ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুর উপজেলার চাপসার সীমান্ত দিয়ে শুক্রবার ভোরে সাতজনকে ঠেলে পাঠিয়েছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। পরে তাদের আটক করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। 

এর আগে বৃহস্পতিবার লালমনিরহাট সীমান্তে দুই নাগরিককে হস্তান্তর করেছে উভয় দেশের সীমান্তরক্ষীরা। এ নিয়ে গত ৪ মে থেকে ১ হাজার ৫২৩ জনকে ঠেলে পাঠাল বিএসএফ।

ঠাকুরগাঁওয়ে বিজিবির হাতে আটকদের মধ্যে চারজন নারী এবং এক শিশু রয়েছে। ৪২ বিজিবি সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানিয়েছে।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটকরা জানিয়েছেন, তারা ২০-২৫ বছর আগে কাজের সন্ধানে দালালের মাধ্যমে ভারতের মুম্বাই গিয়েছিলেন। ৬-৭ দিন আগে মুম্বাই পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করে এবং গত বুধবার সীমান্ত এলাকায় নিয়ে আসে। আত্মীয়স্বজনের মাধ্যমে তাদের জাতীয় পরিচয়পত্র এবং জন্মনিবন্ধন সনদ যাচাই-বাছাই করা হয়েছে। নাগরিকত্ব সঠিক হওয়ায় তাদের হরিপুর থানায় হস্তান্তরের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন। এ ঘটনার প্রতিবাদে শুক্রবার বিজিবি-বিএসএফ কোম্পানি কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠক হয়েছে।

এদিকে লালমনিরহাট সীমান্তে আমিনুল ইসলাম নামে এক ভারতীয় নাগরিককে স্থানীয়রা আটক করে বিজিবির হাতে তুলে দেয়। তিনি সীমান্ত অতিক্রম করে বাংলাদেশে ঢুকেছিলেন। তাঁর আটকের খবরে সীমান্তের ভারতীয় নাগরিকরা সিরাজুল হক নামে এক বাংলাদেশি যুবককে তুলে নিয়ে বিএসএফের কাছে সোপর্দ করে। পরে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে উভয় দেশের নাগরিককে হস্তান্তর করা হয়।

বৃহস্পতিবার বিকেলে লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলার মোগলহাট সীমান্তে এ ঘটনা ঘটে।

লালমনিরহাট ১৫ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে.

কর্নেল মেহেদী ইমাম সমকালকে বলেন, বাংলাদেশে প্রবেশ করে কাউকে তুলে নেওয়ার মতো ঘটনা ঘটেনি। তবে তারা দু’জনই সীমান্ত আইন লঙ্ঘন করেছেন। এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় বিজিবি ও বিএসএফের কোম্পানি কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এর পর উভয় দেশের নাগরিকের পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার পর তাদের হস্তান্তর করা হয়।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: প শইন ব এসএফ

এছাড়াও পড়ুন:

ভোমরা সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি আহত

সাতক্ষীরার ভোমরা সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) ছুঁড়া ছররা গুলিতে আলমগীর হোসেন নামে এক বাংলাদেশি যুবক আহত হয়েছেন।

সোমবার (৪ আগস্ট) সকালে সীমান্তের লহ্মীদাড়ী এলাকায় ঘটনাটি ঘটে। আহত আলমগীর লহ্মীদাড়ী গ্রামের মৃত শেখ সাঈদ উদ্দীনের ছেলে।  

আহতের ভাগ্নে বেলাল হোসাইন জানান, সীমান্তে তার মামা আলমগীরের একটি মৎস্য ঘের রয়েছে। সোমবার ভোরে ঘেরে যান তিনি। এ সময় ভারত থেকে কয়েকজন লোক দৌঁড়ে আসছিল। তাদের লক্ষ্য করে বিএসএফ গুলি ছুঁড়ে। তার মামার ডান পাশের ঘাড়ে ও মাথায় গুলি লাগে। পরে তাকে উদ্ধার করে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। 

আরো পড়ুন:

ছবি তুলতে গিয়ে সীমান্ত অতিক্রম, দুই কিশোরকে ফেরত দিল বিএসএফ 

চাঁপাইনবাবগঞ্জ সীমান্তে ২ বাংলাদেশির মরদেহ উদ্ধার

সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. এবিএম আক্তার মারুফ জানান, ছররা গুলিবিদ্ধ হয়ে এক ব্যক্তি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। তার শরীরের ডান পাশের কয়েকটি স্থানে ছররা গুলি রয়েছে। চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে তিনি শঙ্কা মুক্ত।

সাতক্ষীরা ৩৩ বিজিবির ভোমরা ক্যাম্পের কমান্ডার জহির উদ্দীন বলেন, “আলমগীর গত ৩০ জুলাই অবৈধভাবে সীমান্ত অতিক্রম করে ভারতে তার আত্নীয়ের বাড়িতে যান। আজ সোমবার অবৈধভাবে বাংলাদেশের আসার পথে বিএসএফর গুলিতে তিনি আহত হয়েছেন।”

ঢাকা/শাহীন/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সাতক্ষীরার সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি যুবক আহত
  • ভোমরা সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি আহত
  • ছবি তুলতে গিয়ে সীমান্ত অতিক্রম, ফেরত দিল বিএসএফ 
  • ‘ছবি তুলতে গিয়ে ভুলে’ সীমান্ত অতিক্রম, বিএসএফের হাতে দুই বাংলাদেশি কিশোর আটক, পরে ফেরত