আওয়ামী লীগের আমলে জামায়াতে ইসলামীর নেতারা সবচেয়ে বেশি নির্যাতিত হয়েছেন বলে মন্তব্য করেছেন দলটির আমির শফিকুর রহমান। 

রোববার রাজধানীর মগবাজারে জামায়াত কার্যালয়ে ঢাকায় নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত সাইদা শিনইচি সঙ্গে বৈঠকে তিনি এ মন্তব্য করেন। বৈঠকে জামায়াতে ইসলামীর নেতাদের মিথ্যা ও সাজানো মামলায় অন্যায়ভাবে হত্যার দাবিও করেন শফিকুর রহমান।

দলটির সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, বৈঠকে বাংলাদেশ-জাপানের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে বস্তুনিষ্ঠ আলোচনা হয়েছে। জামায়াত আমির দলটি সম্পর্কে রাষ্ট্রদূতকে জানান। বাক-স্বাধীনতা ও ধর্মীয় অধিকার সম্পর্কে জামায়াতের অবস্থান তুলে ধরেন তিনি। 

বাংলাদেশের স্বৈরশাসনামলে রাজনৈতিক নিপীড়ন বিশেষ করে নির্বাচন ব্যবস্থা ধ্বংসের বিষয়টি তুলে ধরে শফিকুর রহমান বলেন, জাপানের সাবেক রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশের ২০১৮ সালের নির্বাচনকে ‘মধ্য রাতের নির্বাচন’ বলে যে মন্তব্য করেছিলেন, তা তিনি বিশেষভাবে উল্লেখ করেন। 

রাষ্ট্রদূত সাইদা শিনইচি বাংলাদেশের আসন্ন নির্বাচন সম্পর্কে অবস্থান তুলে ধরেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশে অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের প্রত্যাশা করেন। 

বৈঠকে জামায়াত নেতা এটিএম আজহারুল ইসলাম, নায়েবে আমির ডা.

সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের, আ ন ম শামসুল ইসলাম, সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ারসহ জ্যেষ্ঠ নেতারা ছিলেন।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: জ ম য় ত ইসল ম ইসল ম

এছাড়াও পড়ুন:

হরমুজ প্রণালি খোলা রাখতে চীনের দ্বারস্থ যুক্তরাষ্ট্র

হরমুজ প্রণালি বন্ধ না করার জন্য ইরানকে রাজি করাতে জন্য চীনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও ফক্স নিউজকে একথা জানিয়েছেন।

এর আগে, ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় মার্কিন হামলার পর হরমুজ প্রণালি বন্ধ করে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন দেশটির কর্মকর্তারা।

মার্কো রুবিও বলেন, যারা হরমুজ প্রণালি দিয়ে তেল পরিবহনের ওপর ব্যাপকভাবে নির্ভরশীল, সেই চীনের সরকারকে আমি উৎসাহিত করবো তারা যেন এ বিষয়ে ইরানি কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে।

হরমুজ প্রণালি বন্ধ করা ইরানের জন্য আরেকটি ভুল বলে অভিহিত করেছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী, যা উত্তেজনা বাড়িয়ে দেবে বলে তিনি বর্ণনা করেছেন।

ইরানের জন্য এটি অর্থনৈতিক আত্মহত্যা হবে বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।

সম্পর্কিত নিবন্ধ