‎নারায়ণগঞ্জ জেলা  বিএনপি আহ্বায়ক অধ্যাপক মামুন মাহমুদ বলেন, ‎বিগত  সময় ন্যায় অন্যায়র পাথর্ক ছিলো না। ন্যায় করলেও ন্যায় অন্যায় করলেও ন্যায়। কথা বলা যেতো  না।

আইন ছিলো না, বিচার ছিলো না। পুলিশি ব্যবস্থা ছিলো না সব একাকার হয়ে গেছিলো না। কে যে পুলিশ কে যে আদালত কোথায় বিচার কোথায় আচার কোনো কিছ্ইু ছিলো না। 

কে প্রধানমন্ত্রী, কে এমপি কে কাউন্সিলর এগুলোর মধ্যে মানুষ জানতো না । একটা আওয়ামী লীগের চেলা সেও প্রধানমন্ত্রী, এমপি সমান ক্ষমতা দেখাতো। পলিটিকেলে নাম নাই শুধু বলতো জংয় বাংলা তোর জমিটা আমার লাগবো। তোর পকেটে কত টাকা আছে, মোবাইলটা আমার পছন্দ হইছে। জনগণ এখন আর এসব চায় না। মানুষ এখন পরির্বতন চায়।

‎‎বৃহস্পতিবার (১৯ জুলাই) নাসিক ১০ ওয়ার্ডে পাঠানটুলী এলাকায় শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৪৪তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে খাদ্য- সামগ্রী বিতরণ দোয়া ও আলোচনা সভায় প্রধান বক্তা হিসাবে তিনি এ কথা বলেন।

‎এ সময় মামুন মাহমুদ বলেন, গত ১৫ বছর ধরে ফ্যাসিস্ট সরকার মানুষের ভোট, মতপ্রকাশ ও চলাফেরার স্বাধীনতা হরণ করেছে। এমনকি রাস্তায় চললেও মানুষ ভয় পেত। তারেক রহমানের নেতৃত্বে ছাত্র-জনতা ঐক্যবদ্ধ হয়ে তাদেরকে পালিয়ে যেতে বাধ্য করেছে। ‎

‎মহানগর যুবদলের সদস্য মো.

এরশাদ আলীর সভাপতিত্বে  অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে ছিলেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খাইরুল কবির খোকন।

‎এতে আরও উপস্থিত ছিলেন- জেলা বিএনপির সদস্য অকিল উদ্দিন ভূঁইয়া, ৯নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি বাবুল প্রধান, বিএনপি নেতা মাসুদুর রহমান মাসুদ, ২নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি দেলোয়ার হোসেন খোকন, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা কৃষক দলের সদস্য সচিব সোহেল রহমান, বিএনপি নেতা মো. কবির হোসেন, যুবদল নেতা দুলাল মিয়া, বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।
 

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: ব এনপ ন র য়ণগঞ জ আওয় ম ল গ ব এনপ র রহম ন

এছাড়াও পড়ুন:

ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা: চেরনোবিলের মতো বিপর্যয় হবে না

ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি লক্ষ্য করে বোমাবর্ষণ হলেও চেরনোবিল-ফুকুশিমার মতো বিপর্যয় ডেকে আনবে না বলে জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। তারা বলেছেন, এগুলো মূলত ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ স্থাপনায় কেন্দ্রীভূত হয়েছে।

বিজ্ঞানীরা বিবিসিকে জানিয়েছেন, এ ধরনের স্থাপনায় ক্ষয়ক্ষতি হলেও তা চেরনোবিল বা ফুকুশিমার মতো ভয়াবহ ‘পারমাণবিক দুর্ঘটনা’ ঘটানোর ঝুঁকি তৈরি করে না। এর কারণ হলো সমৃদ্ধকরণ কেন্দ্রে কোনো পারমাণবিক বিক্রিয়া (নিউক্লিয়ার রিঅ্যাকশন) ঘটে না। পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের রিঅ্যাক্টরে ইউরেনিয়ামের পরমাণু বিভাজিত হয়ে ফিশন প্রতিক্রিয়ার মাধ্যমে তাপ উৎপন্ন করে এবং তাতে তৈরি হয় অতিরিক্ত তেজস্ক্রিয় বর্জ্য।

অন্যদিকে, সমৃদ্ধকরণ স্থাপনাগুলো শুধু ইউরেনিয়ামকে জ্বালানি হিসেবে প্রস্তুত করে, সেখানে শক্তি উৎপাদনের কোনো প্রক্রিয়া চলে না। 

ব্যাঙ্গোর বিশ্ববিদ্যালয়ের পারমাণবিক উপাদান বিশেষজ্ঞ সায়মন মিডলবার্গ  বলেন, যদি কোনো সমৃদ্ধকরণ স্থাপনায় বোমা মারা হয়, তাহলে ভেতরের ইউরেনিয়াম পরিবেশে ছড়িয়ে পড়তে পারে। তবে এতে কোনো পারমাণবিক প্রতিক্রিয়া হওয়ার আশঙ্কা নেই। কাজেই এ ক্ষতি হবে স্থানীয় পর্যায়ে সীমাবদ্ধ এবং একমাত্র আশপাশের একটি ছোট এলাকা ছাড়া কোনো বিস্তৃত তেজস্ক্রিয় ঝুঁকি তৈরি হবে না।

রয়টার্স জানায়, ইরানের ভূগর্ভে নির্মিত পারমাণবিক স্থাপনাগুলোর ওপর আঘাত হানতে সক্ষম একমাত্র প্রচলিত অস্ত্র হচ্ছে মার্কিন ‘বাঙ্কার-ব্লাস্টার’ বোমা। সাম্প্রতিক ইরান-ইসরায়লে সংঘাত পরিস্থিতিতে অনেকের মনেই প্রশ্ন, যুক্তরাষ্ট্র যদি আসলেই ইরানের সন্দেহভাজন পারমাণবিক অস্ত্র স্থাপনায় শক্তিশালী বাঙ্কার-ব্লাস্টার বোমা ফেলে, তাহলে এর পরিণতি কী হবে? 

বিকিরণ ঝুঁকি বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, এই বোমা মাটির নিচের বাঙ্কার ধ্বংস করে ফেললেও এর ব্যাপক বিকিরণ দূষণের আশঙ্কা কম।

ইরানের ‘ফোরডো ফুয়েল এনরিচমেন্ট প্লান্ট’ নামের এই রহস্যময় স্থাপনা পাহাড়ের গুহায় নির্মিত এবং এখানে ইউরেনিয়াম আইসোটোপ প্রক্রিয়াকরণ করা হয়। এতে এখানে ইউরেনিয়াম সাধারণত ইউরেনিয়াম হেক্সাফ্লুরাইড নামক গ্যাস আকারে থাকে।

এ গ্যাস অণু তুলনামূলক বড় ও ভারী হওয়ায় এটি অনেক দূরে ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা কম বলে জানান আলাবামা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাস্থ্য পদার্থবিজ্ঞান বিশেষজ্ঞ এমিলি ক্যাফ্রি। তিনি আরও বলেন, হামলার ফলে বিকিরণ বা দূষণ ওই স্থানেই সীমাবদ্ধ থাকবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ