বাঁ পায়ের ‘তুলি’তে মায়ামির ইতিহাস লিখলেন মেসি
Published: 20th, June 2025 GMT
দেজা ভ্যু—বর্তমানের কোনো ঘটনা, যা অতীতেও ঘটেছে বলে মনে হয়, তা বোঝাতে ফরাসি ভাষার এ কথাটি বহুল প্রচলিত। ফ্রি–কিক থেকে গোল করে লিওনেল মেসির দলকে জেতানোর ঘটনাও তেমন কিছুই। কদিন পরপরই এ ঘটনা ঘটে আর মনে হয় আগেও কোথাও দেখেছিলাম!
সেই একই ঘটনা ঘটেছে গতকাল রাতেও। ক্লাব বিশ্বকাপে পোর্তোর বিপক্ষে শুরুতে পিছিয়ে যাওয়ার পরও মেসির গোলে জিতেছে ইন্টার মায়ামি। প্রথম ম্যাচে আল আহলির সঙ্গে গোলশূন্য ড্র করা মায়ামি এবার জিতেছে ২–১ গোলে। কনকাক্যাফ অঞ্চলের (উত্তর ও মধ্য আমেরিকা এবং ক্যারিবিয়ান অঞ্চল) প্রথম ক্লাব হিসেবে অফিশিয়াল ফিফা টুর্নামেন্টে ইউরোপিয়ান প্রতিপক্ষকে হারাল যুক্তরাষ্ট্রের মেজর লিগ সকারের (এমএলএস) ক্লাবটি।
আটলান্টার মার্সিডিজ–বেঞ্জ স্টেডিয়ামে ম্যাচের ৮ মিনিটে পেনাল্টি থেকে গোলে এগিয়ে যায় পোর্তো। পর্তুগিজ ক্লাবটি বল দখল এবং সুযোগ তৈরিতেও এগিয়ে ছিল মায়ামির চেয়ে। কিন্তু সুযোগ কাজে লাগানোয় তাদের পেছনে ফেলেছে মায়ামি। প্রথমার্ধে অবশ্য এগিয়ে থেকেই বিরতিতে যায় পোর্তো।
আরও পড়ুনসবচেয়ে বেশি জার্সি বিক্রি: মেসির সঙ্গে আছেন এক বাংলাদেশি বংশোদ্ভূতও১৭ ঘণ্টা আগেকিন্তু দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে ৪৭ থেকে ৫৪ মিনিটের মধ্যে বদলে যায় ম্যাচের দৃশ্যপট। ৪৭ মিনিটে তেলেসকো সেগোভিয়ার গোলে সমতায় ফেরে মায়ামি। ৭ মিনিট পর জাদুকরি এক মুহূর্ত উপহার দেন মেসি। বক্সের বাইরে মেসি ফাউলের শিকারের হওয়ার পরই ফ্রি–কিকটি পেয়েছিল মায়ামি। সে সুযোগ কাজে লাগাতে ভুল করেননি মেসি।
দুর্দান্ত এক শটে টপ রাইট কর্নার দিয়ে গোল করে দলকে এগিয়ে দেন। সরাসরি ফ্রি–কিক থেকে আর্জেন্টাইন মহাতারকার ক্যারিয়ারে ৬৮তম এই গোলই ম্যাচে পার্থক্য গড়ে দেয়। সরাসরি ফ্রি–কিক থেকে গোলে মেসির চেয়ে এগিয়ে শুধু দুজন ব্রাজিলিয়ান—জুনিনিও (৭৭) ও পেলে (৭০)। পাশাপাশি এটি মায়ামির হয়ে মেসির ৫০তম গোলও বটে। গোলের ফিফটি পূরণ করতে মেসির লেগেছে ৬১ ম্যাচ।
সতীর্থদের সঙ্গে মেসির গোল উদ্যাপন.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
সরাসরি: যুক্তরাষ্ট্র-জার্মানি ১৪ বিমানে সামরিক সরঞ্জাম দিয়েছে ইসরায়েলকে
যুক্তরাষ্ট্র ও জার্মানির ১৪টি সামরিক কার্গো বিমান ইসরায়েলের সেনাবাহিনীকে সহায়তা করার জন্য সরঞ্জাম ও রসদ বহন করে এনেছে।
ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইরানে চলমান সংঘাতের প্রেক্ষাপটে যুক্তরাষ্ট্র ও জার্মানির সামরিক সহায়তা দেশে পৌঁছেছে।
এক বিবৃতিতে মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এই বিমানগুলো ১৩ জুন ইরানের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের হামলা শুরুর পর থেকে পরিচালিত বিমান ও সমুদ্রপথের ‘সাপ্লাই ব্রিজ’ বা সরবরাহ-সেতুর অংশ।
আরো পড়ুন:
ইসরায়েল-ইরান সংঘাত নিয়ে চীনের দৃষ্টিভঙ্গি কী?
ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা
ইসরায়েলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এসব চালান সেনাবাহিনীর ‘অপারেশনাল প্রস্তুতি’ বজায় রাখার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর গাজা উপত্যকায় হামলার পর থেকে ইসরায়েলে আসা আট শতাধিক সামরিক কার্গো বিমানের পর এটি আরো একটি দারুণ সংযোজন।
যুক্তরাষ্ট্র ও জার্মানি থেকে আসা সামরিক সরঞ্জামগুলোর প্রকৃতি সম্পর্কে বিস্তারিত জানায়নি ইসরায়েলের সেনাবাহিনী। ওয়াশিংটন ও বার্লিনও এই বিষয়ে বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) পর্যন্ত কোনো মন্তব্য করেনি।
১৩ জুন ইসরায়েল ইরানে হামলার পর থেকে পাল্টাপাল্টি হামলা চলছে। এই পর্যন্ত উভয় দেশে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে; প্রাণহানি হয়েছে বহু মানুষের।
ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় এখন পর্যন্ত কমপক্ষে ২৫ জন নিহত ও শত শত মানুষ আহত হয়েছে।
অন্যদিকে, ইরানি গণমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী ইসরায়েলি হামলায় ইরানে ৬৩৯ জন নিহত এবং ১ হাজার ৩০০-এর বেশি মানুষ আহত হয়েছে।
ঢাকা/রাসেল