গাজীপুরে চিকিৎসক দম্পতিকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ডাকাতি
Published: 21st, June 2025 GMT
গাজীপুরের শ্রীপুরে এক চিকিৎসক দম্পতিকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। ডাকাত দল তাঁদের কাছ থেকে টাকা, স্বর্ণালংকার ও মূল্যবান জিনিসপত্র লুট করে নিয়ে গেছে।
গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাত তিনটার দিকে উপজেলার তেলিহাটি ইউনিয়নের আনসার টেপিরবাড়ি বাজার এলাকার পশ্চিমে চিকিৎসক মোর্শেদুল হক ও মৌসুমী আক্তার দম্পতির বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। দম্পতির একজন অ্যানেসথেসিয়া বিশেষজ্ঞ ও অন্যজন স্ত্রীরোগের চিকিৎসক।
ভুক্তভোগী চিকিৎসক মোর্শেদুল হক প্রথম আলোকে বলেন, রাত তিনটার দিকে সাত থেকে আটজনের একটি ডাকাত দল মই বেয়ে তাঁদের দ্বিতল বাড়ির ওপরে ওঠে। তারা রড বা অন্য শক্ত কিছু দিয়ে দরজার তালা ভেঙে ঘরে ঢোকে। এরপর তাঁর মুখ, চোখ ও হাত-পা বেঁধে ফেলে। তাঁর স্ত্রীর মাথায় অস্ত্র ঠেকিয়ে আলমারির চাবি চাইলে তিনি তা দিয়ে দেন। একই সময়ে পাশের কক্ষে থাকা তাঁর মা–বাবাকেও অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ডাকাতেরা।
মোর্শেদুল হক বলেন, প্রায় আধা ঘণ্টা ধরে তারা ঘরে তল্লাশি চালিয়ে ১ লাখ ৯৫ হাজার টাকা, ১১ থেকে ১২ ভরি স্বর্ণালংকার ও কয়েকটি মুঠোফোন লুটে নেয়। ডাকাতদের সবার মুখ গামছা দিয়ে বাঁধা ছিল। ডাকাত দল চলে যাওয়ার পর তাঁরা চিৎকার করলে পাশের বাড়ি থেকে আত্মীয়স্বজন ও আশপাশের লোকজন ছুটে আসেন।
শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহম্মদ আবদুল বারিক বলেন, জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯-এ ফোন পেয়ে রাতেই পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। ভুক্তভোগীদের থানায় এসে লিখিত অভিযোগ দেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: চ ক ৎসক
এছাড়াও পড়ুন:
নোয়াখালীতে আগুনে পুড়ল ১১টি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান
নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলার সেবারহাটে একটি আসবাবপত্র তৈরির কারখানা, গোডাউনসহ ১১টি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান আগুনে পুড়ে গেছে। গতকাল শনিবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের সেনবাগ, চৌমুহনী ও মাইজদীর পাঁচটি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রায় সাড়ে ছয় ঘণ্টা চেষ্টার পর আগুন নেভাতে সক্ষম হয়।
ফায়ার সার্ভিস ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সেবারহাট বাজারে ফেনী-নোয়াখালী মহাসড়কের পাশের একটি কাঠের আসবাবপত্র তৈরির কারখানা থেকে এই অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়। এরপর আশপাশের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানেও আগুন ছড়িয়ে পড়ে।
শুরুতে স্থানীয় ব্যবসায়ী ও আশপাশের এলাকার হাজারো মানুষ আগুন নেভাতে এগিয়ে যান। পরে খবর পেয়ে রাত পৌনে একটার দিকে সেনবাগ ফায়ার সার্ভিসের দুইটি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নেভাতে শুরু করে। কিন্তু তখন আগুনের ভয়াবহতা বাড়ায় বেগমগঞ্জের চৌমুহনী ও জেলা শহর মাইজদী ফায়ার স্টেশন থেকে আরও তিনটি ইউনিট এসে কাজে যুক্ত হয়। সকাল সাতটায় আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসে।
সেবারহাট বাজার ব্যবসায়ী কমিটির সভাপতি বাহার উল্যাহ আজ রোববার সকালে প্রথম আলোকে বলেন, আগুনে আসবাবপত্র তৈরির কারখানা, মেশিনারিজ সামগ্রী, থাই অ্যালুমিনিয়াম পণ্য বিক্রির দোকানসহ কমপক্ষে ১১টি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান সম্পূর্ণ পুড়ে গেছে। আগুনে ব্যবসায়ীদের ৩০ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি।
ফায়ার সার্ভিসের সেনবাগ স্টেশনের পরিদর্শক বিল্লাল হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, প্রাথমিকভাবে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী আসবাবপত্র তৈরির কারখানার বয়লার থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে। তবে তদন্ত ছাড়া প্রকৃত কারণ ও ক্ষয়ক্ষতি সম্পর্কে নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না।