বিদেশ থেকে অর্থ সহায়তা নেওয়ার পরিবর্তে দেশ থেকে পাচার হওয়া অর্থ ফেরত আনাই বেশি জরুরি। এজন্য কার্যকর পদক্ষেপ প্রয়োজন। গতকাল সোমবার রাজধানীর পল্টনে ইকনোমিক রিপোর্টার্স ফোরাম (ইআরএফ) কার্যালয়ে কয়েকটি বেসরকারি সংস্থা আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে একথা বলা হয়। 
কোস্ট ফাউন্ডেশন, ইক্যুইটিবিডি, বিসিজেএফ, এনডিএফ, সুন্দরবন ও উপকূল সুরক্ষা আন্দোলন, উদয়ন এবং ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশ যৌথভাবে ‘সহায়তা প্রদানের চেয়ে টেকসই উন্নয়নের জন্য বাংলাদেশের পাচারকৃত টাকা ফেরত দিন’ শীর্ষক এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে। 

কোস্ট ফাউন্ডেশনের মো.

ইকবাল উদ্দিন সংবাদ সম্মেলনে মূল দাবিগুলো তুলে ধরেন। সঞ্চালনা করেন ইক্যুইটিবিডির প্রধান সমন্বয়কারী রেজাউল করিম চৌধুরী। সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা প্রশ্ন তোলেন যে, যখন বিদেশি উন্নয়ন সহায়তা (ওডিএ) ক্রমাগতভাবে কমে যাচ্ছে, তখন বাংলাদেশ কীভাবে ২০৩০ সালের মধ্যে এসডিজি অর্জন করতে পারবে। অন্যদিকে আইএমএফের অন্যায্য কর ব্যবস্থা, মানি লন্ডারিং, বড় রকমের বৈদেশিক ঋণের বোঝা বাংলাদেশের এসডিজি অর্জনের পথকে বাধাগ্রস্ত করবে বলে তারা মত প্রকাশ করেন।
বক্তারা আরও বলেন, গত ১৫ বছরে বিদেশে ১০০ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি পাচার হয়ে গেছে। এই অর্থ বাংলাদেশের দুই বছরের জাতীয় বাজেটের সমান। এটি দেশের মোট বৈদেশিক দেনারও সমান। এই অর্থ যদি পাচার না করা হতো তবে বাংলাদেশ প্রায় সমস্ত বৈদেশিক দেনা পরিশোধ করতে পারত। 
বক্তারা এফএফডি-৪ সম্মেলনের প্রাক্কালে এই পাচারকৃত অর্থ ফেরতের জোর প্রচেষ্টা নেওয়ার দাবি জানান। এফএফডি-৪ স্পেনের সেভিলা শহরে আগামী ৩০ জুন থেকে ৩ জুলাই এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে।

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

পাচার হওয়া অর্থ ফেরাতে কার্যকর পদক্ষেপের পরামর্শ

বিদেশ থেকে অর্থ সহায়তা নেওয়ার পরিবর্তে দেশ থেকে পাচার হওয়া অর্থ ফেরত আনাই বেশি জরুরি। এজন্য কার্যকর পদক্ষেপ প্রয়োজন। গতকাল সোমবার রাজধানীর পল্টনে ইকনোমিক রিপোর্টার্স ফোরাম (ইআরএফ) কার্যালয়ে কয়েকটি বেসরকারি সংস্থা আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে একথা বলা হয়। 
কোস্ট ফাউন্ডেশন, ইক্যুইটিবিডি, বিসিজেএফ, এনডিএফ, সুন্দরবন ও উপকূল সুরক্ষা আন্দোলন, উদয়ন এবং ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশ যৌথভাবে ‘সহায়তা প্রদানের চেয়ে টেকসই উন্নয়নের জন্য বাংলাদেশের পাচারকৃত টাকা ফেরত দিন’ শীর্ষক এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে। 

কোস্ট ফাউন্ডেশনের মো. ইকবাল উদ্দিন সংবাদ সম্মেলনে মূল দাবিগুলো তুলে ধরেন। সঞ্চালনা করেন ইক্যুইটিবিডির প্রধান সমন্বয়কারী রেজাউল করিম চৌধুরী। সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা প্রশ্ন তোলেন যে, যখন বিদেশি উন্নয়ন সহায়তা (ওডিএ) ক্রমাগতভাবে কমে যাচ্ছে, তখন বাংলাদেশ কীভাবে ২০৩০ সালের মধ্যে এসডিজি অর্জন করতে পারবে। অন্যদিকে আইএমএফের অন্যায্য কর ব্যবস্থা, মানি লন্ডারিং, বড় রকমের বৈদেশিক ঋণের বোঝা বাংলাদেশের এসডিজি অর্জনের পথকে বাধাগ্রস্ত করবে বলে তারা মত প্রকাশ করেন।
বক্তারা আরও বলেন, গত ১৫ বছরে বিদেশে ১০০ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি পাচার হয়ে গেছে। এই অর্থ বাংলাদেশের দুই বছরের জাতীয় বাজেটের সমান। এটি দেশের মোট বৈদেশিক দেনারও সমান। এই অর্থ যদি পাচার না করা হতো তবে বাংলাদেশ প্রায় সমস্ত বৈদেশিক দেনা পরিশোধ করতে পারত। 
বক্তারা এফএফডি-৪ সম্মেলনের প্রাক্কালে এই পাচারকৃত অর্থ ফেরতের জোর প্রচেষ্টা নেওয়ার দাবি জানান। এফএফডি-৪ স্পেনের সেভিলা শহরে আগামী ৩০ জুন থেকে ৩ জুলাই এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ