গাজীপুরের শ্রীপুরে এক চিকিৎসক দম্পতিকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। ডাকাত দল তাদের কাছ থেকে টাকা, স্বর্ণালংকার ও মূল্যবান জিনিসপত্র লুট করে নিয়ে গেছে।

শনিবার (২১ জুন) ভোররাত ৩টার দিকে উপজেলার তেলিহাটি ইউনিয়নের আনসার টেপিরবাড়ি বাজারের পশ্চিম পাশে চিকিৎসক মোর্শেদুল হক ও মৌসুমী আক্তার দম্পতির বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।

ভুক্তভোগী চিকিৎসক মোর্শেদুল হক জানান, রাত তিনটার দিকে ১০ থেকে ১২ জনের একটি ডাকাত দল মই বেয়ে তাদের দ্বিতল বাড়ির ওপরে ওঠে। পরে রড বা অন্য শক্ত কিছু দিয়ে বারান্দার দরজার সিটকানি ভেঙে ঘরে ঢোকে। এরপর তার মুখ, চোখ ও হাত-পা বেঁধে ফেলে। তার স্ত্রীর মাথায় অস্ত্র ঠেকিয়ে আলমারির চাবি চাইলে তিনি তা দিয়ে দেন। একই সময়ে পাশের কক্ষে থাকা তার মা–বাবাকেও অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ডাকাতেরা। প্রায় আধা ঘণ্টা ধরে তারা ঘরে তল্লাশি চালিয়ে ১২ ভরি স্বর্ণালংকারসহ প্রায় ২০ লাখ টাকার মালামাল লুটে নেয়। ডাকাতদের সবার মুখ গামছা দিয়ে বাঁধা ছিল। ডাকাত দল চলে যাওয়ার পর তারা চিৎকার করলে পাশের বাড়ি থেকে আত্মীয়স্বজন ও আশপাশের লোকজন ছুটে আসেন।

আরো পড়ুন:

খুলনায় বিএনপি-যুবদল নেতাসহ গ্রেপ্তার ৪, অস্ত্র-গুলি উদ্ধার 

কিশোরগঞ্জে নদীতে ডুবে মাদ্রাসাছাত্রের মৃত্যু

শ্রীপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মুহম্মদ আব্দুল বারিক বলেন, ‘‘জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯-এ ফোন পেয়ে রাতেই ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়। ভুক্তভোগীদের থানায় লিখিত অভিযোগ দেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।’’

ঢাকা/রফিক/রাজীব

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চ ক ৎসক

এছাড়াও পড়ুন:

দাবি মেনে নেওয়ায় কাজে ফিরলেন পানামা বন্দরের শ্রমিকরা

মজুরি বৃদ্ধির দাবি মেনে নেওয়ায় কর্মবিরতি প্রত্যাহার করে কাজে ফিরেছেন দিনাজপুরের হিলির পানামা পোর্টের শ্রমিকরা। শনিবার (২১ জুন) সন্ধ্যায় আলোচনা শেষে তাদের দাবি মেনে নেয় কর্তৃপক্ষ।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন হিলি পানামা পোর্ট লিংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক অনন্ত কুমার চক্রবর্তী (নেপাল)। 

আজ সকাল ১১টার দিকে ন্যায্য মজুরির দাবিতে পানামা পোর্টের শ্রমিকরা কর্মবিরতি পালন শুরু করেন। ফলে বন্দরে আসা ট্রাক থেকে পণ্য খালাস বন্ধ হয়ে যায়। বিপাকে পড়েন আমদানিকারকরা। 

আরো পড়ুন:

সোনামসজিদ বন্দরে আমদানি কার্যক্রম স্বাভাবিক

সার্ভারে কারিগরি ত্রুটি, সোনামসজিদ স্থলবন্দরে আসেনি আমদানি পণ্য

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শ্রমিক বলেন, এই বন্দরে শুরু থেকে আমরা কাজ করছি। এখানে আমরা ন্যায্য মজুরি থেকে বঞ্চিত হচ্ছি। বিষয়টি কর্তৃপক্ষকে জানানো হলেও কোনো সমাধান হয়নি। এ কারণে আমরা কর্মবিরতি পালন করেছি।

শ্রমিকরা জানান, আগে তাদের ২০ টাকা টন হিসেবে মজুরি দেওয়া হতো। এখন ১৩ টাকা টন হিসেবে মজুরি দেওয়া হচ্ছে। ফলে তাদের পরিবার নিয়ে চলতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। তাই তারা আজকে  কর্মবিরতি পালন করেছেন।

হিলি পানামা পোর্ট লিংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক অনন্ত কুমার চক্রবর্তী (নেপাল) জানান, পানামা পোর্টের শ্রমিকরা মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে আজ কর্মবিরতি পালন করেন। তাদের দাবি ছিল, টনপ্রতি ২০ টাকা। আজ সন্ধ্যায় তাদের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। তাদের দাবি মেনে নেওয়া হয়েছে। 

তিনি আরো জানান, আগে শ্রমিকদের প্রতিটনে ১৩ টাকা মজুরি দেওয়া হতো। এখন থেকে ১৯ টাকা টন পাবেন শ্রমিকরা, এক টাকা পাবেন শ্রমিক সর্দাররা। পানামা পোর্টের লোড-আনলোডের কাজ স্বাভাবিক হয়েছে। 

ঢাকা/মোসলেম/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ