা।
ঢাকা/আমিনুল
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ফ টবল ক ল ব ব শ বক প
এছাড়াও পড়ুন:
জেমাইমার কান্নার ম্যাচে টুপটাপ ভাঙল রেকর্ডও
নাবি মুম্বাইয়ের ডিওয়াই পাতিল স্টেডিয়ামে গতকাল রাতে নারী বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে অস্ট্রেলিয়াকে ৫ উইকেটে হারিয়ে ফাইনালে উঠেছে ভারত। অস্ট্রেলিয়ার ৩৩৮ রান তাড়া করতে নেমে ভারত জয় তুলে নেয় ৯ বল হাতে রেখে। নারী বিশ্বকাপে এটাই সর্বোচ্চ রান তাড়া করে জয়ের রেকর্ড। এ ছাড়া আরও বেশ কিছু রেকর্ড হয়েছে এ ম্যাচে। আসুন, দেখে নিই।৩৩৯
অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে রান তাড়ায় ভারতের লক্ষ্য। নারী বিশ্বকাপে এটাই সর্বোচ্চ রান তাড়া করে জয়ের বিশ্ব রেকর্ড। এবারের নারী বিশ্বকাপের বিশাখাপত্তনমে ভারতের দেওয়া ৩৩১ রানের লক্ষ্য তাড়া করে জিতেছিল অস্ট্রেলিয়া। সেই রেকর্ড ভেঙে গতকাল রাতে নতুন রেকর্ড গড়েছে ভারত। মেয়েদের ওয়ানডেতে এর আগে সর্বোচ্চ ২৬৪ রান তাড়া করে জিতেছে ভারত। তবে মেয়েদের বিশ্বকাপে ভারত এর আগে কখনো ন্যূনতম ২০০ রান তাড়া করে জিততে পারেনি।
১৫নারী বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়ার টানা ম্যাচ জয়সংখ্যা। গতকাল রাতে হারের আগে সর্বশেষ ২০১৭ নারী বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে এই ভারতের বিপক্ষেই হেরেছিল অস্ট্রেলিয়া। নারী বিশ্বকাপে এটা যৌথভাবে টানা সর্বোচ্চ ম্যাচ জয়ের রেকর্ড। আগের রেকর্ডটিও ছিল অস্ট্রেলিয়ার (১৯৯৩-২০০০)।
৬৭৯ভারত ও অস্ট্রেলিয়ার দুই ইনিংস মিলিয়ে মোট রান। নারী বিশ্বকাপে দুই দলের ইনিংস মিলিয়ে এটাই সর্বোচ্চ রানের ম্যাচ। ২০১৭ সালে ব্রিস্টলে ইংল্যান্ড ও দক্ষিণ আফ্রিকার মধ্যে ম্যাচে উঠেছিল ৬৭৮ রান।
আরও পড়ুনচ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়াকে বিদায় করে ফাইনালে ভারত১১ ঘণ্টা আগে৩ছেলে ও মেয়েদের ওয়ানডে মিলিয়ে নকআউট ম্যাচে ৩০০–এর বেশি রানের লক্ষ্য তাড়া করে জয়ের নজির। আগের দুবার এই নজির গড়েছে ভারতের ছেলেদের ক্রিকেট দল। ১৯৯৮ সালে ইনডিপেনডেন্স কাপের তৃতীয় ফাইনালে পাকিস্তানের ৩১৪ রান তাড়া করে জিতেছিল ভারত। ২০০২ সালে ন্যাটওয়েস্ট ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনালে ইংল্যান্ডের ৩২৫ রান তাড়া করে জেতে ভারত।
১২৭*নারী ওয়ানডেতে রান তাড়ায় ভারতের হয়ে সর্বোচ্চ রানের ইনিংস, যেটা গতকাল রাতে খেলেন জেমাইমা রদ্রিগেজ। গত মাসে দিল্লিতে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ১২৫ রানের ইনিংস খেলেন স্মৃতি মান্ধানা।
৭৭ভারতের বিপক্ষে সেঞ্চুরি করতে অস্ট্রেলিয়ার ফোবে লিচফিল্ডের খেলা বলসংখ্যা। মেয়েদের ওয়ানডেতে নকআউট ম্যাচে এটা দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ড। ২০১৭ বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৯০ বলে সেঞ্চুরি করেন হারমানপ্রীত কৌর। ২০২২ বিশ্বকাপের ফাইনালে ইংল্যান্ডের ন্যাট শিভার-ব্রান্টও ৯০ বলে সেঞ্চুরি করেন।
০২০২৫ সালে মেয়েদের এই বিশ্বকাপ ফাইনালই প্রথম ফাইনাল যেখানে অস্ট্রেলিয়া কিংবা ইংল্যান্ডের মধ্যে কাউকে দেখা যাবে না। আগের সব কটি বিশ্বকাপের ফাইনালেই এই দুই দলের মধ্যে কেউ না কেউ ছিল।
আরও পড়ুনবোলাররা ভাসান, ব্যাটসম্যানেরা ডোবান—আজ কী করবে বাংলাদেশ৩ ঘণ্টা আগে