দেজা ভ্যু—বর্তমানের কোনো ঘটনা, যা অতীতেও ঘটেছে বলে মনে হয়, তা বোঝাতে ফরাসি ভাষার এ কথাটি বহুল প্রচলিত। ফ্রি–কিক থেকে গোল করে লিওনেল মেসির দলকে জেতানোর ঘটনাও তেমন কিছুই। কদিন পরপরই এ ঘটনা ঘটে আর মনে হয় আগেও কোথাও দেখেছিলাম!

সেই একই ঘটনা ঘটেছে গতকাল রাতেও। ক্লাব বিশ্বকাপে পোর্তোর বিপক্ষে শুরুতে পিছিয়ে যাওয়ার পরও মেসির গোলে জিতেছে ইন্টার মায়ামি। প্রথম ম্যাচে আল আহলির সঙ্গে গোলশূন্য ড্র করা মায়ামি এবার জিতেছে ২–১ গোলে। কনকাক্যাফ অঞ্চলের (উত্তর ও মধ্য আমেরিকা এবং ক্যারিবিয়ান অঞ্চল) প্রথম ক্লাব হিসেবে অফিশিয়াল ফিফা টুর্নামেন্টে ইউরোপিয়ান প্রতিপক্ষকে হারাল যুক্তরাষ্ট্রের মেজর লিগ সকারের (এমএলএস) ক্লাবটি।

আটলান্টার মার্সিডিজ–বেঞ্জ স্টেডিয়ামে ম্যাচের ৮ মিনিটে পেনাল্টি থেকে গোলে এগিয়ে যায় পোর্তো। পর্তুগিজ ক্লাবটি বল দখল এবং সুযোগ তৈরিতেও এগিয়ে ছিল মায়ামির চেয়ে। কিন্তু সুযোগ কাজে লাগানোয় তাদের পেছনে ফেলেছে মায়ামি। প্রথমার্ধে অবশ্য এগিয়ে থেকেই বিরতিতে যায় পোর্তো।

আরও পড়ুনসবচেয়ে বেশি জার্সি বিক্রি: মেসির সঙ্গে আছেন এক বাংলাদেশি বংশোদ্ভূতও১৭ ঘণ্টা আগে

কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে ৪৭ থেকে ৫৪ মিনিটের মধ্যে বদলে যায় ম্যাচের দৃশ্যপট। ৪৭ মিনিটে তেলেসকো সেগোভিয়ার গোলে সমতায় ফেরে মায়ামি। ৭ মিনিট পর জাদুকরি এক মুহূর্ত উপহার দেন মেসি। বক্সের বাইরে মেসি ফাউলের শিকারের হওয়ার পরই ফ্রি–কিকটি পেয়েছিল মায়ামি। সে সুযোগ কাজে লাগাতে ভুল করেননি মেসি।

দুর্দান্ত এক শটে টপ রাইট কর্নার দিয়ে গোল করে দলকে এগিয়ে দেন। সরাসরি ফ্রি–কিক থেকে আর্জেন্টাইন মহাতারকার ক্যারিয়ারে ৬৮তম এই গোলই ম্যাচে পার্থক্য গড়ে দেয়। সরাসরি ফ্রি–কিক থেকে গোলে মেসির চেয়ে এগিয়ে শুধু দুজন ব্রাজিলিয়ান—জুনিনিও (৭৭) ও পেলে (৭০)। পাশাপাশি এটি মায়ামির হয়ে মেসির ৫০তম গোলও বটে। গোলের ফিফটি পূরণ করতে মেসির লেগেছে ৬১ ম্যাচ।

সতীর্থদের সঙ্গে মেসির গোল উদ্‌যাপন.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

বৈষম্য দূরীকরণে ৯ দাবি রাবি শিক্ষক-কর্মকর্তাদের

প্রাতিষ্ঠানিক সুবিধা বহাল এবং বৈষম্য দূরীকরণে ৯ দফা দাবি জানিয়েছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা।

শনিবার (১৬ আগস্ট) বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিনস কমপ্লেক্সের শিক্ষক লাউঞ্জে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এসব দাবি জানান তারা।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন এগ্রোনমি ও এগ্রিকালচার এক্সটেনশন বিভাগের প্রফেসর ড. মো. আব্দুল আলিম, প্রাণ রসায়ন ও অনুপ্রাণ বিজ্ঞান বিভাগের প্রফেসর ড.মোহাম্মদ আমিরুল ইসলাম, ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মামুন, প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. কামরুল হাসান, অফিসার সমিতির সভাপতি মোক্তার হোসেন ও কোষাধ্যক্ষ, মাসুদ রানাসহ বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক ও কর্মকর্তা কর্মচারীরা।

আরো পড়ুন:

রাবি অধ্যাপকের বিরুদ্ধে ছাত্রীকে যৌন হয়রানির অভিযোগ

রাকসু ফান্ডে জমা ১ কোটি ৮২ লাখ টাকা, হল সংসদের ফান্ড অস্পষ্ট

সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা বলেন, ২০২৪ সালের জুলাইয়ে শিক্ষার্থীদের বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন এক পর্যায়ে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে রূপ নেয়। এর ধারাবাহিকতায় ৫ আগস্ট স্বৈরাচারী সরকারের পতন ঘটে এবং দীর্ঘ ১৫ বছরের গুম-খুন ও নির্যাতনের অবসান হয়। গণঅভ্যুত্থানে জনগণের প্রত্যাশা ছিল ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থার অবসান এবং গণতান্ত্রিক, বৈষম্যহীন রাষ্ট্র ব্যবস্থার প্রতিষ্ঠা। তবে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দায়িত্ব গ্রহণের এক বছর পেরিয়ে গেলেও সেই প্রত্যাশা পূরণে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়নি।

তারা বলেন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের বাস্তবতাও প্রায় একই রকম। শিক্ষার্থী, শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য সেবা, আবাসন, যাতায়াত, পেশাগত সুযোগ-সুবিধার উন্নয়ন এবং দুর্নীতিবাজ ও নিপীড়কদের দ্রুত বিচার নিশ্চিতকরণে কার্যকর অগ্রগতি দেখা যায়নি। এসব জরুরি বিষয়ে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সচেতন শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীরা আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন। দেশের অন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে সরকার ঘোষিত সুবিধা বহাল রয়েছে। অথচ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে তা কার্যকর হয়নি।

বক্তারা বলেন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশের বাইরে কোনো বিচ্ছিন্ন অংশ নয়। তাই এখানেও শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারীদের সন্তানদের জন্য একই ধরনের প্রাতিষ্ঠানিক সুবিধা নিশ্চিত করতে হবে।

অফিসার সমিতি সভাপতি মুক্তার হোসেন বলেন, “পোষ্য কোটা ও প্রাতিষ্ঠানিক সুবিধা এক নয়। আমরা আমাদের সন্তানদের জন্য প্রাতিষ্ঠানিক সুবিধা চাই, কোটা নয়। আমাদের সন্তানরা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পরেই এখানে ভর্তি হোক এটা চাই।”

রাবি/ফাহিম/সাইফ

সম্পর্কিত নিবন্ধ